নববর্ষ নব আনন্দে জাগো

নববর্ষ নব আনন্দে জাগো

প্রচ্ছদ রচনা এপ্রিল ২০১২

দিলারা মেসবাহ..

ছয় ঋতুর বিচিত্র রূপে রূপবতী আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি এ বাংলাদেশ। ষড়ঋতুর চাকা ঘুরতে ঘুরতে আবার এসেছে বৈশাখ! বাংলার ঐতিহ্যবাহী নববর্ষ। ছোট বন্ধুরা আমার, তোমাদের সামনে আলোকোজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। নতুন বছরের শুরুতে দীপ্ত পায়ে এগিয়ে যাও সামনের দিকে। কিছু কাঁটা মাড়িয়ে কিছু চড়াই- উতরাই পার হয়ে পাবে পায়ের তলায় সমতল। শুভ নববর্ষে বন্ধুরা বুকভরা আশা আনন্দ নিয়ে এগিয়ে যাও।
এবারে নববর্ষ শুরুর ইতিহাসটা তোমাদের বলি খুব সংক্ষেপে। পরাক্রমশালী মোগল সম্রাট আকবরের রাজত্বকালে ১৫৫৬ খ্রিষ্টাব্দে হিজরি ৯৬৩ সনে বাংলা বর্ষপঞ্জি গণনা শুরু। বাঙালি জীবন যাপনে বাংলা বর্ষপঞ্জি জীবন ও জীবিকার সাথে এক সুতোয় গাঁথা যেন। খাজনা বা রাজস্ব আদায়ের সুবিধার জন্য সম্রাট আকবর হিজরি সনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বাংলা সন প্রবর্তন করেন। আঞ্চলিক বৈশিষ্ট্যের দিকেও বিশেষ খেয়াল রেখে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কেউ কেউ এ বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেন। নানা মুনির নানা মত থাকতেই পারে। তবে ধোপে টিকে গেছে এই মতটিই। ফসলি সনও বলা হয় বাংলা সনকে। বৈশাখের অঝোর বর্ষণে মাঠে ফসলের চারা লকলকিয়ে ওঠে। কৃষাণ কৃষাণি গোলায় ধান তোলার নতুন আশায় উৎসবের আনন্দে নতুন বছরকে বরণ করে নেন। আমার দেশ ঋতুবৈচিত্র্যের। দুঃখ- দারিদ্র্য, তুফান, প্লাবন, মহামারী সবকিছুর আঘাত সয়েও বাঙালি জীবনকে, এই ছোট জীবনকে কখনও কখনও আনন্দের গাঢ় রঙে রাঙিয়ে তুলতে জানে।
গ্রামে-গঞ্জে বহুকাল ধরেই পয়লা বৈশাখকে ঘিরে মেলা বসে। গ্রামীণ ধুলোধূসরিত মেঠোপথের ধারে সবুজ ছায়াচ্ছন্ন বাঁশবাগান বা পলাশ জারুলের ছায়ায় বসে এ প্রাণের মেলা।
বছরভর হা-ভাত দুঃখ-দারিদ্র্যের সঙ্গে পাঞ্জালড়াÑ কিন্তু পয়লা বৈশাখে নতুন আশার সুবাসে গ্রামীণ মানুষগুলো সব ভুলে মেতে ওঠে বিমল আনন্দ উৎসবে। যে গ্রামে বড় মেলা বসে তার আশপাশ ও দূর-দূরান্ত থেকে আসেন হস্তশিল্পের সম্ভার নিয়ে অনেক কারিগর। কী না থাকে সেই আনন্দমেলায়! ঘর গেরস্থালির যাবতীয় আটপৌরে দ্রব্যসামগ্রী থেকে পিঠা, মুড়ি, মুড়কি, নকুলদানা ইত্যাদি। বাদ থাকে না