লাল চব্বিশে ঝরে পড়া ফুলগুলো
প্রচ্ছদ রচনা আবু হামীম এপ্রিল ২০২৫
পতিত স্বৈরাচার হাসিনা ক্ষমতার মোহে এতটাই অন্ধ ছিলেন যে, স্বাভাবিক বিবেক-বুদ্ধি এবং মানবতাবোধ হারিয়ে ফেলেছিলেন। ক্ষমতা-পাকাপোক্ত করার কোনো অপকৌশলই তিনি বাদ রাখেননি। তিনি জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করেছেন। যাকে পথের কাঁটা মনে করেছেন, তাকেই নির্বিচারে হত্যার আদেশ দিয়েছেন। তার খুনের নেশা থেকে বাঁচতে পারেনি নিষ্পাপ শিশুরাও। শিশুদের তুলনা করা হয় ফুলের সাথে। তারা আমাদের সমাজ, দেশ ও পৃথিবীর সৌন্দর্য শুধু বাড়ায় না, সুন্দর আগামী দিনের স্বপ্নও দেখায়।
২০০৮ সালে সেনাশাসিত মঈন ইউ আহমদ ও ফখরুদ্দীনের নীলনকশার নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পর তা চিরস্থায়ী করতে অঘোষিত একদলীয় শাসন বাকশাল-২ কায়েম করেছিলেন হাসিনা। ২০২৪-এর জুলাই আগস্টের ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ-বিক্ষোভ দমনে হাসিনার হত্যাযজ্ঞ বিশ্ববাসীকে কাঁদিয়েছে। ছাত্র-জনতা শোককে শক্তিতে পরিণত করে হাসিনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ প্রতিরোধ অব্যাহত রেখেছে। বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে বিজয় ছিনিয়ে এনেছে। শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছে হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকার ও তার দোসররা। ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন হাসিনা ও তার অবৈধ সরকারের সদস্যরা। ৩৬ জুলাই বিপ্লব নামে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি পেয়েছে ছাত্র-জনতার এ বিজয়।
হাসিনা ক্ষমতায় টিকে থাকতে দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাহারায় তার দলীয় ক্যাডার লেলিয়ে দিয়েছিলেন ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে। তারা এতটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল যে নিষ্পাপ শিশুদের রাস্তায় গুলি করে, রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে টর্চার সেলে নির্যাতন করে, আগুনে পুড়িয়ে এবং হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে হত্যা করেছে। ১লা জুলাই থেকে চলমান ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ-বিক্ষোভে ১৬ জুলাই খুব কাছে থেকে গুলি করে হত্যা করে তরুণ শিক্ষার্থী আবু সাঈদকে। রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের মেধাবী ছাত্র আবু সাঈদ। তাঁর হাতে ছিল প্রতিবাদের প্রতীক- গাছের একটি ভাঙা ডাল। ডাল হাতে তিনি সাহসের সাথে পুলিশের সামনে বুক চেতিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। স্বৈরাচারের পুলিশ ভয়ে ভীত হয়ে সেই সাহসী বুকে খুব কাছ থেকে গুলি করে তাকে হত্যা করে। দ্রোহের আগুন ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। কিশোর-তরুণ-ছাত্ররা রাস্তায় নেমে আসে। তাদের সাথে সংহতি প্রকাশ করে দেশের সর্বস্তরের জনতা। রক্তের অক্ষরে লেখা হয় ইতিহাস। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে বাংলাদেশে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। এতে বলা হয়েছে, ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে ১৪০০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। এ সময় আহত হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। আহতরা বাংলাদেশের নিরাপত্তাবাহিনীর দ্বারা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে মৃত্যুর সংখ্যা জানিয়েছে জাতিসংঘ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ১২-১৩ শতাংশ ছিল শিশু।
এক একজন শিশুর জীবন দেওয়ার কাহিনি এক একটি মহাকাব্য। স্বল্পপরিসরের একটি নিবন্ধে সেই মহাকাব্য লেখা সম্ভব নয়। তারপরও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ঘটনার আলোকে কিছু চিত্র তুলে ধরা হলো :
