বিস্ময়কর এক তরুণ গানিম মুহাম্মদ আল-মুফতাহ
গল্প মুহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম আগস্ট ২০২৪
কাতার পশ্চিম এশিয়ার একটি ছোট্ট মুসলিম দেশ। আয়তন ১১,৫৮১ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা ২৭,৯৫,৪৮৪। সরকারি নাম কাতার রাষ্ট্র। মধ্যপ্রাচ্যের আরব উপদ্বীপের উত্তর-পূর্ব উপকূলে কাতার উপদ্বীপজুড়ে এর অবস্থান। দক্ষিণে শুধুমাত্র সৌদি আরবের সাথে এদেশের স্থল সীমানা রয়েছে। অবশিষ্ট ভূখণ্ড পারস্য উপসাগর দ্বারা পরিবেষ্টিত। পারস্য উপসাগরের খাড়ি বাহরাইন উপসাগরের মাধ্যমে কাতার ও বাইরাইন পৃথক হয়ে আছে। কাতারের রাজধানী দোহা। দেশটির জনসংখ্যার শতকরা ৮০ ভাগ এই নগরীতেই বাস করে। এদেশের স্থল এলাকা সমতল এবং নিচু মরুভূমি। কাতার একটি উচ্চ আয়ের অর্থনীতির দেশ। বর্তমানে মাথাপিছু আয়ের হিসেবে কাতার বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশগুলোর অন্যতম। প্রাকৃতিক গ্যাস মজুদ ও তেল মজুদের দিক দিয়ে কাতার বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম এবং বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম তরলীকৃত গ্যাস রফতানিকারক। কাতারের আল জাজিরা মিডিয়া নেটওয়ার্কের আল জাজিরা টেলিভিশন ও আল জাজিরা সংবাদপত্র সারাবিশ্বে জনপ্রিয়।
২০২২ সালে এই দেশেই ফিফা বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষ্যে এখানে সাতটি নতুন স্টেডিয়াম ও ভবন নির্মাণ করা হয়। কাতারের গরম আবহাওয়ায় জুন-জুলাইয়ে খেলতে বিশ্বের অনেক শীর্ষ ফুটবল খেলুড়ে দেশ আপত্তি করায় সে বছর শীতকালে নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে বিশ্বকাপের আয়োজন করা হয়।
এই আসরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যতম আকর্ষণ ছিলেন গানিম আল-মুফতাহ। পুরো নাম গানিম মুহাম্মদ আল-মুফতাহ। তিনি কাতারের দোহায় ২০০২ সালের ৫ মে তার আরেক ভাইয়ের সাথে যমজ হয়ে জন্মগ্রহণ করেন। গানিম মুহাম্মদ একজন কাতারি উদ্যোক্তা, মোটিভেশনাল স্পিকার, অনলাইন স্ট্রিমার এবং মানবহিতৈষী। মায়ের পেটে থাকা অবস্থায়ই তিনি কডাল রিগ্রেশন সিনড্রোমে আক্রান্ত। কডাল রিগ্রেশন সিনড্রোম হচ্ছে এক বিরল জন্মগত অস্বাভাবিকতা। স্বাভাবিক বেড়ে ওঠার তুলনায়, অল্প কিছু নবজাতকের এরকম ব্যত্যয় বা ব্যতিক্রম লক্ষ্য করা যায়। পক্ষান্তরে, অন্যদের লক্ষণীয় কিছু ব্যতিক্রম দেখা যায়। তাদের অধিকাংশ সাধারণভাবে প্রাপ্তবয়স্ক হলেও হাঁটাচলায় সমস্যা হয় এবং তারা ভারসাম্যহীন হয়। কখনও কখনও এই রোগটি স্যাকরাল এজেনেসিস (বা স্যাকরামের হাইপোপ্লাসিয়া) বলা হয়। এটা এমনই এক সহজাত অবস্থা যাতে সমগ্র ভ্রƒণ জীবনে মেরুদণ্ডের নিম্নাংশের বিভাজক স্বাভাবিকভাবে তৈরি হয় না। মোটামুটিভাবে প্রতি ৬০ হাজারের মধ্যে একজনের এই অবস্থা হয়ে থাকে। এই রোগে মেরুদণ্ডের নিম্নাংশ তৈরি হওয়া ব্যাহত হয়।
২০১৭ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি কাতারের সর্বকনিষ্ঠ উদ্যোক্তা হন। তিনি তাকরিম ফাউন্ডেশনের তরুণ উদ্যোক্তা। তিনি জাবাল আল শামস পর্বতে আরোহণ করেছেন।
