তিনচাকার রিকশা

তিনচাকার রিকশা

বিশেষ রচনা ডিসেম্বর ২০১০

হাসান আরিফ
[caption id="attachment_658" align="alignright" width="300" caption="জাপানে রিকশা"]ricksha in japan[/caption] রিকশার নামের উৎপত্তি
রিকশা শব্দটি জাপানি শব্দ ‘জিনরিকিশা’ থেকে এসেছে। ‘জিন’ অর্থ মানুষ, ‘রিকি’ অর্থ বল বা শক্তি আর ‘শা’ অর্থ বাহন। জাপানিজ এই পুরো শব্দের অর্থ দাঁড়ায় ‘মনুষ্যচালিত বাহন’।
রিকশার ইতিহাস
সভ্যতার ইতিহাস থেকে দেখা যায় যে, চাকা আবিষ্কারের পর থেকে মানুষ যা কিছু বহন করতে কষ্টসাধ্য মনে করেছে তখন তাতে চাকা রিকশা লাগিয়ে সেটাকে বহনে সহজসাধ্য করেছে। রিকশার উদ্ভব জাপানে। ১৮৬৮ সালের দিকে জাপানে মানুষটানা পালকি ছিল। তারপর রিকশার প্রচলন হলো। এতে পালকির চাহিদা কমে গেল। বেড়ে গেল রিকশার প্রচলন। কারণ রিকশা পালকির চেয়ে দ্রুত দৌড়ায়। তাছাড়া একজনই রিকশা চালাতে পারে। তবে প্রথম কে এটা আবিষ্কার করেছিল এ নিয়ে কিছুটা মতবিরোধ আছে। মার্কিনিরা দাবি করে যে, আমেরিকাতেই তৈরি হয় সর্বপ্রথম রিকশা। কর্মকার অ্যালবার্ট টোলম্যান বাস করতেন ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের ওরকাস্টে। সেখানের ক্রিশ্চিয়ান মিশনারীর এক ফাদার দুর্ঘটনায় ভেঙে যাওয়া তার ঘোড়ার গাড়িটি মেরামতের জন্য কর্মকার টোলম্যানের কাছে নিয়ে আসেন। গাড়িটি মেরমত করতে গিয়ে ঘোড়া ছাড়া চলে এমন কোনো গাড়ি বানানো যায় কিনা এরকম ভাবনা থেকেই বানিয়ে ফেলেন দুই আসন বিশিষ্ট বাহন রিকশা। ঘটনাটা ১৮৪৮ সালের।
আবার কোনো কোনো আমেরিকান বলেন অন্য কাহিনী। জোনাথন স্কুবি নামের এক আমেরিকান মিশনারী ছিলেন জাপানে। তার স্ত্রীর পায়ে সমস্যা থাকায় বেশিক্ষণ হাঁটচলা করতে পারতেন না। স্ত্রীর যাতায়াতের কথা চিন্তা করেই ১৮৬৯ সালে তিনি রিকশা তৈরি করেন। অন্যরা আবার বলেন যে, ১৮৬৫ সালে ইজুমি, ইউসুকি সজুকি ও তাকায়ামা কসুকি এই তিনজন জাপানি রিকশা তৈরি করেন এবং পরে ১৮৭০ সালে জাপানে টোকিও সরকার এই তিনজনকে রিকশা তৈরি ও বিক্রির জন্য অনুমতিপত্র বা লাইসেন্স প্রদান করে। তবে আবিষ্কারক যেই হোক কৃতিত্বের দাবিদার সবাই।
রিকশার বৈদেশিক যাত্রা
১৮৮০ সালের দিকে রিকশা পৌঁছায় ভারতে। প্রথমে সিমলায়; এরপর কুড়ি বছর পর কোলকাতায়। অর্থাৎ ১৯০০ সালের দিকে রিকশা পৌঁঁছায় কোলকাতায়। কোলকাতায় সে সময় প্রচুর সংখ্যক চিনা বাস করত চায়নাটাউনে। চিনারাই প্রধানত রিকশা ব্যবহার করত। তবে মালামাল টানার জন্য, যাত্রী বহনের জন্য না।