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে অভ্যুত্থানে ১৩২ শিশু-কিশোর ও ১১ নারী শহীদ হয়েছেন। তাদের প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ছবি আঁকতে পছন্দ করত নাঈমা সুলতানা (১৫)। সেদিনও আঁকছিল। আঁকতে আঁকতেই মাকে বলেছিল, সে পিৎজা বানাবে। এক ফাঁকে মাকে বলল, সে বারান্দায় যাচ্ছে শুকনা কাপড় আনতে। মেয়ের পেছন পেছন মা-ও যাচ্ছিলেন। নাঈমা বারান্দার দরজাটা খোলামাত্রই গুলিটা এসে তার মাথায় ঢুকে যায়। এভাবেই সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দিচ্ছিলেন মা আইনুন নাহার। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় গত ১৯ জুলাই রাজধানীর উত্তরার ৯ নম্বর সেক্টরের পাঁচতলা ভবনের চারতলার বারান্দায় গুলিবিদ্ধ হয় নাঈমা।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া কিশোর শাফিক উদ্দিন আহমেদ আহনাফ (১৭) গত ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বরে গুলিতে শহীদ হয়েছে। মা-বাবাকে সে সবসময় বলতো, বড়ো হয়ে এমন কিছু করবে, যার জন্য পরিবারের সদস্যরা তাকে নিয়ে গর্ব করবে।
জামিল হোসেন ও সামিরা জাহান দম্পতির একমাত্র সন্তান ছিল শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মাহিন (১৬)। ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে রাজউক কমার্শিয়াল কমপ্লেক্সের সামনে ছররা গুলিতে (শটগান) নিহত হয় সে। চার বছর বয়সি শিশু আবদুল আহাদ। এখনো স্কুলে যাওয়া শুরু করেনি। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে বাসার নিচে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষ দেখতে বারান্দায় বাবা-মায়ের সঙ্গে দাঁড়িয়েছিল ছোট্ট আহাদ। এক পর্যায়ে আচমকা মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে সে। প্রথমে ভেবেছিল আহাদ হয়তো ভয় পেয়ে লুটিয়ে পড়েছে। কিন্তু রক্ত ঝরতে দেখে আহাদকে দ্রুত ঢাকা মেডিক্যালে নেওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। কারণ বারান্দায় দাঁড়ানো আহাদের ডান চোখে লেগেছিল গুলি।
অপরদিকে দুপুরে খাওয়ার পর ছাদে খেলতে গিয়েছিল ছয় বছরের ছোট্ট শিশু রিয়া গোপ। ছাদে ওঠার কিছুক্ষণ পরেই বাসার সামনের রাস্তায় সংঘর্ষ বাধে। রাস্তার চিল্লাপাল্লা শুনে বাবা ছুটে যান ছাদ থেকে মেয়েকে ঘরে আনতে। কিন্তু মেয়েকে কোলে নিতেই হঠাৎ একটি বুলেট এসে বিদ্ধ হয় রিয়ার মাথায়। মুহূর্তেই ছোট্ট দেহটি ঢলে পড়ে বাবার কোলে।
‘মা আমি মিছিলে যাচ্ছি। আমি নিজেকে আর আটকিয়ে রাখতে পারলাম না। স্যরি আব্বুজান। তোমার কথা অমান্য করে বের হলাম। স্বার্থপরের মতো ঘরে বসে থাকতে পারলাম না...।’ ‘একদিন তো মরতে হবেই। তাই মৃত্যুর ভয় করে স্বার্থপরের মতো ঘরে বসে না থেকে সংগ্রামে নেমে গুলি খেয়ে বীরের মতো মৃত্যু অধিক শ্রেয়। যে অন্যের জন্য নিজের জীবনকে বিলিয়ে দেয়, সে-ই প্রকৃত মানুষ। আমি যদি বেঁচে না ফিরি তবে কষ্ট না পেয়ে গর্বিত হয়ো। জীবনের প্রতিটি ভুলের জন্য ক্ষমা চাই।- আনাস।’ মায়ের কাছে লেখা এ চিঠির লেখক ২০২৪-এর গণভ্যুত্থানের শহীদ আনাস।
এছাড়াও গত ১৯ জুলাই কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন চলাকালে মিরপুর কাফরুল থানার সামনের সড়কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশের ছোড়া কাঁদানে গ্যাসের ধোঁয়া ঢুকেছিল সামিরের ঘরে। গ্যাসের ধোঁয়া যেন বাসায় ঢুকতে না পারে সেজন্য জানালা বন্ধ করতে গেলে বাইরে থেকে হঠাৎ একটা গুলি এসে বিদ্ধ করে সামিরকে। গুলিটি তার চোখ দিয়ে ঢুকে মাথার পেছন দিয়ে বেরিয়ে যায়। পরবর্তীতে তাকে নিকটস্থ একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনা ভিন্নরকম শোনা গেলেও ঘটনাগুলোর কারণ এক। সবাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিশু শহীদ। তবে শুধুই আহাদ, রিয়া এবং সামির নয় গত জুলাই মাসের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিক্ষোভ দমনের সময় শহীদ হয় রাহাত, ইফতি, সিয়াম, নাইমা, আশিকসহ শতাধিকের অধিক শিশু। গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন বাংলাদেশের মাটিতে যদিও তাদের কোমলমতি পাগুলো পড়বে না কিন্তু তারা থেকে যাবে এদেশের মানুষের স্মৃতিতে। মানুষের হৃদয়ে তৈরি করবে বিপ্লবী কম্পন। আর এই কম্পন তৈরি করতে রং-তুলির মাধ্যমে চব্বিশের গণ-আন্দোলনে শহীদ ৬৭ জন শিশুর