আয়রে আমার ছেলেবেলা- বউচি খেলার মাঠ
ঝিল্লি-ডাকা সাঁঝের বেলা, মজার সহজ পাঠ।
ধানকাটা ক্ষেত-বিলের জলে শামুক-খোঁজা ভোর
ঘাসের ডগায় স্নিগ্ধ-শিশির- আহ্ কী মনোহর!
বাড়ির পাশে পুঁইয়ের মাচা, লাউ-করলার ঝাড়
গাভীর গলায় হাত বুলিয়ে দিতাম ভাতের মাড়!
চাঁদনি রাতে মাদুর পেতে উঠোন কোণে ঘুম
মিষ্টি হাওয়ার পরশ যেন সোহাগমাখা চুম।
পায়রামুখর শান্ত সকাল- বাকুম বাকুম বাক
চতুর্দিকে হাজার পাখির মোহন সুরের ডাক।
বিকেলবেলা লাটাই-ঘুড়ি কিংবা খেলার বল
সঙ্গী হতো দু’তিন পাড়ার ডানপিটেদের দল।
পুকুরজলে কলার ভেলা ঝাপুর ঝুপুর ডুব
দুপুর রোদে গঙ্গাফড়িং ধরতে ছোটা খুব।
খড়-পাতাতে আগুন জ্বেলে শীত তাড়ানো রাত
খেজুর রসে ভাপা পিঠা- মুগ্ধ সুপ্রভাত!
ডাকপিয়নের চিঠির ঝোলা- কিরিং কিরিং বেল
নিকটজনের পত্র যেন ছোটায় খুশির রেল!
ছুটির দিনে বাবার সাথে বাজার করার সুখ
বনভোজনে মেতে ওঠা চকচকে চোখ-মুখ!
মায়ের সাথে মামার বাড়ি- বছর শেষের ট্যুর
লেখাপড়ার নেই ঝামেলা- আবেগনাচা সুর!
আয়রে আমার ছেলেবেলা- স্বপ্নরঙিন দিন
মন ছুঁয়ে যায়, মন ছুঁয়ে যায়- স্মৃতি অমলিন!