উনিশ শ তিরিশ ও চলি-শের দশকে ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর ও দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশে রিকশা হয়ে ওঠে জনপ্রিয়। ১৯১৯ সালে মায়ানমার থেকে রিকশা প্রথম  ঢোকে পূর্ব বাংলায়; চট্টগ্রামে। মজার কথা হল- ঢাকায় কিন্তু রিকশা চট্টগ্রাম থেকে আসেনি। এসেছে কোলকাতা থেকে। নারায়ণগঞ্জের ও ময়মনসিংহের নেত্রকোনার ইউরোপীয় পাট ব্যবসায়ীরা নিজস্ব ব্যবহারের জন্য কোলকাতা থেকে সাইকেল রিকশা আনে।
রিকশার বাংলাদেশ আগমন
ঢাকায় রিকশা প্রচলনের শুরুতেই সাইকেল রিকশার পাশাপাশি গোটা সাতেক দু’চাকাওয়ালা মানুষে-টানা রিকশা আনা হয়েছিল। মতান্তরে, তারও আগে চট্টগ্রামে মানুষে-টানা দুটি রিকশা আনানো হয়েছিল। কিন্তু ঢাকায় টানা রিকশা চলতে পারেনি। সে সময় টানা রিকশা তাড়িয়েছিল ঢাকার শিশুরা।  ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা হাতি বা বানর দেখলে যেমন দলবেঁধে ছুটে যায়; কিংবা অদ্ভুত কিছু দেখলে হল-া করে তার পিচু নেয় আর ঢিল ছুঁড়ে; ঠিক তেমনিভাবেই মানুষে-টানা রিকশার পিছু নিয়ে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা ঢিল ছুঁড়তো। আসলে শুরুতে মানুষে-টানা রিকশায় চড়ার ব্যাপারটাই সবার কাছে বিদঘুঁটে ঠেকে। আর এ কারণে অনেকেই এ ধরনের রিকশায় দিনের বেলায় খুব একটা চড়ত না। চড়লেও পরিচিত মানুষ সামনে পড়ে গেলে সঙ্কোচ বোধে সেদিকে তাকাত না। অনেকেই এ ধরনের ঝামেলা এড়াতে রিকশায় চাপতো সন্ধ্যার পর। এসব কারণে ঢাকায় মানুষে-টানা রিকশা বেশিদিন চলতে পারেনি। বাধ্য হয়ে টানা রিকশার পাট চুকাতে হয়েছে। তার পরিবর্তে ধীরে ধীরে সাইকেল রিকশার বহুল প্রচলন ঘটেছে।
বাংলাদেশে রিকশার আগমন ঘটে ১৯৩৬ সালের দিকে। বাংলাদেশে রিকশার আমদানিকারক ব্যবসায়ীরাই। চট্টগ্রামের রাস্তায় রিকশার প্রথম চলাচল শুরু হয়। কিন্তু চট্টগ্রাম থেকেই রিকশা চলে যায় উত্তরবঙ্গে এবং ১৯৪১ সালের দিকে ঢাকায় রিকশা আসে কোলকাতা থেকেই। ঢাকাবাসী প্রথমে রিকশায় চাপতে চায়নি। তারা চলতো ঘোড়ার গাড়ি, পালকি আর নৌকায় করে। ইউরোপীয় পাট ব্যবসায়ীরা নিজস্ব ব্যবহারের জন্য কোলকাতা থেকে সাইকেল রিকশা আনে। ধীরে ধীরে ঢাকাবাসীও রিকশা ব্যবহার শুরু করে। ঢাকার লোকসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে রিকশার চাহিদাও বাড়ছে। ১৯৪১ সালে রিকশার সংখ্যা ছিল মাত্র ৩৭টি। ১৯৪৭ সালে গিয়ে তা দাঁড়ায় ১৮১তে। ১৯৯৮ সালের হিসাব অনুযায়ী বৈধ রিকশা সংখ্যা হয় ১ লাখ ১২ হাজার ৫৭২টি- শুধু ঢাকা শহরেই। আর ঢাকাসহ সারা দেশে রিকশার সংখ্যা দাঁড়ায় ২ লাখ ৭৪ হাজার ২৬৫টি। ২০০০ সালে এসে শুধু ঢাকাতেই রিকশার সংখ্যা ২ লাখ ৮০ হাজারে এসে দাঁড়ায়। এ তো গেল বৈধ রিকশার হিসাব, আর অবৈধ কত হবে ভাবা অসম্ভব।