খুন্তি, বটি, দা, কোদাল, শাবল, নিড়ানি, কাস্তে, মাটির হাঁড়ি, মালসা, সানকি, নারকেল কুরানি। আরো পসরা সাজানো থাকে নানা রঙের ঘুড়ি, নাটাই, রঙিন চশমা, লাটিম, ডুগডুগি, ছেলেভুলানো আরো কত না আয়োজন। পাওয়া যায় এ মেলায় খই চালুনি, নকশি হাতপাখা, শিকা, বেতের ঝুড়ি, বাঁশি, টুকরি, ধামা, নানারকম শৌখিন খেলনা, রঙিন চুড়ি, নাকছাবি, ফিতা, ক্লিপ, ইমিটেশনের নানা নকশার গহনা। এখনও কোনো কোনো গ্রামীণমেলায় পাওয়া যায় চিনির হাতি, ঘোড়া, পাখি, বাতাসা, মটকা, খাগড়াই, পাঁপড়, কুমড়াবড়ি, মোয়া, নাড়– আরো কত রকমের মিষ্টান্ন। কত নাম বলবো বলো!
একবার দাদুবাড়ি-নানুবাড়ি বেড়িয়ে এসো বৈশাখী মেলায়। দারুণ লাগবে! প্রাণের বন্ধুরা, আত্মীয়-স্বজন তোমাদের কাছে পেলে কী আদর যে করবে তার লেখাজোকা নেই। গ্রামের বন্ধুরাও যার যার সাধ্যমত রঙিন নতুন কাপড় পরে দলবেঁধে লেবেনচুস বা তেলের পিঠা খেতে খেতে বায়স্কোপ দেখে। বায়স্কোপ এখনও গ্রাম থেকে নিরুদ্দেশ হয়ে যায়নি। ওরা ভেঁপু বাজায়, নাগরদোলায় চেপে আনন্দে দিশেহারা হয়ে যায়। সব মেয়ে লালজামা না পেলেও লাল ফিতা, চোখে মোটা কাজলের রেখা, মাথায় জবজবে তেল দিয়ে কলাবিনুনি গাঁথে আর রঙিন ক্লিপ এঁটে ফুরফুরে ফড়িং হয়ে যায়। গৃহস্থ বাড়িতে বাতাস ম ম করে তেলের পিঠা ভাজার সুগন্ধে। কোনো বাড়ির বউ রাঁধেন হাতেগড়া চিকন সেমাই দুধে বলক দিয়ে। ইলিশ মাছ হয়তো অনেকেরই পাতে পড়ে না। তবে পান্তা গরিবের নিত্যসঙ্গী। মজার ব্যাপার পান্তা ভাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স তৈরি হয়। অর্থাৎ পান্তার পানি উপকারী। গরিবের আরেক বন্ধু শুঁটকি মাছ। গৃহস্থ বাড়িতে নিজেরা যে শুঁটকি রোদে শুকিয়ে মালসা ভরে রাখেন তার মধ্যেও তাজা মাছের চেয়ে বেশি প্রোটিন থাকে। পয়লা বৈশাখে এই খাবারগুলো গ্রামীণ মানুষের প্রিয় আহার্য। সঙ্গে থাকে কাঁচা পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, পোড়া শুকনা মরিচ, মসুরডাল ভর্তা, শুঁটকিভর্তা।
বছরভর গ্রামীণ জাতশিল্পী কারিগরেরা পয়লা বৈশাখের বেচাকেনার আশায় নানা জাতের শিল্পকর্ম পরম যতেœ তৈরি করেন। ঘরের ঝি-বৌরা বছরভর মাটির ব্যাংকে বা গোপন কোনো কুঠুরিতে এক-দুই টাকা করে জমায় নববর্ষের মেলায় কেনাকাটার আশায়। এখনও কোনো কোনো গ্রামে বিপুল উৎসাহে অনুষ্ঠিত হয় লাঠিখেলা, বলিখেলা, হাডুডু, মোরগ লড়াই, ষাঁড়ের লড়াই ও পুতুল নাচ।