নামের তালিকা সংবলিত গ্রাফিতি করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কাম ফর রোড চাইল্ড। বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির করিডোরের দেওয়ালে অঙ্কিত বৃত্ত গাছটির প্রতিটি পাতায় লেখা হয়েছে ৬৭ জন শিশু-কিশোরের নাম। গাছটির একেকটি পাতা যেন একেক শিশু-কিশোরের স্মৃতি বহন করছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংগঠনটির সভাপতি শাহীদ কাওসার বলেন, “প্রতিটি শিশুই ফুলের মতো স্নিগ্ধ, পবিত্র এবং নিষ্পাপ। আগামীর শান্তি, সংস্কৃতি ও সভ্যতা নির্ভর করে শিশুদের ওপর। আজকের শিশুই আগামীর স্বপ্নময় বাংলাদেশের আলোর দিশারি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বিক্ষোভ দমনের সময় ৬৭ জন শিশু-কিশোরের মৃত্যু হয়েছে, যা খুবই মর্মান্তিক। দেশের ইতিহাসে এটি ন্যক্কারজনক ঘটনা। হয়তো এদের মধ্যে কেউ বিজ্ঞানী, কেউ ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিল্পী, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, রাষ্ট্রনায়ক হতো। আমরা এই ফুলগুলোর স্মৃতি স্মরণে রাখতে এই গ্রাফিতি অঙ্কনের উদ্যোগ নিয়েছি।”
গত জুলাই আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন। এতে পুলিশ এবং অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক শিশুদের হত্যার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশ এবং অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক শিশুদের হত্যা ও পঙ্গুত্ববরণের প্রমাণ মিলেছে। এছাড়া তাদের নির্বিচারে গ্রেফতার, অমানবিক অবস্থায় আটক এবং অত্যাচার করা হয়েছে। জাতিসংঘ ধানমন্ডিতে ১২ বছর বয়সি এক শিশুর মৃত্যুর বর্ণনা তুলে ধরেছে। এতে বলা হয়েছে, ধানমন্ডিতে একজন ১২ বছর বয়সি বিক্ষোভকারী প্রায় ২০০টি ধাতব গুলি ছোঁড়ার কারণে সৃষ্ট অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণের কারণে মারা যায়। এছাড়াও, নিহতদের মধ্যে ছিল খুব ছোট শিশু যাদের তাদের পিতা-মাতারা বিক্ষোভে নিয়ে গিয়েছিলেন অথবা যারা পথচারী হিসেবে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। এতে নারায়ণগঞ্জের একটি ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে ছয় বছর বয়সি এক শিশু বাড়ির ছাদে দাঁড়িয়ে একটি বিক্ষোভের সংঘর্ষ প্রত্যক্ষ করার সময় মাথায় গুলির শিকার হয়েছিল। প্রতিবেদনে বিক্ষোভের শেষ এবং সবচেয়ে প্রাণঘাতী দিন ৫ আগস্টের একটি ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে। এ দিন আজমপুরে পুলিশের গুলিতে আহত ১২ বছর বয়সি ছেলের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, পুলিশ সব জায়গায় বৃষ্টির মতো গুলি করছিল। তিনি অন্তত এক ডজন মৃতদেহ দেখতে পেয়েছিলেন বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি এমন ঘটনাগুলোও নথিভুক্ত করেছে, যেখানে নিরাপত্তা বাহিনী আহত বিক্ষোভকারীদের জরুরি চিকিৎসা সেবা প্রদানে বাধা দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। আহত হয়ে যারা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেছে পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এবং হাসপাতালগুলো থেকে তাদের আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করেছে, চিকিৎসা কার্যে নিয়োজিত কর্মীদের ভয় দেখিয়েছে এবং হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ জব্দ করেছে, যা পরিষ্কারভাবে প্রকাশ করে যে, আইনানুগত প্রক্রিয়া ছাড়া বিক্ষোভকারীদের শনাক্ত করার এবং রাষ্ট্রীয় বাহিনীর সহিংসতার মাত্রা কোন পর্যায়ে ছিল তা গোপন করার চেষ্টা করেছে পতিত স্বৈরাচার হাসিনা।
৩৬ জুলাই বিপ্লবের শহীদ শিশু-কিশোররা ঝরে পড়া না ফোটা ফুল। শাহাদাত বরণ করা আমাদের প্রিয় সন্তানদের আমরা আর ফিরে পাবো না। কিন্তু ওরা চিরদিন বেঁচে থাকবে আমাদের প্রেরণার উজ্জ্বল প্রদীপ হয়ে। ওদের প্রতি আমাদের দায়, খুনি রক্ত পিপাসু ক্ষমতা লোভী স্বৈরাচার হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা। তবেই আর কোনো স্বৈরাচার শিশু-কিশোরদের রক্ত নিয়ে ছিনিমিনি খেলার সাহস দেখাবে না।
আরও পড়ুন...