ঢাকার রিকশা কারখানা
সারাদেশে অসংখ্য স্থানে গড়ে উঠেছে রিকশা তৈরির কারখানা। সেগুলো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে বহু স্থানে। অঞ্চলভিত্তিক রিকশা কারখানা গড়ে উঠেছে শুধু পুরানো ঢাকার নাজিরাবাজার, যাত্রাবড়ী, কামরাঙ্গীরচর ও পোস্তগোলা এলাকায়। সব মিলিয়ে এসব অঞ্চলে সাড়ে চার শ’র মতো রিকশা কারখানা রয়েছে। যারা প্রতি মাসে দুই থেকে আড়াই হাজার রিকশা তৈরি করে। পুরানো ঢাকা অঞ্চলে রিকশা তৈরির সাথে দুই থেকে তিন হাজার শ্রমিক জড়িত। তবে বর্তমানে রিকশার সংখ্যা দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় অনেকে এ পেশার সাথে আর নিজেকে জড়াতে চাচ্ছে না। তাই শ্রমিক পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়ছে রিকসা ব্যবসায়ীদের।
শ্রবিভাজনে রিকশা তৈরি
rickshwa in Bangladeshরিকশা তৈরির জন্য প্রয়োজন হয় শ্রমবিভাজন। কারণ সবাই সব কাজে পাদর্শী নয়। রিকশা তৈরির কাজগুলো ভাগ করা থাকে। এক একজন এক এক রকমের কাজ ভালো পারে। যে নকশা আঁকা পেইন্টিঙের কাজ ভালো পারে সে সে কাজই করে। কেউ ঝালাই, সেটিং মেরামতের কাজ ভালো পারে। তবে কাজের ধারণা মোটামুটি সবার থাকে। রিকশা আকর্ষণীয় করার জন্য নানা রকম রেক্সিনের নকশা, ফুল-ফল, লতাপাতা, সিনেমার পোস্টারও লাগানো হয়। বেশিরভাগ কারখানায় নিজস্ব পেইন্টার নেই, তাই তারা নদীর অপর পারে কেরানীগঞ্জ থেকে রিকশার পেছনের পেইন্টিং করা অংশ কিনে আনে। কেরানীগঞ্জ এলাকায় গড়ে উঠেছে রিকশা পেইন্টের দোকান। তারা শুধু পেইন্ট করা অংশটুকুই বিক্রি করে। আর এভাবেই অনেকের হাতের স্পর্শে একটি পূর্ণাঙ্গ রিকশা তৈরি হয়।
বিশ্বব্যাপী রিকশা
রিকশার দেশ ভারত ও বাংলাদেশ। রিকশার কথা এলেই মনে পড়ে এই দুটি দেশের কথা। এ ছাড়া কমবেশি রিকশা চালানো হয় আরও বেশ কয়েকটি দেশে। আধুনিক প্রযুক্তির দেশ ব্রিটেনেও চোখে পড়ছে মনুষ্যচালিত এ যান। সে দেশের অনেক রাস্তায় এখন নিয়মিত রমরম করে চলছে রিকশা। দেশটির উপকূলবর্তী শহরগুলোয় দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এ যান।