কোনো গ্রামে নদীর দুই ধারে ভিড় জমে বাপের বাড়ি নাইয়র আসা মেয়েদের। বৌ-ঝিরা ঘোমটার ফাঁকে উপভোগ করেন নৌকাবাইচ। ছেলেরা-যুবকেরা মুহুর্মুহু করতালিতে ফেটে পড়ে। ঢোল, বাঁশি, কাসর বাজতে থাকে আকাশ বাতাস মুখরিত করে। খুশির তুফান ওঠে আকাশে বাতাসে।
সেই সব গ্রামীণ পয়লা বৈশাখ বরণের উৎসব এখন আর শুধু গ্রামেগঞ্জেই পালিত হয় না, নববর্ষের আনন্দ আয়োজন বেশ কয় বছর ধরে মাতিয়ে দিয়েছে শহুরে জীবন। এই নববর্ষে শহরবাসী মানুষগুলো বিশেষত ঢাকা শহরের মানুষগুলো নতুন করে যেন পায় শেকড়ের সোঁদামাটির সুবাস। পিতামহদের আকাশের মতো উদার রূপোগলা জোছনার মতো আনন্দময় জীবনচর্চা কুয়াশার মতো দুঃখ বেদনার স্মৃতিকাতর মানুষগুলোর মন ছুঁইয়ে যায়। তারা ফিরে যান শৈশবের, কৈশোরের, তারুণ্যের অপরূপ দিনগুলোয়। পয়লা বৈশাখ ফিরিয়ে দেয় তাদের জড়িমোড়া অতীত স্মৃতি। রমনার বটমূলে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে নতুন বছরের নতুন ভোরে ছেলে, বুড়ো, আবালবৃদ্ধবনিতা রবীন্দ্রনাথ, নজরুলের গীতরসে বাউলগানের উদাত্ত সুরে ফিরে যান অতীতে। নতুন প্রাণরসে ভরে ওঠে মন-প্রাণ। মঞ্চে একই রঙে রঙিন পোশাকে সুসজ্জিত শিল্পীরা সুরেলা আবেশে মাতিয়ে তোলেন আকাশ বাতাস। বয়সী বৃক্ষের পত্রপল্লবে শাখায় শাখায় লাগে দোলা। শত শত কণ্ঠে বেজে ওঠে নতুন আশার জাগরণের বাঁশি।
‘এসো হে বৈশাখ/ এসো এসো/তাফস নিঃশ্বাস বায়ে/ মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে/ বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক।’
কবি আরো প্রার্থনা করেছেন,
‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা,
অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা।’
এই চেতনায় আমরাও হয়ে উঠি গ্লানিমুক্ত শুচিশুভ্র।
কবিগুরু বৈশাখের পঙ্ক্তিমালায় আরো অমিয়বাণী পল্লবিত হয়,
‘ওই বুঝি কালবৈশাখী
সন্ধ্যা আকাশ দেয় ঢাকি।’
ভয় কীরে তোর ভয় কীরে, দ্বার খুলে দিস চারধারে
শোন দেখি ঘোর হুঙ্কারে নাম তোরই ওই যায় ডাকি।’
পয়লা বৈশাখের আবাহন বাঙালি জীবনে আনে বিচিত্র আলোড়ন। বাঙালি সংস্কৃতি, ঐতিহ্যের অপরিহার্য অংশ হয়ে আছে বাংলা নববর্ষ যুগ যুগ ধরে। নির্দোষ আনন্দ যদি জীবনে না থাকে তবে সেই জীবন হয়ে পড়ে পানাপুকুরের মতো আবদ্ধ তরঙ্গহীন। চৈত্রের শেষদিনে বাঙালি গৃহস্থেরা বিশেষত হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরে ঘরে অনুষ্ঠিত