খুনী ধরা

খুনী ধরা

প্রচ্ছদ রচনা মে ২০১৩

রহস্যভেদ

রহস্যপ্রিয় বন্ধুরা, আস্সালামু আলাইকুম। বরাবরের ন্যায় এই সংখ্যায়ও ছোট্ট একটি রহস্যগল্প থাকছে তোমাদের জন্য। মাথা খাটিয়ে রহস্যটা বের করে পাঠিয়ে দিয়ে জিতে নাও আকর্ষণীয় পুরস্কার। উত্তরপত্রে মাসের নাম ও পূর্ণ ঠিকানা থাকতে হবে। খামের ওপরে ‘রহস্যভেদ’ লিখতে ভুল করো না। -বিভাগীয় পরিচালক

খুনী ধরা

খুনের সাথে জড়িত থাকতে পারে এমন সন্দেহে চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে এনেছে পুলিশ।
দুয়েকটা প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার পর আবুল শেখকে যেতে বলল রাসেল। মানিককে প্রশ্ন করল, ঝড়-বৃষ্টির মাঝে তুমি কেন রিকসা চালাচ্ছিলে? জবাবে সে জানাল, রেলস্টেশন থেকে একজন প্যাসেঞ্জার তার রিকসায় ওঠে। সে এই শহরে নতুন এসেছে। কিছুতেই ঠিকানা খুঁজে পাচ্ছিল না। তাই তাকে ঠিকানা খুঁজে দিতে একটু দেরি হয়। সামনের ওই বাড়িটাতেই তাকে নামিয়ে দিয়ে বাড়ি ফিরে গেছে সে। এদিকে আজ ভোর হতেই বাড়িতে পুলিশ গিয়ে হাজির হয়। জানতে পারে খুনের ব্যাপারটা। পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসে। আর এসে লাশটা দেখেই চমকে ওঠে ও। এ লোকটিকেই তো সে কাল রাতে ওই বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছিল! মানিক কসম খেয়ে কেঁদে-কেটে জানাল এই খুনের ব্যাপারে সে কিছুই জানে না। রাসেল মাহফুজ কোনো মন্তব্য না করে এবার পথচারী দু’জনের একজনকে ডাকল।
‘কাল তো প্রচণ্ড বৃষ্টি হয়েছে।’ বলল রাসেল। ‘সঙ্গে ঝড়ও। পাশেই একটা নারকেল গাছে বাজ পড়েছে।’
ওকে কথা শেষ করতে না দিয়েই প্যাঁচাল মিয়া বলল, ‘হ্যাঁ, বিকট শব্দে বাজটা পড়েছে। আর বাজ পড়ার পর বিদ্যুৎ চমকের বিষয়টাও কেমন অদ্ভুত! ওভাবে বিদ্যুৎ না চমকালে তো বুঝতেই পারতাম না যে লোকটা খুন হয়েছে। স্পষ্ট দেখা গেল লোকটা রক্তের মধ্যে গড়াগড়ি খাচ্ছে। দু’টো লোককে দৌড়ে পালাতেও দেখলাম।’
রাসেলের ভ্রƒ-জোড়া কেমন কুঞ্চিত হয়ে উঠল। ডাকল দ্বিতীয় পথচারীকে। জানতে চাইল, ‘প্যাঁচাল মিয়াকে তুমি আগে কখনও দেখেছ?’
‘না ভাইজান।’ প্রায় কেঁদে দেবে দ্বিতীয় পথচারী- নবীন হোসেন। ‘আমি তো প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে দেখে ওই বাড়িটার কাছে সানসেটের নিচে আশ্রয় নিই। বিশ্বাস করেন ভাইজান, আমি জানি না কে খুন করেছে। আমাকে ছেড়ে দেন গো ভাইজানেরা!’
রাসেল মাহফুজ পুলিশ ইন্সপেক্টরকে বলল, ‘প্যাঁচাল মিয়াকে অ্যারেস্ট করেন। প্রাথমিকভাবে বোঝা যাচ্ছে সে খুনের সাথে জড়িত। কারণ সে মিথ্যা বলেছে। সম্ভবত ওকে আরোও জিজ্ঞাসাবাদ করলে খুনীকে ধরা সহজ হবে।’
বন্ধুরা, বলতে হবে, রাসেল মাহফুজ কিভাবে বুঝল যে প্যাঁচাল মিয়া মিথ্যা বলেছে?
মার্চ ২০১৩ সংখ্যার উত্তর : ‘আমার ফুলের বাগানে আমি সবাইকে ঢুকতে দেব কিন্তু কাউকে দেব না’ অর্থাৎ গরুকে ঢুকতে দেব না। ইংরেজি কাউ মানে গরু।
পুরস্কার বিজয়ী : মো: রায়হান ফেরদৌস, হামিদপুর, যশোর। হ
                        
আপনার মন্তাব্য লিখুন
অনলাইনে কিশোরকন্ঠ অর্ডার করুন
লেখকের আরও লেখা

সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ

আরও পড়ুন...

CART 0

আপনার প্রোডাক্ট সমূহ