নিউইয়র্কে রিকশা চালকের আয় দিনে ৪০০ ডলার : চরম আর্থিক মন্দায় আমেরিকায় যখন চাকরির বাজার ক্রমশ সঙ্কুচিত হয়ে আসছে এবং বেকারত্ব গ্রাস করছে চারিদিকে তখন নিউইয়র্কে রিকশা চালিয়ে দিনে ৪০০ ডলার আয় করছেন কেউ কেউ। ম্যানহাটানের আলোঝলমলে টাইমস্কোয়ারে দেখা যাবে এসব ভাগ্যবান রিকশা চালকদের। প্যান্ট-শার্ট পরা আধুনিক সাজের এসব রিকশা চালকদের অধিকাংশই বয়সে তরুণ। আর তাদের যাত্রীদের সিংহভাগই হচ্ছে বিশ্বের রাজধানীতে আসা পর্যটক। টাইমস্কোয়ারের পাশাপাশি সেন্ট্রাল পার্কেও দেখা যায় এসব রিকশার ভীড়। ম্যানহাটানের একটি ব-ক অতিক্রম করতে এসব রিকশায় ভাড়া গুনতে হয় গড়পড়তা এক ডলার করে। আর সেন্ট্রাল পার্কে ১ ঘণ্টা এই রিকশা চড়তে আপনাকে দিতে হবে ৬০ ডলার।
পরিবেশ বান্ধব যান হিসাবে এসব রিকশা যার আনুষ্ঠানিক নাম ‘পেডিক্যাব’ দিন দিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে যান্ত্রিকতার মহানগর নিউইয়র্কের প্রাণকেন্দ্র ম্যানহাটানে। একযুগ আগে প্রথম রাস্তায় নেমেছিলো এই রিকশা বা পেডিক্যাব। একটি দুটি করে এখন ম্যানহাটানে এক হাজারেরও বেশি রিকশা চলছে। বেশ কটি কোম্পানি গড়ে উঠেছে ম্যানহাটানে এই রিকশা পরিবহন নিয়ে। এর মধ্যে ‘রেভ্যুলেশন রিকশা’ নামে প্রতিষ্ঠানটি অন্যতম।
রোমে রিকশা চালাচ্ছেন সাবেক বন্দীরা : ইতালির রাজধানী রোমে পরীক্ষামূলক একটি প্রকল্পের আওতায় মোটরচালিত রিকশা চালাচ্ছেন সাবেক বন্দীরা। সঙ্কীর্ণ সড়ক ও বন্দীদের পুনর্বাসনের কথা বিবেচনা করে গত বুধবার থেকে এই প্রকল্প শুরু হয়েছে। রোমের ভিলা বোরগিজ এলাকার সড়কগুলোতে এসব রিকশা চলছে। পর্যটকেরা এসব রিকশায় চড়ে রোম নগর ঘুরে দেখছেন। এসব রিকশার মধ্যে চার্জযোগ্য মোটর লাগানো রয়েছে, যা চালককে পাহাড়ের ঢালু পথ বেয়ে ওপরে উঠতে সহায়তা করে।
ইতালির বিচার মন্ত্রণালয় ও রোম নগর কর্তৃপক্ষের মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি চুক্তির আওতায় এই কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। পরীক্ষামূলকভাবে এই প্রকল্প চলছে। এখন শুধু দিনের বেলায় এসব রিকশা চলছে। পরীক্ষামূলক সময় শেষ হলে রিকশায় ঘুরতে পর্যটকদের প্রতিবার ৪০ থেকে ৫০ ডলার ব্যয় করতে হবে।
যুক্তরাজ্যে রিকশা বেশ জনপ্রিয় : যুক্তরাজ্যের লন্ডন, ব্রাইটন, ওরসেস্টারশায়ার ও লিসেস্টারে রিকশা জনপ্রিয় বাহন হয়ে উঠছে। বেকার যুবকদের দুঃখ লাঘব করছে এ যান। বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দায় চাকরি হারিয়ে সেখানকার অনেকেই রিকশার দ্বারস্থ হয়েছে। এতে উপার্জনও নেহাত কম নয়। তাই যুবকদের কাছে কর্মসংস্থানের একটি উৎস হয়ে উঠছে এ যান। পূর্ব ইংল্যান্ডের উপকূলীয় শহর গ্রেট ইয়ারমাউথে ইতিমধ্যে রিকশা চালু হয়ে গেছে। এখানে পর্যটকদের কাছে তুলনামূলক বেশি জনপ্রিয় রিকশা।
