বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা
আমাদের কথা কিশোরকণ্ঠ ডেস্ক এপ্রিল ২০২৫
প্রাণপ্রিয় বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম।
আশা করি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছ।
দেখতে দেখতেই চলে গেল একটি বছর। বিদায় ১৪৩১! স্বাগত ১৪৩২!
বাংলা বছরের প্রথম মাস বৈশাখ। বৈশাখ থেকেই শুরু হয় বাংলা সনের গণনা।
তোমাদের জন্য রইলো বাংলা নতুন বছরের আন্তরিক ফুলেল শুভেচ্ছা।
ইংরেজি নববর্ষের যতটুকু আনন্দ এবং উন্মাদনা থাকে, তার চেয়ে হাজার গুণ বেশি থাকে বাংলা নববর্ষ বৈশাখকে ঘিরে। গ্রামের সাধারণ মানুষ এখনও ইংরেজি মাস এবং দিন সম্পর্কে তেমনটি জানেন না। কিন্তু তাদের প্রতিদিনের কর্মপ্রবাহে, কৃষিকার্যে, ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে বাংলা সন এবং তারিখ নির্ভুলভাবে ব্যবহার করেন। তারা যে-কোনো সময় বলে দিতে পারেন এটা বাংলা মাসের কোন তারিখ, কোন দিন। আশ্চর্যের বিষয় বটে! যেটা শহুরে মানুষের খুঁজে বের করতে হয় ডায়েরি বা ক্যালেন্ডারের পাতা দেখে। গ্রামের মানুষ ডায়েরি ব্যবহার করেন না। তারা ব্যবহার করেন বাংলা পকেট পঞ্জিকা। সে এক মজার ব্যাপার বটে!
বৈশাখ এলেই প্রাণস্পন্দনে মুখর হয়ে ওঠে গোটা মফস্বল, গ্রাম-গঞ্জ, হাট-বাজার প্রভৃতি। চলে কত রকমের আয়োজন! নতুন বছরে দোকানে দোকানে চলে হালখাতার পালা। চলে বৈশাখী মেলা, কত্ত রকমের খেলাধুলার পালা-পার্বণ! সেসব আয়োজন দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়, ভরে যায় মন-প্রাণ। শহরে সে ধরনের আয়োজন বা আনন্দ লক্ষ্য করা যায় না। কেবল সীমাবদ্ধ থাকে কিছু বৈশাখী মেলার মধ্যে! এদিক দিয়ে গ্রামের মানুষ প্রকৃত অর্থেই আনন্দের প্রাচুর্যে ভরপুর।
আমরা চাই বৈশাখের প্রকৃত আনন্দ ছড়িয়ে পড়ুক গ্রাম থেকে শহরেও। সেই সাথে চালু হোক সর্বস্তরে বাংলা সন ও তারিখের ব্যবহার। তাহলেই সার্থক হয়ে উঠবে বৈশাখকেন্দ্রিক আমাদের সকল আয়োজন ও আনন্দ।
ঋতু হিসেবে এটা গ্রীষ্মকাল। বছরের প্রথম ঋতু। বৈশাখ আসে উদ্দাম উল্লাসে। ঝড়ো হাওয়ার সাথে। কবির ভাষায়-
‘বোশেখ আসে ঘোড়ার খুরে
তপ্ত বালি কুলায় ঝেড়ে
বোশেখ আসে ভর দুপুরে
দেদোল দোলা পেখম নেড়ে।’
বৈশাখ তারুণ্যের প্রতীক। যৌবনের প্রতীক। তারুণ্যই পারে কেবল ভেঙে আবার নতুন করে গড়তে।
আমরা চাই সেই তারুণ্য, সেই যৌবন। আমরা চাই বৈশাখের মতো শত-সহস্র উচ্ছল প্রাণ। যারা দেশকে নতুন করে আবার গড়ে তুলতে পারে। জাগাতে পারে শত জীবনে প্রাণের স্পন্দন।
আজ এ পর্যন্তই!
আল্লাহ হাফিজ।
আরও পড়ুন...