তিনি ২০২২ সালের ফিফা বিশ্বকাপের অ্যামব্যাসেডর নিযুক্ত হন। তিনি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রখ্যাত হলিউড অভিনেতা মরগান ফ্রিম্যানের পাশাপাশি শিরোনামে আসেন। তিনি অনুষ্ঠানে আকর্ষণীয় ভূমিকা পালন করেন। গানিম আহমদ আল-মুফতাহ গানিম মুহাম্মদ আল-মুফতাহের যমজ ভাই। তাদের পিতার নাম ইমান আহমদ ও মুহাম্মদ আল-মুফতাহ।
জাতিসংঘ গানিমকে অফিসিয়াল বক্তা হিসেবে বাছাই করে এবং তিনি আরওটিএ’র শুভেচ্ছা দূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। গানিম ব্র্যান্ড অ্যাম্বেসেডর হিসেবে কাতার ফাইন্যান্সিয়াল সেন্টার অথরিটির (কিউএফসি) প্রতিনিধিত্ব করার জন্যও বাছাই হন। তিনি গানিম অ্যাসোসিয়েশন, গানিম আল-মুফতাহ ফাউন্ডেশন ও গারিসা আইসক্রিম প্রতিষ্ঠা করেন।
গানিম মুহাম্মদকে ছাত্র হিসেবে গ্রহণ না করে অনেক স্কুলই তাকে ফিরিয়ে দেয়। তার মা তাকে ছাত্র হিসেবে গ্রহণ করতে একটি স্কুলকে রাজি করান এবং সেখানে তিনি লেখাপড়া শুরু করেন। গানিমকে স্কুলের অন্যান্য শিশুদের সাথে খেলতে দেওয়া হতো না, কেননা তিনি তার দেহের নিম্নাংশ ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন।
গানিম ২০১৭ সালে মক্কায় ওমরাহ পালন করার সময় তার হাতের ওপর ভর করে পবিত্র কাবাঘর প্রদক্ষিণ করেন। তিনি এসময় হুইল চেয়ার ব্যবহার করতে অস্বীকৃতি জানান।
গানিম ২০২২ সালের ২০ নভেম্বর প্রখ্যাত হলিউড অভিনেতা কৃষ্ণাঙ্গ মরগান ফ্রিম্যানের সাথে ফিফা বিশ্ব কাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মঞ্চে ভূমিকা পালন করেন। ২০ বছর বয়সি গানিম আল মুফতাহ। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা পেছনে ফেলে তাক লাগিয়ে দেন গোটা বিশ্বকে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন এই যুবকই বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রথমবার শুনান পবিত্র কুরআনের বাণী। একদিন যার ভূমিষ্ঠ হওয়া নিয়েই ছিল সন্দেহ, দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ বিশ্বমঞ্চে তাকে অধিষ্ঠিত করা হলো ভিন্ন রূপে। তিনি সঞ্চালনা করেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। মুহূর্তেই রঙিন হয়ে ওঠে দোহার আল বায়েত স্টেডিয়াম।
গর্ভাবস্থায় তার এ শারীরিক ত্রুটি ধরা পড়ে। তখন অনেকেই তার মাকে গর্ভপাত করার পরামর্শ দেন। কিন্তু তিনি রাজি হননি। এ অবস্থায়ই তিনি সন্তানকে লালন-পালনের সিদ্ধান্ত নেন। স্বামীকে বলেন, ‘সন্তানের নিম্নাংশ নেই তো কী হয়েছে, আমিই হবো তার বাম পা, তুমি হবে ডান পা।’ ২০০২ সালের ৫ মে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। এরপর নানা প্রতিবন্ধকতাকে পেছনে ফেলে আর বাবা-মায়ের সমর্থনে তিনি এখন নিজের পরিচয়ে পরিচিত।
চিকিৎসকরা গর্ভপাতের সিদ্ধান্ত নিলেও বাবা-মায়ের আর্জিতে আলোর মুখ দেখা গানিমের বেঁচে থাকার সম্ভাবনাও ছিল মাত্র ১৫ বছর। তবে সব বাধা পেছনে ফেলে তিনি হয়ে ওঠেন অদম্য। প্রতিবন্ধী হওয়া সত্ত্বেও পারদর্শী ফুটবল, সাঁতার, স্কুবা ডাইভিং, হাইকিং ও স্কেট বোর্ডিং-এ। আরোহণ করেছেন পর্বতশৃঙ্গেও।
