খোলা ডাক
প্রচ্ছদ রচনা জুন ২০১২
জীবনের আলোকবর্তিকা। কিশোরকণ্ঠ আমার প্রাণের পত্রিকা। জ্ঞানের বিশাল সাগরে এ যেন এক বিশাল জাহাজ। অসত্য, অসুন্দরের পথে এ যেন আমার জীবনের আলোকবর্তিকাস্বরূপ। কিশোরকণ্ঠই আমার জীবন গড়ার প্রেরণা জোগায়, দীক্ষা দেয়, সত্য পথের যাত্রী হওয়ার জন্য। তাইতো আমি মনপ্রাণ দিয়ে কিশোরকণ্ঠ পত্রিকাকে ভালোবাসি। আব্দুল বাছিত, কানাইঘাট, সিলেট বাংলা আর বাঙালির সাথে কিশোরকণ্ঠ! তুমি যে ঠিক কী তা যেন কোনো ভাষার অলঙ্কৃত উপমাতেও খুঁজে পাওয়া ভার। বর্তমান প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করতে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ পত্রিকা ম্যাগাজিনগুলো যেখানে নিয়ামকের ভূমিকা পালনে ব্যস্ত, সেখানে তুমি তোমার সাহসী মানুষের গল্প, কুরআন ও হাদিসের আলো, ছড়া-কবিতাসহ প্রভৃতি বিভাগের লেখাগুলোর মাধ্যমে প্রতিবারই যেন পাঠকদের সামনে হাজির হচ্ছ নতুন নতুন রূপে। কিন্তু তুমি তোমার এত সব নতুন নতুন রূপ আর ভিন্ন আঙ্গিকের লেখাগুলোর মাধ্যমে অবিরাম একটি বার্তাই যেন পৌঁছে দিয়ে যাচ্ছ, আর তা হলো ‘এসো আলোর পথে’। অব্যাহত থাকুক তোমার এই মহৎ প্রচেষ্টা। পৌঁছে যাক এই বার্তা, প্রতিটি মানুষের হৃদয়ের দ্বারে দ্বারে। আর তুমি, টিকে থাকো, মিশে থাকো বাংলা আর বাঙালির অস্তিত্বের সাথে সাথে। শাহনাজ পারভীন শিল্পী সপুরা, রাজশাহী জাদুর টান আমার সাথে কিশোরকণ্ঠের সম্পর্ক অনেক পুরনো। শিশু-কিশোরদের প্রতিভাকে বিকশিত করার অনন্য মাধ্যম এটি। এই পত্রিকাটি তার অভীষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে বাস্তবায়নের জন্য দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, প্রাণান্তকর ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে জাদুর ন্যায়। সেই জাদুর টানে কম বেশি সবাই মুগ্ধ। মুহাম্মদ নেজামুল ইসলাম পুইছড়ী, বাঁশখালী, চট্টগ্রাম বন্ধুর মত বন্ধু ছাত্রজীবনে অনেক রকম বন্ধু পাওয়া যায়। বাস্তব জীবনে এসব বন্ধু থাকা সত্ত্বেও কিশোরকণ্ঠ আমার একমাত্র অন্তরঙ্গ বন্ধু। কারণ, জীবন গঠনের জন্য কিশোরকণ্ঠ আমার মনে অনুপ্রেরণা জোগায় এবং জীবনকে সঠিক পথে ধাবিত করার জন্য আলোকিত পথের সন্ধান দেয়। নববর্ষের কিশোরকণ্ঠ আমার খুব ভালো লেগেছে। বিশেষ করে সাহসী মানুষের গল্প, নববর্ষ : নব আনন্দে জাগো, সেন্টমার্টিনের টানে এবং জ্ঞানমূলক অন্য বিভাগগুলোও চমৎকার হয়েছে। তাই আমি মনে করি আমার মত সারা বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের প্রিয়বন্ধু কিশোরকণ্ঠ। মাহফুজুর রহমান খান সড়কের বাজার, কানাইঘাট, সিলেট আলোর হাতছানি কিশোরকণ্ঠ আমাদের সকলের মনে স্থান করে নিয়েছে। মাদরাসায় ত্রৈমাসিক কুইজ প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে সকলের আগ্রহ বেড়েছে এর প্রতি। এ ছাড়াও প্রথম জাতীয় কিশোরকণ্ঠ পাঠ প্রতিযোগিতা-২০১২ এর আয়োজন করায় কিশোরকণ্ঠ ফাউন্ডেশনকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ। কিশোরকণ্ঠেই পেয়েছি আলোর হাতছানি। রাকিবুল ইসলাম ইমন বামনপুর, চারমাথা, জয়পুরহাট প্রিয়সঙ্গী আমি আমার জীবনের প্রথম সঙ্গী কিশোরকণ্ঠ হাতে পেয়েছি। এটি আমার প্রিয়সঙ্গী। এটি হাতে আসা মাত্রই আমি কুরআনের আলো থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ি। কিশোর জিজ্ঞাসা থেকে আমি অনেক জ্ঞান অর্জন করতে পারি। কিশোরকণ্ঠের উপন্যাস আমার খুব ভালো লাগে। আমি কিশোরকণ্ঠ থেকে ইংরেজি শিখতে পারি। কিশোরকণ্ঠ আমার জীবন গড়তে পথ দেখায়। আমি যখনই সুযোগ পাই তখনই কিশোরকণ্ঠ পড়ি। মুক্তাদ্বীরুল মোমেন জিম পবহাটি, সদর উপজেলা, ঝিনাইদহ জ্ঞানের সাগর কিশোরকণ্ঠ সত্যিই জ্ঞানের সাগর, যা আমাদের মানবজীবনে জানার আগ্রহ সৃষ্টি করে। তাই আমি কিশোরকণ্ঠকে অত্যন্ত ভালোবাসি। মনে হয় যদি প্রতিদিন একটি করে কিশোরকণ্ঠ পেতাম, তাহলে অজানা বিষয় সম্পর্কে আরো বেশি জানতে পারতাম। এপ্রিল ২০১২ সংখ্যা কিশোরকণ্ঠ অত্যন্ত ভালো লেগেছে। আলাউদ্দিন আল আজাদ, দক্ষিণ শাকতলী, নাঙ্গলকোট, কুমিল্লা স্বপ্নিল সোপান প্রিয় কিশোরকণ্ঠ, তুমি আমার জীবনপথের দিশারি। তুমি আমার প্রাণের স্পন্দন, আমি তোমার অপেক্ষায় থাকি মাসের প্রথম প্রহর থেকে। তোমার কাছে আমি পাই পুরো মাসের দিকনির্দেশনা। তুমি হাজারো ছাত্রের প্রাণের সঞ্চারক। তুমি বর্তমান সময়ের আলো। তুমি আমার লেখাপড়ার মাঝে অবসরের স্বপ্নিল সোপান। তারেক মনোয়ার, চাঁদপুর, ভোলা আলোর মশাল কিশোরকণ্ঠ আমার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। কিভাবে সঠিক পথ পাওয়া যায় তার একমাত্র সন্ধানদাতা কিশোরকণ্ঠ। আদর্শ মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়তে আমি সব সময় কিশোরকণ্ঠ অধ্যয়ন করি। সাহসী মানুষের গল্প খুবই প্রিয়। এর মধ্যে আমার আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সা)-এর বাণী এবং সাহাবীদের সাহসিকতা রয়েছে। শারমীন সুলতানা চরবংশী, রায়পুর, লক্ষ্মীপুর প্রতীতির প্রদীপ প্রজাপতি যেমন ফুলে ফুলে উড়ে মধু আহরণ করে আর বাগানকে করে তোলে আরো সৌন্দর্যমণ্ডিত। কিশোরকণ্ঠও তেমনি বাংলাদেশের শিশু-কিশোর এমনকি বৃদ্ধদেরও প্রাণে জাগায় প্রতীতির অকৃত্রিম প্রদীপ। কিশোরকণ্ঠের মাধ্যমে শিশু-কিশোররা মেধার বিকাশ ঘটিয়ে অনন্য প্রশান্তি লাভ করে থাকে। তাই, কিশোরকণ্ঠের মাথায় যে সম্ভাবনার মুকুট শোভা পাচ্ছে, তা যেন দিন দিন উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হয়। কে ইউ এম তাহিরা সাজিয়াড়া, মাগুরা
আরও পড়ুন...