দক্ষিণ আমেরিকার বৃহত্তম দেশ ব্রাজিল -মুহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম

দক্ষিণ আমেরিকার বৃহত্তম দেশ ব্রাজিল -মুহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম

প্রচ্ছদ রচনা জুলাই ২০২০

ব্রাজিল দক্ষিণ আমেরিকার বৃহত্তম দেশ। এ ছাড়াও জনসংখ্যা ও ভৌগোলিক আয়তনের দিক থেকে এটি বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম দেশ। ৮৫ লাখ ১৫ হাজার ৭৬৭ বর্গকিলোমিটার (৩২ লাখ ৮৭ হাজার ৯৫৬ বর্গমাইল) আয়তনের এই দেশটিতে বসবাসকৃত মানুষের সংখ্যা ২১ কোটি ১৭ লাখ ১৫ হাজার ৯৭৩ জন। এটি আমেরিকার একমাত্র পর্তুগিজভাষী দেশ এবং বিশ্বের সর্ববৃহৎ পর্তুগিজভাষী রাষ্ট্র।
এ দেশে জাতিগত গ্রুপের মধ্যে রয়েছে শ্বেতাঙ্গ ৪৭.৫ শতাংশ, মিশ্রবর্ণ ৪৩ শতাংশ, কৃষ্ণাঙ্গ ৮ শতাংশ, এশীয় ১ শতাংশ এবং আমেরিন্ডিয়ান ০.৫০ শতাংশ। প্রধান ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে রয়েছে খ্রিষ্টান ৮৬.৮ শতাংশ, অধার্মিক ৮ শতাংশ, আধ্যাত্মিকতাবাদী ২ শতাংশ এবং অন্যান্য ধর্মাবলম্বী ৩.২ শতাংশ। ব্রাজিলে ইসলাম সংখ্যালঘু ধর্ম। আফ্রিকান দাস এবং লেবানিজ ও সিরীয় অভিবাসীদের মাধ্যমে এদেশে ইসলাম আসে। মুসলিম সংস্থাগুলোর দাবি অনুযায়ী ব্রাজিলে চার থেকে পাঁচ লাখ মুসলিম আছে, যা মোট জনসংখ্যার ১ শতাংশ।
ব্রাজিলের পূর্বভাগ আটলান্টিক মহাসাগর পরিবেষ্টিত। যার উপকূল রেখার দৈর্ঘ্য প্রায় ৭ হাজার ৪৯১ কিলোমিটার (৪ হাজার ৬৫৫ মাইল)। ব্রাজিলের উত্তরে রয়েছে ভেনিজুয়েলা, গায়ানা, সুরিনাম, ও ফ্রান্সের সামুদ্রিক দেপার্ত্যমঁ ফরাসি গায়ানা; উত্তর-পশ্চিমে কলম্বিয়া; পশ্চিমে বলিভিয়া ও পেরু; দক্ষিণ-পশ্চিমে আর্জেন্টিনা ও প্যারাগুয়ে এবং সর্ব-দক্ষিণে উরুগুয়ে। ব্রাজিলীয় সীমানায় আটলান্টিক মহাসাগরের বেশ কিছু দ্বীপপুঞ্জ অবস্থিত, যার মধ্যে রয়েছে ফের্নান্দু জিনরোনিঁয়া, রোকাস অ্যাটল, সেন্টপিটার ও সেন্ট পলরকস এবং ত্রিনিদাজি এ মার্চিভাঁজ। ব্রাজিলের সাথে চিলি ও ইকুয়েডর ব্যতীত দক্ষিণ আমেরিকার সব দেশেরই সীমান্ত-সংযোগ রয়েছে।
১৫০০ সালে পর্তুগিজ অভিযাত্রী পেদ্রু আলভারেজ কাবরাউয়ের ব্রাজিলে এসে পৌঁছানোর পর থেকে ১৮১৫ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ব্রাজিল ছিলো একটি পর্তুগিজ উপনিবেশ। ১৮১৫ সালে এটি যুক্তরাজ্য, পর্তুগাল ও আলগ্রেভিজের সাথে একত্রিত হয়ে একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থা গঠন করে। মূলত ১৮০৮ সালেই ব্রাজিলের ‘পর্তুগিজ উপনিবেশ’ পরিচয়ে ফাটল ধরে। কারণ নেপোলিয়নের পর্তুগাল আক্রমণের রেশ ধরে পর্তুগিজ সাম্রাজ্যের কেন্দ্র লিসবন থেকে ব্রাজিলের রিওডিজানেইরুতে সরিয়ে নেওয়া হয়। ১৮২২ সালে ব্রাজিল পর্তুগালের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। প্রাথমিকভাবে এটি ব্রাজিলীয় সাম্রাজ্য হিসেবে সার্বভৌমত্ব অর্জন করলেও ১৮৮৯ সাল থেকে একটি গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র হিসেবে শাসিত হয়ে আসছে।