হয় চৈত্রসংক্রান্তি। সারা বছরের আবর্জনা সাফসুতরো করার আয়োজন। বাঙালি ঐতিহ্যের এসব কর্মকাণ্ড স্বাস্থ্যসম্মত সচল জীবনের জয়গান। এর পর দিনই আসে কাক্সিক্ষত নববর্ষ পয়লা বৈশাখ। ঢাকার শাঁখারিপট্টি থেকে আধুনিক মলগুলোতেও ব্যবসায়ীরা বিপুল উদ্দীপনা নিয়ে খোলেন হালখাতা। পুরনো বছরের সব হিসাব-নিকাশ বুঝে নিয়ে খোলেন নতুন হালখাতা। ছোট বড় দোকানিরা হাসিখুশি মেজাজে গ্রাহকদের মিষ্টিমুখ করান। নববর্ষের শুভেচ্ছা কার্ড পাঠান নতুন-পুরনো গ্রাহকদের ঘরে ঘরে। দোকানগুলো সাজানো হয় রঙিন কাগজের ফুলে তাজাফুলের মালায়। সুবাসে ভরে ওঠে চারপাশ। একটি দিনের জন্য দোকানিরাও বাণিজ্য ভুলে হয়ে ওঠেন আপনজন বন্ধু। বাঙালি ভুলে যায় এ সংসারে আছে কোনো জটিলতা, শত্রুতা ও সমস্যা। যেন আকাশ বাতাস বৃক্ষলতা গলা ছেড়ে পড়ে সুখের নামতা।
নববর্ষ পালন শুধু বাংলাদেশের আপামরজনতার উৎসবই নয়। পৃথিবীর অনেক দেশেই নতুন বছরকে আবাহন জানানোর রীতি চলে আসছে। ইরানের ‘নওরোজ’ উৎসব খুব জাঁকজমকপূর্ণ। সে দেশের ঐতিহ্যের ধারায় পালিত হয় নওরোজ।
পাশ্চাত্যে পালিত মহা-আড়ম্বরে ১লা জানুয়ারি ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’। এর বাতাস এসে লেগেছে আমাদের জীবনেও। আমরা নিউ ইয়ারকে স্বাগত জানাই ক্যালেন্ডারের পাতায়। কারণ ইংরেজি তারিখ, মাস, বার আমাদের জীবনচর্চায় মিলে মিশে গেছে। দুঃখের বিষয় আমাদের অনেকেই তাৎক্ষণিকভাবে বলতে পারি না বাংলা মাস, তারিখ ও বছরের হিসাব। পয়লা বৈশাখ, পয়লা ফাল্গুনের নবান্ন উৎসব ইত্যাদি কয়েকটি দিনকে নিয়ে মাতামাতি করে বাকি ভাদ্র, আশ্বিন বা আষাঢ়-শ্রাবণ কোথায় হারিয়ে যায়। আমরা বড়রাও হুট করে বলতে পারি না আজ ২০ ফাল্গুন কিন্তু বলতে পারি আজ ৩রা মার্চ। ২০১২ সাল খুব মনে থাকে, মনে থাকে না ১৪১৮ বাংলা।
ছোট বন্ধুরা! তোমরা যদি একটু মনোযোগী হও তবে তোমরাই হবে জয়যুক্ত।
প্রচলিত সংস্কার বছরের প্রথম দিন ভালো-মন্দ খেলে সারাটি বছর ভালো যাবে। গ্রামীণ বৌ-ঝিরা পিঠাপুলি পায়েস রাঁধে তাদের সাধ্যমত। মজার ব্যাপার হলো গ্রামবাংলার প্রতিদিনের খাদ্য পান্তাভাত উঠে আসে এক লম্ফে শহুরে বিত্তশালীর ডাইনিং টেবিলেও! বাজারে মাটির ডিনার সেটও আজকাল পাওয়া যায়। গরমভাতে পানি ঢেলে পান্তা খাওয়ার আহলাদে আটখানা শহরের বিত্তশালীরা। সঙ্গে ইলিশভাজা আরও কত কী!
নাশতার টেবিলে নববর্ষের দিন দই, চিঁড়া, কলা, ফুটি, তরমুজ, পেয়ারা, লটকন বা আরো দেশী ফলের বাহার।
