শ্রাবণের বাদল ধারা
আমাদের কথা কিশোরকণ্ঠ ডেস্ক জুলাই ২০২৪
প্রাণপ্রিয় বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম।
আশা করি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছো।
আষাঢ় ছাড়িয়ে এখন শ্রাবণে চলে এলো বৃষ্টি। শ্রাবণ মানেই তো মুষলধারায় বৃষ্টি নামার শব্দ। আকাশ গুরু গম্ভীর। মেঘাচ্ছন্ন। চারিদিকে অন্ধকার। থমথমে ভাব। থৈ থৈ পানি। শ্রাবণ তো এমনই।
শ্রাবণ এলেই বদলে যায় গ্রাম বাংলার রূপ বৈচিত্র্য। প্রকৃতি অন্য এক অনন্য সুন্দরে সেজে ওঠে।
শ্রাবণে যখন তখন বৃষ্টি নামে। কখনো বা মুষল ধারে। বৃষ্টির শব্দটাও খুব চমৎকার!
এ সময় বাইরে বের হওয়া খুব কষ্টকর। স্কুলে যেতেও অনেক সমস্যা। তারপরও কিন্তু শ্রাবণের মজাটাই আলাদা!
বাইরেও নামা যায় না, আবার ঘরেও বসে থাকতে ইচ্ছে করে না। মন ছুটে যায় বৃষ্টির মধ্যে মাঠ-ঘাট আর পুকুর পাড়ে। মন চায় বৃষ্টিতে ভিজতে।
সত্যিই তাই। শ্রাবণের বাদল দিনে কারই বা ঘরে বসে থাকতে ইচ্ছে করে! ছুটে যেতে মন চায় দূর-দিগন্তে, ভেজা ঘাসফুল আর ফসলের গন্ধ শুঁকতে।
শ্রাবণ আমাদের মনকে উদাস করে তোলে। হৃদয়টা ভিজিয়ে দিয়ে যায়। আর ভাবনার জগতে ছুটে চলে কত শত স্বপ্নের পাখিরা! আবার কখনো বা রিমঝিম বৃষ্টির গন্ধে মন টেনে নিয়ে যেতে চায় শাপলা ফোটা বিল কিংবা খালের ধারে।
কিন্তু সাবধান! মন চাইলেও অসতর্ক হওয়া যাবে না। একটু অসতর্ক হলেই নেমে আসতে পারে যে-কোনো ধরনের বিপদ। তাই সর্বদা সতর্কভাবে পা ফেলতে হবে বৃষ্টির দিনে।
তোমরা সবাই ভালো থেকো, সুস্থ থেকো আল্লাহর রহমতে।
আজ এই পর্যন্তই!
আল্লাহ হাফিজ।
আরও পড়ুন...