১৮২৪ সালে ব্রাজিলের প্রথম সংবিধান পাস হয়। তখন থেকে দেশটিতে ফেডারেল প্রেসিডেন্সিয়াল সাংবিধানিক প্রজাতন্ত্র পদ্ধতির সরকারব্যবস্থা চালু রয়েছে। এদেশের পার্লামেন্ট দুই কক্ষবিশিষ্ট। পার্লামেন্টের নাম ন্যাশনাল কংগ্রেস : উচ্চকক্ষ ফেডারেল সিনেট এবং নিম্নকক্ষ চেম্বার অব ডেপুটি জবা প্রতিনিধি পরিষদ। ব্রাজিলের প্রশাসনিক এলাকা একটি ফেডারেল ডিস্ট্রিক্ট, ২৬টি প্রদেশ ও ৫ হাজার ৫৬৪টি পৌরসভায় বিভক্ত। ব্রাজিলের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জাইরবল সোনারো এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট হামিলটন মৌরাও।
ব্রাজিল জাতিসংঘ, জি-২০, সিপিএলপি, লাতিন ইউনিয়ন, অর্গানাইজেশন অব ইবেরো-আমেরিকান স্টেটস, মার্কুসাউ ও ইউনিয়ন অফ সাউথ আমেরিকান ন্যাশন্স এবং উত্থানশীল অর্থনৈতিক শক্তির দেশগুলোর সংগঠন ব্রিকের সদস্য। ব্রাজিল জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক পরিবেশের দিক দিয়ে বিশ্বের অন্যতম প্রধান একটি দেশ হিসেবে বিবেচিত। ব্রাজিলে বিভিন্ন প্রকারের প্রকৃতি সংরক্ষণ কেন্দ্র ও অভয়ারণ্য বিদ্যমান। এছাড়াও দেশটি সমৃদ্ধ খনিজসম্পদের অধিকারী।
ব্রাজিলে বিভিন্ন জাতের লোক বাস করে। আদিবাসী আমেরিকান, পর্তুগিজ বসতি স্থাপক এবং আফ্রিকান দাসদের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক এ দেশের জাতিসত্তাকে দিয়েছে বহুমুখীরূপ। ব্রাজিল দক্ষিণ আমেরিকার একমাত্র পর্তুগিজ উপনিবেশ। ১৬শ শতকে পর্তুগিজদের আগমনের আগে বহু আদিবাসী আমেরিকান দেশটির সর্বত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। ১৬শ শতকের মধ্যভাগে পর্তুগিজেরা কৃষিকাজের জন্য আফ্রিকা থেকে দাস নিয়ে আসা শুরু করে। এই তিন জাতির লোকেদের মিশ্রণ ব্রাজিলের সংস্কৃতি, বিশেষ করে এর স্থাপত্য ও সঙ্গীতে এমন এক ধরনের স্বাতন্ত্র্য এনেছে কেবল ব্রাজিলেই যার দেখা মেলে। ১৯শ শতকের শেষ দিকে ও ২০শ শতকের গোড়ার দিকে ব্রাজিলে আগমনকারী অন্যান্য ইতালীয়, জার্মান, স্পেনীয়, আরব ও জাপানি অভিবাসীরাও ব্রাজিলের সংস্কৃতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রেখেছে। মিশ্র সংস্কৃতির দেশ হলেও কিছু কিছু আফ্রিকান বংশোদ্ভূত ব্রাজিলীয়, ইউরোপ ও এশিয়া থেকে আগত অ-পর্তুগিজ অভিবাসী এবং আদিবাসী আমেরিকানদের অংশবিশেষ এখনও তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও রীতিনীতি ধরে রেখেছে। তবে পর্তুগিজ সংস্কৃতির প্রভাবই সবচেয়ে বেশি।
ব্রাজিল দক্ষিণ আমেরিকার উপকূল ভাগের সবচেয়ে বেশি অংশ জুড়ে রয়েছে। সেই সাথে মহাদেশটির সবচেয়ে বেশি অংশটিও এই দেশটির আওতাধীন। এর সুবিশাল আকৃতি, জলবায়ু এবং খনিজসম্পদের প্রাচুর্য ব্রাজিলকে ভূ-তাত্ত্বিকভাবে একটি বৈচিত্র্যময় দেশে পরিণত করেছে।
বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম দেশ হিসেবে রাশিয়া, কানাডা, চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরেই ব্রাজিলের অবস্থান। কানাডা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর এটি আমেরিকা মহাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম দেশ। দেশটিতে মোট তিনটি সময় অঞ্চল অবস্থিত। পশ্চিমের প্রদেশগুলো ইউটিসি-৪, পূর্বের প্রদেশগুলো ইউটিসি-৩ (এটি একই সাথে ব্রাজিলের সরকারি সময়) এবং আটলান্টিক দ্বীপপুঞ্জগুলো ইউটিসি-২ সময় অঞ্চলের অন্তর্গত।
