অনুশোচনা

অনুশোচনা

গল্প ডিসেম্বর ২০১৪

তমসুর হোসেন #

golpoএক কাক দম্পতির মনে বড় দুঃখ। কারণ তাদের কোন সন্তান নেই। সন্তানের আশায় প্রতিবেশীরা তাদের যা যা করতে বলল সেসব পালন করেও কোন ফল হলো না। পীরের খানকায় দোয়া তাবিজ নিয়ে এবং মসজিদে পায়েস ফিরনি বিলিয়েও তাদের মনের আশা পূরণ হলো না। বাধ্য হয়ে তারা ভালো ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিলো। কিন্তু ডাক্তার পরীক্ষা করে জানালেন তাদের সন্তান লাভের কোনো সম্ভাবনা নেই। অবশেষে তারা সন্তান দত্তক নেয়ার কথা ভাবল। কিন্তু তাদেরকে কেউ সন্তান দিতে রাজি হলো না। পাখি পয়ালরা তাদের বাচ্চাদের খুব কম সময়ই কাছে রাখার সুযোগ পায়। এই অল্প সময়ের জন্য অন্যকে সন্তান দেয়ার প্রশ্নই ওঠে না। কিন্তু কাকের ভাবনা অন্য রকম। সন্তান না থাকলে বুড়ো বয়সে কে তাদের দেখাশুনা করবে। বাবা-মা বলে ডাকার জন্যও তো সন্তানের দরকার। তারা মরে গেলে তাদের পরিত্যক্ত সম্পদই বা কে আগলে রাখবে। এসব কথা ভেবে তাদের কিছুই ভালো লাগছিল না। পুরুষ কাকটার নাম ফুটুস। আর তার স্ত্রীর নাম ছিল চুমসি। সন্তানের চিন্তায় ফুটুস সংসারের কাজকর্ম প্রায় ছেড়েই দিয়েছিল। ধর্মের প্রতি তার উদাসীনতা এতটা বেড়ে গিয়েছিল যে সে উপাসনার অনুষ্ঠানেও যাওয়া পছন্দ করত না। সৃষ্টিকর্তা যদি মনের আশা পূরণ না করে তবে তার অর্চনা করে লাভ কী। সে সারাদিন গাছের শাখায় বসে খারাপ কাকদের সাথে ধর্মবিরোধী কথা বলে সময় কাটায়। তার স্ত্রী চুমসি তাকে অনেক সান্ত্বনা দেয়। কিন্তু ফুটুস তাকে ধমক দিয়ে খামোশ করে দেয়। ‘আপনি আমার সাথে অমন রাগ করেন কেন?’ ‘কানের কাছে ভ্যান ভ্যান করলে কী করব?’ ‘ভাল কথা বললে সেটা ভ্যান ভ্যান হয়? ‘কোনটা ভালো কথা বলেছ শুনি? ‘আপনি স্রষ্টার নাম নেয়া ছেড়ে দিয়েছেন। অনেক লোকের সন্তান নেই। তারা তো এমন করে না।’ ‘তাদের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। তারা বোকা বলে আমিও বোকা হবো?’ ‘স্রষ্টাকে ডাকলে মানুষ বোকা হয়?’ ‘ভক্তের কথা যে শোনে না তাকে ডাকা বোকামি ছাড়া কী?’ একদিন ফুটুস বিমর্ষ মনে বাসায় ফিরছিল। হঠাৎ সে দেখল একটা কোকিলের বাচ্চা মাটিতে পড়ে আছে। আশপাশে তার মা-বাবা নেই। মনে হয় সে বাসা থেকে মাটিতে পড়ে গেছে। আঘাত পেয়ে কেমন মরার মতো পড়ে আছে। গায়ের ধুলো ঝেড়ে ফুটুস ওকে বাসায় নিয়ে চলল। তারপর যতœ করে ওষুধপত্র খাইয়ে ওকে সুস্থ করে তুলল। সুস্থ হয়ে উঠলে ভালো করে সাবান মেখে গোসল করিয়ে নতুন জামা গায়ে দিল। ভাল ভালো খাবার খাইয়ে ওকে কোলে নিয়ে আদর করল। চুমসি ফুটুসকে বলল, ‘আপনি কেমন ছানা এনেছেন। এটা তো কোকিলের ছানা।’ ‘আরে তাতে কী হয়েছে। ওকে তো আমি কুড়িয়ে পেয়েছি। ওর বাবা-মা জানলে কি আনতে দিত?’ ‘কোকিলের বাচ্চা পুষে আমাদের কী লাভ? বড় হলে তো চলে যাবে।’ ‘আরে হোক না আগে বড়। দেখে শুনে রাখলে ঠিকই আমাদের কাছে থাকবে।’ ‘কাক হয়ে কোকিলের ছানা মানুষ করছি লোকে কী বলবে?’ কুড়িয়ে পাওয়া ছানাটাকে তারা নিজ সন্তানের মতো করে লালন করতে লাগল। তারা ওর নাম রাখল ভরসা। ভরসা যখন আধো আধো শব্দে ওদেরকে বাবা-মা বলে ডাকতে লাগল তখন ওরা আনন্দে অধীর হয়ে উঠল। কিসে তার মঙ্গল হবে এই ভাবনায় তারা ব্যস্ত হয়ে পড়ল। পাতিকাক চুমসি বলল, ‘ভরসাকে অনেক বড় ডাক্তার বানাব।’ ‘কেন ওকে ডাক্তার বানাব? আমরা কষ্ট করে মানুষের সুখ করব?’ ‘কী বানাবে তাহলে?’ ‘ও নিজ থেকে যা হয় হবে।’ ‘কেন ডাক্তার হলে ও আমাদের চিকিৎসা করবে।’ ‘চিকিৎসা করে এখন আগুন লাগাবে। বড় হলে ব্যবসা ট্যাবসা করবে। না হয় টেম্পো চালাবে।’ ‘লোকে বাচ্চাকে কত কি বানায়। তুমি করাবে ব্যবসা।’ ‘অত বক বক কর না। ওসব পরে দেখা যাবে। একটা বাচ্চা ধরে আনার মুখ হয়নি। তার আবার বকর বকর। ওকে নিয়ে তোমার অত ভাবতে হবে না।’ পাতিকাক চুমসি স্বামীর সাথে বিতর্কে না যেয়ে সন্তানের সেবায় মন দিলো। প্রতিদিন ঝরণা থেকে পানি এনে ওকে গোসল করায়। যখন যা মনে চায় সংগ্রহ করে এনে খাওয়ায়। সে ভরসাকে ছেড়ে দূরে যায় না। সারাদিন বাসার কাছাকাছি থাকে। একদিন সে সামান্য সময়ের জন্য একটা বিশেষ কাজে বাইরে যেতে বাধ্য হয়। ফিরে এসে তো তার চোখ ছানাবড়া। ভরসা বাসা থেকে বেরিয়ে গাছের একটা চিকোন ডালে গিয়ে বসে আছে। দেখে তার বুকটা ধড়াস্ করে উঠল। ফুটুস যদি কোনক্রমে এ কথা জানতে পারে তাহলে তাকে আস্ত রাখবে না। রাতে চুমসি মেজাজ বুঝে ফুটুসের কাছে তুলল কথাটা। ‘তুমি যদি রাগ না কর তাহলে একটা কথা বলি।’ ‘অত ভণিতা না করে কী হয়েছে বল।’ ‘আমি কিন্তু ভরসাকে নিয়ে আর পারছি না।’ ‘কী করেছে ও।’ ‘কখন যে বাসা থেকে পড়ে যায় কে জানে। যখন তখন চিকোন ডালে গিয়ে বসে থাকে।’ ‘তুমি ওকে সামলে রাখতে পার না? আমাকে বলছ কেন?’ ‘আমারও তো রান্নাবান্না, ঘর সামলানো কত কাজ আছে। ওর কাছে বসে থাকলে ওসব কে করে দেবে?’ ‘ভালোই ভ্যাজালে পড়লাম দেখি।’ ‘তুমি আজই ওঝার কাছে গিয়ে ওর জন্য একটা তাবিজের ব্যবস্থা কর।’ চুমসির কথা শুনে ফুটুস বেশ ভাবনায় পড়ল। ভরসা এখন দু’এক পা করে হাঁটতে পারে। তাতেই এ অবস্থা! উড়তে শিখলে কোথায় যে ফুড়–ৎ করে পালিয়ে যাবে বলা যায় না। সে লোকমুখে শুনেছে ডাব্বা-শকুন বাচ্চাদের ভালোই তাবিজ দিয়ে থাকে। তার তাবিজ গলায় বেঁধে দিলে বাচ্চারা বাড়ির বাইরে যেতে চায় না। একদিন সকালবেলা ফুটুস ভরসাকে নিয়ে ডাব্বা-শকুনের কাছে গেল। শকুনকে সে সব কথা খুলে বলল। তার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনে শকুন বলল, ‘ওসব নিয়ে অত চিন্তা করছ কেন? হেঁটে তো বেশি দূর যেতে পারবে না। উড়তে শিখলে তখন এস।’ ‘না না শকুন মশাই। আপাতত একটা তাবিজ দিন। কোনকিছুর নজর তো লাগতে পারে।’ ‘তা অবশ্য ঠিক বলেছ। তাবিজের মূল্যটা এনেছ তো।’ ‘ওসব আমি নিয়েই এসেছি।’ ‘দাও দেখি পাঁচ টাকা বার আনা আর এক কেজি গরুর মাংস।’ শকুনের কাছে তাবিজ নিয়ে সন্তানের গলায় ঝুলিয়ে খুশি মনে বাড়ি ফেরে ফুটুস। তার মনে একটাই সান্ত্বনা ডাব্বা-শকুন তার বিষয়টা মাথায় নিয়েছে। পাতিকাককে খবরটা জানাল সে। ভরসার গতিবিধির দিকে তাকে আরও সতর্ক নজর রাখতে বলল সে। সন্তানের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য সাধ্যমত সবকিছু করার ইচ্ছা আছে তার। ‘একটা কথা খেয়াল রেখ ভরসার মা। এক কথা বারবার বলতে পারব না।’ ‘কী কথা?’ ‘কাজের ফাঁকে ফাঁকে ওর দিকে নজর রেখ।’ ‘সেটা আপনাকে বলতে হবে না।’ ভরসা উড়তে শিখলে মনের আনন্দে এদিক সেদিক উড়ে বেড়াতে লাগল। উড়তে পারার উল্লাসে সে মাঝে মাঝে অনেক দূর পর্যন্ত যেতে লাগল। একদিন সে সন্ধ্যা উতরে যাওয়ার অনেক পরে বাসায় ফিরল। কাজ থেকে ফিরে ভরসাকে দেখতে না পেয়ে ফুটুস অনেক বকা দিল চুমসিকে। ‘ভরসাকে দেখছি না যে। কোথাও গেছে নাকি?’ ‘সে কথা আমি কেমন করে বলব। ও ফিরলে তুমি নিজেই জিজ্ঞেস কর। আমার কথা শুনলে তো।’ ‘আমি জিজ্ঞেস করব মানে? তোমাকে কী বলেছিলাম?’ ‘এখন ও উড়তে পারে। পাখা মেললেই চোখের আড়াল। কেমন করে আটকাব আমি।’ ‘সেটা আমি শুনতে চাই না। ভরসা না ফিরলে খবর আছে তোমার।’ ‘কী খবর হবে আমার। অত যদি বলছ ওকে সাথে করে নিয়ে যেতে পার না?’ স্বামীর কথা শুনে পাতিকাক চুমসি কেঁদে আকুল হলো। একে ভরসা না ফেরার দুশ্চিন্তা তার ওপর স্বামীর শাসন। কতটা তার সহ্য হয়। সারাদিন সে কতটা আতঙ্কের মধ্যে থাকে তা একমাত্র সৃষ্টিকর্তাই জানে। ভরসাকে খুঁজে খুঁজে সে এতটা পরিশ্রান্ত আর আনমনা হয়েছে যে খাবার কথা মনে ছিল না। তার আশা ছিল স্বামী এসে তাকে সান্ত্বনা দেবে এবং ভরসাকে ধরে আনার ব্যবস্থা করবে। কিন্তু ওসব না করে সে যখন তাকে কটু কথা বলতে লাগল তখন সে দূরের একটা মরা গাছের ডালে বসে মনের দুঃখে কাঁদতে লাগল। রাগ কমে গেলে চুমসিকে বাসায় নিয়ে আসল ফুটুস। ততক্ষণে এক বন্ধুকে নিয়ে ভরসা ফিরে এসেছে। রাতে খানাপিনার পর ফুটুস ভরসাকে অনেক বোঝাল। ‘আজ কোথায় গেছ সোনাবাবা?’ ‘ওটা জায়গার নাম দিনহাটা। ওখানে আমার বন্ধুর বাড়ি।’ ‘তোমার আম্মুকে বলে যাওনি কেন?’ ‘ভেবেছি যাব আর আসব। কিন্তু ওরা আসতে দিলে তো। আমার বন্ধুর সাথে কথা বল।’ ‘বন্ধুকে নিয়ে এসেছ? ভালোই করেছ। তা বাবা তোমার নাম কী?’ ‘আমার নাম দিবস। দিনহাটার সুখমের ছেলে আমি।’ ‘বেশ। তোমার বাবা খুব ভালো মানুষ। মনে পড়লে এস আমাদের বাড়িতে।’ সারারাত ফুটুসের চোখে ঘুম এলো না। এখনই এই অবস্থা। মুখে দাড়ি মোছ গজায়নি তাতে বন্ধুর বাড়িতে যেয়ে আড্ডাবাজি। আর যখন গর্দানে শক্তি হবে তখন তুমি বা কে আর আমি কে। আরে কোকিল জাতটা হলো অন্যের ভাত মারা। কাকের ডিম খেয়ে আবার তাদেরই পাখার তলে ওরা ছানা মানুষ করে নিয়ে যায়। মুখের খাবার দিয়ে ওদের পুষে খুব যে সুবিধা হবে না তা ফুটুস আগেই আন্দাজ করেছে। চুমসিকে সে বলল, ‘কেমন দেখছ তোমার ছেলের কান্ড?’ ‘ও এখনও ছেলেমানুষ। এখন ওসব কথা বলা কি ঠিক হবে।’ ‘ঠিক হবে না মানে? কথায় বলে বাড়ন্ত বাঙ্গার দু’পাতায় চিন।’ ‘ও সব খোদানারাজি কথা রাখুন। এ বয়সে ছেলেপেলেরা অমনই হয়।’ ‘তুমি যাই বল। আমি ওর ভাবসাব খুব একটা ভালো দেখছি না। এই ছেলে যে বুড়ো বয়সে আমাদের খাওয়াবে বিশ্বাসই হয় না।’ ‘তোমার মুখে কিছুই বাধে না। একটা অবুঝ বাচ্চাকে নিয়ে কত কী বলছ।’ ‘আরে অবুঝ বাচ্চা বলছ কী। সাত গ্রাম পার হয়ে দিনহাটা গেছে বন্ধুর দেখা করতে। এ কথা কার বিশ্বাস হবে।’ সকালে ফুটুস ভরসাকে নিয়ে গেল ডাব্বা-শকুনের কাছে। তার কাছে ভরসার চলাফেরা সম্পর্কে সবকিছু বলল সে। সে এ কথাও বলল, এখনই সে আমার শত্রুর ছেলেপেলেদের সাথে পট্টি করে বেড়াচ্ছে। স্রষ্টা জানে আমার ভাগ্যে কী আছে। সব শুনে শকুন বলল, ‘এই বুঝি তোমার সন্তান। তুমি হলে খান্দানী কাক আর এ হলো আন্ডাচোরা বান্দর।’ ‘নিজের তো নেই। তবে ওকে আমি জংগলে কুড়িয়ে পেয়েছি।’ ‘পথের জঞ্জাল ঘরে এনেছ কেন?’ ‘কী করব। আঁটকুড়া নামটা তাহলে ঘুচবে কী করে। লোকের কথায় কান ঝালাপালা।’ ‘তাই বুঝি। আগে বলনি কেন? বাচ্চা দত্তক দিতে কতজন লাইন ধরে আছে।’ ‘যা হবার হয়েছে। এখন কী করবেন বলুন। আমার কথা ও যেন বাসা থেকে বের হতে না পারে।’ ‘আমিও ভেবেছি সে কথা। পাখা দুটো ভেঙে দিলে হয়।’ ‘ব্যথায় যদি অসুস্থ হয়ে মরে যায়।’ ‘তাহলে আমি আছি কিসের জন্য। দুই দাগ ওষুধ দিলে সব ঠিক হবে।’ ‘যা ভালো হয় করেন। উড়তে না পারুক চোখের সামনে তো থাকবে।’ কাকের কাছে ডাব্বা-শকুন তার চিকিৎসক জীবনের অনেক অভিজ্ঞতার কথা বলল। পাখার কী দরকার। উটপাখির যে পাখা নেই তাই বলে তার কিছু আটকে থাকছে। তার কাছে এখন অনেকেই এসে পাখা কেটে নিয়ে যায়। কালে পাখাকে সবাই ঝামেলার বিষয় মনে করছে। অনেকের তো হাত গজাচ্ছে পাখার জায়গা দিয়ে। এসব কাহিনী শুনে কাক শকুনের প্রস্তাবে সম্মতি দিল। আর তখনই শকুন তার ধারাল ঠোঁট দিয়ে ভরসার সুন্দর পাখা দুটো কেটে দিল। গাছের পাতা থেঁতলিয়ে তাতে ব্যান্ডেজ বেঁধে দিয়ে মোটা অঙ্কের দর্শনী নিয়ে ডাব্বা-শকুন ফুটুসকে সন্তানসহ বাড়ি পাঠিয়ে দিল। বাড়ি ফিরে কাটা জায়গা থেকে রক্তপাত হতে হতে ভরসা নিস্তেজ হয়ে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ল। তার চিকিৎসার জন্য সে অনেক ওঝা নিয়ে আসল কিন্তু কেউ কোন উপকার করতে পারল না। মাঝ থেকে তার অনেক অর্থ খরচ হয়ে গেল। ছেলেকেও তো বাঁচাতে পারল না। কাক বুঝতে পারল কতবড় সর্বনাশ তার করেছে শকুন। যার বিরুদ্ধে একটি টুঁ শব্দ উচ্চারণ করার ক্ষমতা তার নেই। কারণ সেই এই বনের নামজাদা লোক। নিজের হঠকারিতা এবং গোঁয়ার্তুমির জন্য সে সন্তানকে চিরতরে হারিয়ে ফেলল। অনুশোচনার তীব্র যন্ত্রণায় জ্বলতে লাগল ফুটুস। আর ঠোঁট দিয়ে তার দেহের পালক ছিঁড়তে লাগল।

আপনার মন্তাব্য লিখুন
অনলাইনে কিশোরকন্ঠ অর্ডার করুন
লেখকের আরও লেখা

সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ

আরও পড়ুন...

CART 0

আপনার প্রোডাক্ট সমূহ