নববর্ষ-শহুরে শিশু-কিশোরকে দেয় গ্রামীণ শেকড়ের ঠিকানা। বয়স্কজনের মনপ্রাণ স্মৃতিকাতরতায় ভরে যায়। এও কি কম পাওয়া! এ যেন ছকবাঁধা যান্ত্রিক রুটিনজীবনের ঘেরাটোপের ফাঁকফোকরে দখিন হাওয়ার পরশ। পিঠা, হাওয়াই মিঠা থেকে চটপটি, ফুচকা, পান্তা কী না ওঠে বৈশাখী মেলার আয়োজনে। চড়াদামে এসব খাবার বিক্রি হয়।
বাংলাদেশ সেজে ওঠে নির্মল উৎসবে। ভ্রাতৃত্ববোধ, মঙ্গলচেতনায় সমৃদ্ধ হয় বাঙালি। একদিনের জন্য যেন কর্পূরের মতো উবে যায় হিংসা, সন্ত্রাস। বাঙালির ঐতিহ্য সংস্কৃতি, ভাষা, সাহিত্য নববর্ষের পরিচয় প্রাণরস। আমাদের শিশু-কিশোরদের মনে মননে বিদেশী সংস্কৃতির ছোবলে মলম লাগাবে আমাদের ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষের এই চিরন্তনী উৎসব পয়লা বৈশাখ। আমাদের ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মিশে আছে নববর্ষ পালনের গভীরে। চলনে বলনে প্রকৃত মানুষ হওয়ার সাধনা শৈশব থেকেই করতে হবে। উচ্ছৃঙ্খল পাশ্চাত্যের মন্দ দিকগুলোর ঢেউয়ে যেন ভেসে না যায় আমাদের কোমলমতি কিশোরসমাজ। অভিভাবকদেরও যথেষ্ট মনোযোগী হতে হবে এ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে।
রবীন্দ্রনাথের পঙ্ক্তিমালা মনে পড়ে। প্রতি নববর্ষে আমাদের আগামী দিনের নাগরিকদের মনে করিয়ে দিতে হবে এসব অমিয়বাণী। যেন তারা হৃদয়বান পূর্ণ মানুষ হয়ে গড়ে ওঠে, কর্মবীর হয়ে দেশের জন্য কাজ করে। কম্পিউটার সর্বস্ব, আত্মকেন্দ্রিক, অলস, দুর্বলচিত্ত কিশোর-কিশোরী নয়। রবীন্দ্রনাথের পঙ্ক্তি দিয়েই ইতি টানছিÑ
‘পদে পদে ছোটো ছোটো নিষেধের ডোরে
বেঁধে বেঁধে রাখিয়ো না ভালো ছেলে করে।
প্রাণ দিয়ে দুঃখ সয়ে, আপনার হাতে
সংগ্রাম করিতে দাও ভালোমন্দ সাথে।
শীর্ণ শান্ত সাধু তব পুত্রদের ধরে
দাও সবে গৃহছাড়া লক্ষ্মীছাড়া করে।
সাত কোটি সন্তানেরে, হে মুগ্ধ জননী,
রেখেছ বাঙালি করে মানুষ করনি।’
১৪১৯ বাংলা নববর্ষে আমাদের নব আশা, আমাদের সন্তানেরা অবশ্যই প্রকৃত  দেশপ্রেমিক হবে- অবশ্যই মানুষের মতো মানুষ হবে। দেশের দশের মুখ উজ্জ্বল হবে। বাংলাদেশ পৃথিবীর মানচিত্রে জ্বলজ্বল করবে এ আমাদের হৃদয়মথিত একান্ত আকুতি।
                        
আপনার মন্তাব্য লিখুন
অনলাইনে কিশোরকন্ঠ অর্ডার করুন
লেখকের আরও লেখা

সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ

আরও পড়ুন...

CART 0

আপনার প্রোডাক্ট সমূহ