দাগি বাবুই

দাগি বাবুই

চিত্র-বিচিত্র শিবলী মাহমুদ মে ২০২৩

বাবুই পাখি। আমাদের দেশে গ্রাম বাংলায় অতি পরিচিত একটি পাখি। বাবুই পাখির নাম শুনেনি এমন মানুষের দেখা মেলা ভার। বর্তমানে বাবুই পাখি খুব কম দেখা যায়। আগের মতো বাবুই পাখির দৃষ্টিনন্দন শৈল্পিক বাসাও চোখে পড়ে না। 

বাবুই পাখি Ploceidae গোত্রের অন্তর্গত একদল প্যাসারাইন পাখি। খুব সুন্দর করে বাসা বোনে বলে এরা ‘তাঁতী পাখি’ নামেও পরিচিত। বাংলাদেশের কোনো কোনোু অঞ্চলে এরা ডোরা বাবুই বা রেখা বাবুই পাখি নামেও পরিচিত। বিশিষ্ট পক্ষী বিশারদ অজড হোম এই পাখির নাম দিয়েছেন তেলে বাবুই।

পক্ষী বিশেষজ্ঞদের মতে বিশ্বে ১১৭ প্রজাতির বাবুই পাখি আছে। এর মধ্যে বাংলাদেশে তিন প্রজাতির বাবুই রয়েছে। এদের মধ্যে বাংলা ও দাগি বাবুই প্রজাতি বিলুপ্তির পথে। তবে দেশি কালো বাবুই এখনো দেশের সব গ্রামের তাল, নারকেল, খেজুর, রেইনট্রি গাছে দলবেঁধে বাসা বোনে। 

দাগি স্থানীয় প্রজাতির পাখি হলেও এদের দর্শন পাওয়া দুর্লভ। দেশি বাবুই পাখির মতো এদের সচরাচর দেখা যায় না। বাংলাদেশে, বিশেষ করে ঢাকায় দাগি বাবুই পাখি ১৫০ বছর পরে প্রথম দেখা গেছে ২০১৮ সালে। এরা সাধারণত বিচরণ করে পাহাড়ি এলাকায় কিংবা জলাভূমির আশপাশের কাশবন অথবা নলখাগড়ার বনে। 

স্বভাব চরিত্রে এরা দেশি বাবুইদের মতোই। অকারণেই সারা দিন কিচির-মিচির করে কাটায়। সারা দিন নেচে গেয়ে কাটায়। বাসা বাঁধে সাধারণ বাবুই পাখিদের মতই, তবে এদের বাসা আকারে বেশ ছোটো। এরা তালগাছে বাসা বাঁধে না। বাসা বাঁধে কাশবন কিংবা নলখাগড়াু বনে। 

এদের দৈর্ঘ্য ১৪-১৫ সেন্টিমিটার। 

বর্তমানে বাংলাদেশে এরা সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় আছে। এদের অস্তিত্ব এখন হুমকির মুখে। জলাভূমিগুলোর আশপাশের ঝোপঝাড় উজাড় হওয়াতে, কাশবনসহ এই ধরনের সব বন কেটে ফেলাতে এদের সংখ্যা কমছে অতি দ্রুত। সম্ভবত বাংলাদেশ থেকে এই পাখি চিরতরে বিলুপ্ত হয়ে যেতে আর খুব বেশি দিন নেই।

আপনার মন্তাব্য লিখুন
অনলাইনে কিশোরকন্ঠ অর্ডার করুন
লেখকের আরও লেখা

সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ

আরও পড়ুন...

CART 0

আপনার প্রোডাক্ট সমূহ