বাংলাদেশী রিকশার বিশ্বজয় : বাংলাদেশী রিকশা নিয়ে যতই আলোচনা-সমালোচনা হোক, এটা ঠিক যে, সারা দুনিয়ায় বাংলাদেশী রিকশার মতো সুন্দর রিকশা খুঁজে পাওয়া যাবে না। কী মডেলে, কী রঙেrickswa around the world সাজানো এমন বাহারী রিকশা পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে মেলা ভার। আর তাই বাংলাদেশী রিকশা নেই শুধু বাংলাদেশের গণ্ডিসীমানায়, ছড়িয়ে গেছে বিশ্বজয়ে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বেড়াতে আসা পর্যটকদের কাছে রিকশা চমৎকার একটি বাহন। অনেকে এদেশে বেড়াতে এসে রিকশা কিনে নিয়ে গেছে এবং যাচ্ছে। ঢাকা থেকে ইতোমধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা, স্পেন, ইংল্যান্ড, কোরিয়া, সৌদিআরব, আবুধাবি, বেলজিয়ামসহ আরও নানা দেশের পর্যটকরা বেড়াতে এসে রিকশা নিয়ে গেছে। কিছু দিন আগেও আমেরিকান রাষ্ট্রদূত হ্যারি কে টমাস ও আমেরিকান মেরিন বাহিনীকে উপহার স্বরূপ দেয়া হয়েছে বাংলাদেশী রিকশা। বাংলাদেশী রিকশা দিন দিন দেশ হতে দেশান্তর জয় করতে এগিয়ে চলেছে বিশ্বজয়ে।
ব্যাটারিতে চলবে রিকশা
রিকশাচালকদের হাড় ভাঙ্গা খাটুনির দিন বুঝি ফুরিয়ে এলো। ভবিষ্যতে হয়ত প্যাডেল ঘুরিয়ে আর চালাতে হবে না এই যানটি। চলবে রিচার্জেবল ব্যাটারিতে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডিজেল প্ল্যান্ট উদ্ভাবন করেছে এই বৈদ্যুতিক রিকশা। নতুন এই রিকশা দেশের পরিবহন ব্যবস্থায় বৈপ-বিক পরিবর্তন আনবে। দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে যাওয়া রঙিন এই বাহনের আকার-আকৃতি একই থাকবে। তবে চলবে রিচার্জেবল ব্যাটারিতে। মোবাইল সেটের মতো। সারারাত চার্জ দিলে দিনভর অনায়াসেই চলবে এটি। এই প্রযুক্তির রিকশা চালু হলে লাখ লাখ শ্রমিকের জীবিকার উপর কোন রকম আঘাত না হেনেই দেশের ভয়াবহ যানজট থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা পাওয়া যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। হাতে টানা রিকশার পরে এসেছিলো, প্যাডেল চালিত রিকশা আর অদুর ভবিষ্যতে আসতে যাচ্ছে ব্যাটারি চালিত রিকশা।

আপনার মন্তাব্য লিখুন
অনলাইনে কিশোরকন্ঠ অর্ডার করুন
লেখকের আরও লেখা

সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ

আরও পড়ুন...

CART 0

আপনার প্রোডাক্ট সমূহ