ব্রাজিলে ভূ-সংস্থান যথেষ্ট বৈচিত্র্যময়। দেশটিতে পাহাড়, পর্বত, সমভূমি, উচ্চভূমি, চারণভূমি প্রভৃতি বৈচিত্র্যের ভূভাগ বিদ্যমান। এর ভূখণ্ডের বেশির ভাগের উচ্চতা ২০০ মিটার (৬৬০ ফুট) থেকে ৮০০ মিটার (২,৬০০ ফুট)-এর মধ্যে। দেশটির দক্ষিণ অর্ধাংশেই বেশির ভাগে উচ্চভূমি অবস্থিত। উত্তর-পশ্চিম অংশের সমভূমিগুলো ঢালু ও ভাঙা ভাঙা পাহাড় দিয়ে ঘেরা।
দেশটির দক্ষিণাঞ্চল বেশ অসমতল এবং বেশির ভাগ অঞ্চলই শৈলশ্রেণি ও পর্বতমালা বেষ্টিত। এ অঞ্চলের গড় উচ্চতা ১ হাজার ২০০ মিটার (৩ হাজার ৯০০ ফুট) পর্যন্ত। এসব পর্বতমালার মধ্যে রয়েছে মান্তিকিরা, এসপিনাসো পর্বত এবং সেরা দু মার। উত্তরে গুয়াইয়ানা উচ্চভূমি একটি বড় নিষ্কাশন বিভক্তির মাধ্যমে আমাজন অববাহিকার দিকে প্রবাহিত নদীগুলো থেকে ভেনিজুয়েলা থেকে উত্তর দিকের ওরিনোকো নদী ব্যবস্থায় এসে সমাপ্ত হওয়া নদীগুলোকে পৃথক করেছে। ব্রাজিলের সর্বোচ্চ পর্বত পিকু দা নেবলিনা, যার উচ্চতা প্রায় ২ হাজার ৯৯৪ মিটার (৯ হাজার ৮২৩ ফুট) এবং সর্বনিম্ন অঞ্চল আটলান্টিক মহাসাগর।
ব্রাজিলে ঘন ও বেশ জটিল নদীব্যবস্থা বিদ্যমান, যা বিশ্বের অন্যতম জটিল নদীব্যবস্থা। এদেশে মোট আটটি নদী নিষ্কাশনব্যবস্থা অবস্থিত, যার সবগুলোই আটলান্টিক মহাসাগরে এসে শেষ হয়েছে। ব্রাজিলের উল্লেখযোগ্য নদীগুলোর মধ্যে রয়েছে আমাজন, যা বিশ্বের দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী ও নিষ্কাশিত পানির পরিমাণের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বের সবচেয়ে বড় নদী। এছাড়াও আছে পারান ও এর গুরুত্বপূর্ণ শাখা নদী ইগুয়াসু (ইগুয়াসু জলপ্রপাতসহ), নিগ্রো, সাউথ ফ্রান্সিসকু, শিজু, মেদেইরা ও টাপাজুস নদী।
আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল ও বিশ্ব ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, ব্রাজিলের অর্থনীতি দক্ষিণ আমেরিকার সর্ববৃহৎ, বাজার বিনিময়ের ভিত্তিতে বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম এবং ক্রয়ক্ষমতা সমতার ভিত্তিতে বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম অর্থনীতি। ব্রাজিলের অর্থনীতি একটি মিশ্র অর্থনীতি। দেশটির যথেষ্ট পরিমাণ প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে, যা এর অর্থনীতির উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছে। ব্রাজিলের বৃহৎ ও উন্নত কৃষি, খনি শিল্প, উৎপাদন ব্যবস্থা এবং সেবাখাত রয়েছে। সেই সাথে দেশটিতে শ্রমিকের প্রাচুর্যও বিদ্যমান। ব্রাজিলের মূল রপ্তানি পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে উড়োজাহাজ, ইলেকট্রনিক সামগ্রী, গাড়ি, ইথানল, টেক্সটাইল, পাদুকা, লৌহ আকরিক, ইস্পাত, কফি, কমলার রস, সয়াবিন ও কর্নড বিফ। এদেশের মুদ্রার নাম ব্রাজিলিয়ান রিয়াল।
