যুগে যুগে রোজা
কুরআনের আলো বিলাল হোসাইন নূরী মার্চ ২০২৪
চাঁদ উঠেছে! রমজানের চাঁদ!
রমজানের চাঁদ ওঠা মানেই তো অন্যরকম এক খুশির খবর। এ খবরের জন্যই একবছর অপেক্ষায় থাকে মুসলিম জাতি। কবির মতো বলা যায়- ‘শাওয়ালের আগে হায় নেমে এলো এ কেমন ঈদ; ইফতারে খুশি ঝরে, সাহ্রীতে নেই চোখে নিদ।’
এ খুশির উৎসব থেকে বাদ পড়েনি আহমদ আর আমিনাও।
মাগরিবের নামাজ আদায় করে দাদা বসলেন গল্পের মজলিসে। রমজানের আগমনে এ হচ্ছে দাদার বিশেষ আয়োজন। আহমদ-আমিনার তো তর-ই সইছে না! দাদা বললেন- রমজান তো এসে গেল! কেমন লাগছে তোমাদের? আহমদ বললো, আলহামদুলিল্লাহ! খুব ভালো। গত বছর তো দশটি রোজা রেখেছিলাম দাদা, এবার সবক’টি রাখবো ইনশাআল্লাহ! আমিনাও বলে উঠলো- আমি রেখেছিলাম চারটি। এবার অনেকগুলো রাখবো। দাদা মুচকি হেসে বললেন- রোজা তোমাদের ওপর যদিও এখনো ফরজ হয়নি, তবু রাখতে থাকো। আল্লাহ খুশি হবেন।
দাদা বললেন, জানো! শুধু আমরাই রোজা রাখি না। আমাদের আগেও রোজা ফরজ ছিল। কুরআনে এসেছে- “হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেভাবে ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর। যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো” (সূরা আল-বাক্বারাহ : ১৮৩)
আগেকার যুগেও কি আমাদের মতো একমাস রোজা রাখতে হতো? বললো আহমদ।
দাদা বললেন- খুবই সুন্দর প্রশ্ন! আজ তাহলে আমরা সে বিষয়েই কথা বলবো-
আগের নবীদের আমলে রোজা কয়টি ছিল, কেমন ছিল- এ নিয়ে সরাসরি কিছু জানা যায় না। তবে তিন ধরনের ইশারা পাওয়া যায়। প্রথমত- তাদের রোজা ছিল মাসে তিনদিন। প্রথম রোজা রেখেছিলেন নূহ (আ)। তাঁর পর থেকে এভাবেই চলতে থাকে। এমনকি রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার আগে মহানবী (সা) ও তাঁর সাহাবীরাও এভাবেই রোজা রাখতেন। দ্বিতীয়ত- তাদের রোজা আমাদের মতোই ছিল। পূর্ণ একমাস এবং তা রমজান মাসেই! তৃতীয়ত- তাদের রোজা ছিল রাত থেকে রাত অবধি। কেউ রাতের প্রথমভাগে নামাজ (ইশা) আদায় করে ঘুমিয়ে গেলে তার রোজা শুরু হয়ে যেত।
আমিনা বললো- অনেক কিছুই জানলাম, দাদা!
দাদা বললেন- আল্লাহ আগেকার যুগের রোজার কথা কেন মনে করিয়ে দিয়েছেন, জানো? যাতে আমাদের কষ্ট না হয়। একই কষ্ট যখন সবাই করে, তখন সেটাকে আর কষ্ট মনে হয় না!
আহমদ বললো- ও! তাই তো!
আরও পড়ুন...