কাতারের সর্বকনিষ্ঠ এই উদ্যোক্তা জনপ্রিয় মোটিভেশনাল স্পিকার, ইউটিউবার ও মানবসেবীও। সোশ্যাল প্লাটফর্মে তার অনুসারী ৩০ লাখেরও বেশি। ভবিষ্যতে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লক্ষ্যে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে পড়ছেন ইংল্যান্ডের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে।
সকলের বিশ্বাস ছিল ফুটবল বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মধ্যপ্রাচ্যের রক্ষণশীল দেশ কাতার কিছু চমক রাখবে। সত্যিই একেবারে অন্যরকম চমক গোটা বিশ্ব দেখলো ৯২ বছরের ফুটবল বিশ্বকাপের ইতিহাসে ২০ বছর বয়সী গানিম আল মুফতাহ মাধ্যমে। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা পেছনে ফেলে বছর কুড়ির এই তরুণ তাক লাগিয়ে দিয়েছেন গোটা বিশ্বকে। তার সুললিত কণ্ঠের পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতে মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা আল বায়াত স্টেডিয়াম। এই প্রথমবার বিশ্বকাপের মঞ্চ পবিত্র কুরআন দিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হলো।
প্রখ্যাত হলিউড অভিনেতা মরগান ফ্রিম্যানের এক প্রশ্নের জবাবে পবিত্র কুরআন থেকে তিনি একটি আয়াত পড়ে শোনান। যার অর্থ, ‘হে মানব, আমি তোমাদের এক পুরুষ ও এক নারী থেকে সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদের বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি যাতে তোমরা পরস্পরে পরিচিত হতে পারো। নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে সে-ই সর্বাধিক সম্ভ্রান্ত যে সর্বাধিক পরহেজগার। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ এবং সবকিছুর খবর রাখেন।’ (সূরা হুজুরাত, আয়াত ১৩)
গানিম দেখিয়ে দিলেন শারীরিক প্রতিবন্ধকতা জীবনে চলার পথে কোনো বাধা হতে পারে না। যদি থাকে অদম্য মনোবল। কাতার বিশ্বকাপ ইতিহাস হয়ে থাকবে কয়েকটি কারণে। তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো একজন কৃষ্ণাঙ্গ ও আরেকজন শারীরিক প্রতিবন্ধীকে উদ্বোধনী মঞ্চে আনা।
সাধারণত, বিশ্বকাপের স্বাগতিক দেশের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ থাকে। যার একটি, নিজেদের সংস্কৃতি ও তার ইতিবাচক দিক উপস্থাপনের চাপ। সে দিক থেকে এবারের উদ্বোধনী আসরে কাতারের তুরুপের তাস ছিলেন গানিম আল মুফতাহ। দেশটি নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনার ভিড়ে সারাবিশ্বে কৌতূহল জাগিয়েছেন গানিম আল মুফতাহ। আর অনুষ্ঠানে হাজির হওয়ার পর আঞ্চলিক সীমানা পেরিয়ে গিয়েছেন আরবের এই ইয়ুথ আইকন।
অবশ্য প্রথম দিকে গানিম মুহাম্মদের স্কুলে হাজির হওয়াটা তার জন্য বেশ কষ্টদায়ক ছিল। ক্লাসের ছেলেরা প্রায়ই ঠাট্টা-বিদ্রƒপ করতো। গানিম হতাশ হলেও মা সাহস জোগাতেন। সে যেন নিজে থেকেই সহপাঠীদের সঙ্গে কথা বলে। যেন নিজের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করে। এভাবে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বেড়ে ওঠে গানিম।
যদিও তাকে নিয়মিত চিকিৎসকের কাছে যেতে হয়, মেনে চলতে হয় নানা নিয়ম। তারপরও স্বপ্ন ও অধ্যবসায় থমকে যায়নি। সহজাত বুদ্ধিমত্তা ও স্বভাবসুলভ সদা হাস্যোজ্জ্বল চেহারা দিয়ে জয় করে নিয়েছেন মানুষের মন। নিজেকে যুক্ত করেন সামাজিক কর্মকাণ্ডে। শুধু এক উদ্যোগেই লেবাননের ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের জন্যই ১০ লাখ রিয়াল সংগ্রহ করেন তিনি।
বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গানিম আল মুফতাহর ৩০ লাখের বেশি অনুসারী রয়েছে। নিজের দেশ কাতার আর কাতারের বাইরের লাখো-কোটি মানুষ তাকে ভালোবাসে ও সম্মান করে। প্রাপ্তির ঝুলি নেহায়েত ছোটো না গানিমের। রোটা ফাউন্ডেশন তাকে শুভেচ্ছা দূত মনোনীত করেছে আগেই। কাতার ফাইন্যান্সিয়াল সেন্টার অথোরিটি মর্যাদা দিয়েছে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডরের। বহুজাতিক টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি উরিদু কাতারের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর। পেয়েছেন শেখ মুহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম কর্তৃক আরব সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং পায়োনিয়ার পদক ও তাকরিম অ্যাওয়ার্ডস।
সবচেয়ে বড়ো কথা পৃথিবীর নানা প্রান্তের মানুষ তার গল্প শুনে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে চায়, বাঁচতে চায়।
কাতার ফুটবল বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আগের সব বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে আলাদা হয়েছে। সবার মন্তব্য শালীন ও ইউনিক হয়েছে। কোনো অশ্লীলতা ছিল না। সবচেয়ে বড়ো কথা হলো কুরআন থেকে তেলাওয়াত করা হয়েছে বিশ্বকাপের এই আসরে। ছোট্ট একটি আয়াতের উদ্ধৃতি দেন এক কাতারি তরুণ। গানিম স্বপ্ন দেখেন একদিন প্যারা অলিম্পিকে খেলার। ২০১৮ সালে টেড এক্স কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে একটি বক্তৃতার মাধ্যমে আলোচনায় আসেন মুফতাহ। পরে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক পরিচিতি পান।
সম্প্রতি এক বিবৃতিতে গানিম মুহাম্মদ আল-মফতাহ বলেন, ‘শুভেচ্ছা দূূত হিসেবে আমি আমার সক্ষমতা দিয়ে আশা, সামগ্রিকতা, শান্তি ও মানবতার জন্য ঐক্যবদ্ধতার বার্তা ছড়িয়ে দিতে চাই।’ ২০০৯ সালে টোয়েন্টির্ফাস্ট সেঞ্চুরি লিডার্স ফাউন্ডেশন কর্তৃক একজন আনসাং হিরো বা অদৃশ্যে থাকা বীরের স্বীকৃতি পান তিনি। ২০১৪ সালে কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ আল-আহমদ আল-সাবাহ তাকে নিযুক্ত করেন শান্তির দূত। কাতার ফিন্যান্সিয়াল সেন্টার কর্তৃপক্ষের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডরের দায়িত্ব পালনসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিভিন্ন সম্মাননা পুরস্কার ও পদ লাভ করেছেন। গানিম এখন প্যারালিম্পিয়ান হওয়ারও স্বপ্ন দেখেন।
গানিম মুহাম্মদ আল-মুফতাহের পক্ষে লিখিত গুরুত্বপূর্ণ বইগুলো এবং প্রকাশনাগুলো সাফল্যকে উৎসাহিত করে এবং অক্ষমতা ও কঠোরতাকে চ্যালেঞ্জ করে সবাইকে উৎসাহ জোগায়। তিনি তার ‘গানিম দ্য অলওয়েজ উইনার’ বইয়ের সূচনায় লিখেছেন, ‘আমার নাম গানিম, একজন কাতারি সন্তান। আমি কাতারের রাজধানী দোহা আল-খায়েরে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার ভাষায় আমি আমার দেশের বসন্তকালে বেঁচে আছি আমার নামের অর্থ সদা বিজয়ী এবং আসুন আমরা আমাদের সুন্দর গল্পগুলো পড়ি ও শুনি।’
আরও পড়ুন...