২০০৭ সালে জাতীয় ইন্ডিয়ান ফাউন্ডেশনের এক প্রতিবেদনে ব্রাজিলে ৬৭টি ভিন্ন উপজাতীয় গোত্রের অবস্থান উল্লেখ করা হয়, যাদের সাথে কোনো রাষ্ট্রীয় যোগাযোগ নেই। ২০০৪ সালে যোগাযোগহীন এসব গোত্রের সংখ্যা ছিল ৪০। ব্রাজিলে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি অযোগাযোগকৃত মানুষ বাস করে বলে ধারণা করা হয়।
ব্রাজিলের বেশির ভাগ মানুষ দেশটির আদিবাসী জনগণ, পর্তুগিজ ঔপনিবেশক এবং আফ্রিকান দাসদের বংশোদ্ভূত। ১৫০০ খ্রিষ্টাব্দে পর্তুগিজদের আগমনের পর থেকে এই তিন জাতির মাঝে বৈবাহিক সম্পর্কের সৃষ্টি হতে থাকে, যা ব্রাজিলকে একটি বৈচিত্র্যময় জাতিসত্তা উপহার দিয়েছে। ব্রাজিলের বাদামি বর্ণের জনগোষ্ঠীকে পর্তুগিজ ভাষায় ‘প্রাদু’ বলা হয়। এদের মধ্যে বিভিন্ন ভাগের সৃষ্টি হয়েছে। এই ভাগগুলোর মধ্যে আছে শেতাঙ্গ ও ইন্ডিয়ান বংশোদ্ভূত ‘কাবোক্লু’, শেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গ বংশোদ্ভূত ‘মুলাতু’ এবং কৃষ্ণাঙ্গ ও ইন্ডিয়ান বংশোদ্ভূত ‘কাফুজু’। বেশির ভাগ কাবোক্লু জনগণ দেশটির উত্তর, উত্তর-পূর্ব, এবং মধ্য-পশ্চিমাঞ্চলে বসবাস করে। গরিষ্ঠসংখ্যক মুলাতু জনগণ বাস করে বায়াও থেকে পারাইবা পর্যন্ত উত্তর-পূর্বাঞ্চল ঘেঁষে চলে আসা পূর্ব উপকূলীয় অঞ্চল, উত্তর মারানাউঁ, দক্ষিণ মিনাস জেরাইস এবং পূর্ব রিউডিজানেইরু অঞ্চলে। ১৯শ শতক থেকে অভিবাসীদের জন্য ব্রাজিলের সীমান্ত উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। ফলে ১৮০৮ থেকে ১৯৭২ সালের মধ্যে ব্রাজিলে বিশ্বের ৬০টি দেশ থেকে প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষের আগমন ঘটে। এসব অভিবাসীর বেশির ভাগই এসেছিল পর্তুগাল, ইতালি, স্পেন, জার্মানি, জাপান এবং মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে।
ফুটবল খেলাই ব্রাজিলের সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রীড়া হিসেবে পরিচিত। ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দল ফিফা বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে শীর্ষস্থানীয় দল হিসেবে চিহ্নিত। দলটি এ পর্যন্ত পাঁচবার বিশ্বকাপ জয়লাভ করেছে যা একটি রেকর্ড।
ভলিবল, বাস্কেটবল, অটো রেসিং এবং মার্শাল আর্ট ক্রীড়াও ব্যাপকভাবে দর্শকপ্রিয়। ব্রাজিলের পুরুষ জাতীয় ভলিবল দলটি ওয়ার্ল্ড লিগ, বিশ্ব ভলিবল গ্রাঁ চ্যাম্পিয়ন্স কাপ, বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ এবং বিশ্বকাপের বর্তমানে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দল। ব্রাজিলের অন্যান্য খেলার মধ্যে রয়েছে- টেনিস, হ্যান্ডবল, সুইমিং ও জিমন্যাসটিক্স। ব্রাজিলে বেশ কিছু ক্রীড়ার উদ্ভব ঘটেছে। তন্মধ্যে-বিচ ভলিবল, ফুটসাল ও ফুটভলি অন্যতম। মার্শাল আর্টে ক্যাপোইরা, ভ্যালে টুডো এবং ব্রাজিলিয়ান জি-জিতসু ক্রীড়ার প্রচলন ঘটিয়েছে। অটো রেসিংয়ে এ পর্যন্ত তিনজন ব্রাজিলীয় ড্রাইভার ফর্মুলা ওয়ানে আটবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ অর্জন করেছে।
                        
আপনার মন্তাব্য লিখুন
অনলাইনে কিশোরকন্ঠ অর্ডার করুন
লেখকের আরও লেখা

সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ

আরও পড়ুন...

CART 0

আপনার প্রোডাক্ট সমূহ