পরশ পাথর -মোস্তফা রুহুল কুদ্দুস
নাটিকা মার্চ ২০১৭
চ রি ত্র লি পি মূল চরিত্র খন্ড চরিত্র ড. সৈকত : গবেষক নুরু মামা : চা দোকানি মি. জিসান : গবেষণা সহকারী শোভন : সাধারণ ছাত্র মি. শৈবাল : গবেষণা সহকারী পিয়ন : স্কুল পিয়ন শিরিন : সৈকতের স্ত্রী ওসি : পুলিশ অফিসার সৌরভ : সৈকতের বিপথগামী ছেলে পুলিশ-১ : কনস্টেবল গৌরব : সৈকতের আদর্শবান ছেলে পুলিশ-২ : কনস্টেবল দিলদার : সৈকতের কাজের লোক ডাক্তার : নামেই পরিচয় প্রধান শিক্ষক : নামেই পরিচয় নার্স : নামেই পরিচয় জুয়েল : খারাপ ছাত্র ১ম ব্যক্তি : পাবলিক পলাশ : খারাপ ছাত্র ২য় ব্যক্তি : পাবলিক রহমত : আদর্শবান ছাত্র ছাত্র-ছাত্রী : সাধারণ শিক্ষার্থী দৃশ্য-২৮/ ইনডোরÑ স্থান : বেড রুম চরিত্র : সৈকত, শিরিন, দিলদার ও গৌরব (সৈকত বাইরে যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। পাশে শিরিন) সৈকত : আরে না, না, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের একটা বড় সেমিনার। দেশের বিখ্যাত বুদ্ধিজীবীরা সেখানে উপস্থিত থাকবেন। সেমিনারে আমার মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার থিউরি উপস্থাপন করতে হবে। তাতে সবাই একমত হলে আমার অ্যাওয়ার্ডটা নিশ্চিত হবে। বুঝলে? এবার আমার ব্রিফকেসটা দাও। (শিরিন ব্রিফকেস এনে দেয়) শিরিন : দেখ সব ঠিক ঠাক আছে কি না। সৈকত : (ড্রয়ার থেকে মানিব্যাগ নিয়ে দেখেন) একি টাকা কই? শিরিন আমার মানিব্যাগে হাত দিয়েছিল কে? শিরিন : তাতো জানি না। আমার গলার চেনটাও পাচ্ছি না কোথায় যে রেখেছি। সৈকত : এক শ’ টাকার নোট ছিল ৭টা। এখন দেখছি দুইটা। দিলদার- শিরিন : দিলদার বাইরে কাজ করছে। সৈকত : নিশ্চয় ওর কাজ। ও ছাড়া আমার মানিব্যাগে কেউ হাত দেয় না। শিরিন : দিলদার এ বাড়ির ১৮ বছরের কর্মচারী। এমন কাজ কখনো করেছে। সৈকত : তা অবশ্য করেনি। শিরিন : তাহলে ওকে দুষছো কেন? (একগাদা সিগারেটের প্যাকেট নিয়ে দিলদারের প্রবেশ) সৈকত : একি, এত সিগারেটের প্যাকেট কোথায় ছিল? দিলদার : সেপটিক ট্যাংকির পাশে। শিরিন : তোমার তো প্রায়ই সিগারেট চুরি হয়ে যায়। আমার মনে হয় এসব একজনের কাজ। যে সিগারেট নেয়, টাকা, চেন সে-ই চুরি করেছে। সৈকত : কিন্তু সেই লোকটা কে? শিরিন : নিশ্চয় বাইরের কেউ না। কাজটি করেছে এ বাড়ির কেউ। ছি: ছি: ছোট্ট একটা পরিবারকে সিগারেটমুক্ত করতে পারো না, আর বাংলাদেশকে করবে মাদকমুক্ত। ধিক, তোমার গবেষণার। সৈকত : এর মধ্যে আবার গবেষণা টানছো কেন। শিরিন, দিলদার, তোমরা শুনে রেখ, চুরির ক্লু আমি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বের করবোই করবো। (প্রস্থানোদ্যত। জ্যামিতি বক্স, স্কেল নিয়ে গৌরবের প্রবেশ) গৌরব : আব্বু, আম্মু, আংকেল, পরীক্ষা দিতে যাচ্ছি। দোয়া করবেন। শিরিন : সৌরভ? আগেই চলে গেছে। শিরিন : ও বাবা! সেন্টার পরীক্ষা। একটু বলে গেল না! গৌরব : আসি। (প্রস্থান) সৈকত : (ঘড়ি দেখে) দেরি হয়ে গেল। সবাই আশীর্বাদ করো যেন অ্যাওয়ার্ডটা পেয়ে যাই। (প্রস্থান দৃশ্যান্তর) দৃশ্য-২৯/ ইনডোরÑ স্থান : টিভি রুম চরিত্র : শিরিন সৌরভ ও অন্যান্য দর্শক (শিরিন ও অন্যান্যরা টিভি দেখে। প্রবেশ করে সৌরভ। হাতে একটা সিডি) সৌরভ : ওসব কী দেখছো আম্মু। তার চেয়ে সিডিটা চালিয়ে দেই। খুব ভালো বই। তুমি দেখলে পাগল হয়ে যাবে। শিরিন : সৌরভ, আমার সামনে আয়তো। (সামনে এসে দাঁড়ায়) একি! তোর চেহারা এমন কেন? চোখ গর্তের মধ্যে। পাঁজরের হাড় বেরিয়ে পড়েছে। এভাবে শুকিয়ে যাচ্ছিস কেন? সৌরভ : কই নাতো। শিরিন : এখন উঠতি বয়স। চোখে মুখে থাকবে তারুণ্যের উদ্যম। অথচ- না না, তোর নিশ্চয়ই কিছু হয়েছে। সৌরভ এখন সিডি রাখ। শোন, তোর আব্বুর টাকা চুরি হবার পর ভীষণ ক্ষেপে গেছে। সত্যি করে বলতো, টাকা সিগারেট কে নেয়? সৌরভ : আব্বু দিনে ৫ প্যাকেট সিগারেট খায়। ছেলেরা কি এক প্যাকেটও খেতে পারে না? শিরিন : (টিভি বন্ধ করে) ওরে বাবা! কাজটি তাহলে তোর! সৌরভ, তুই সিগারেট খাস? হায় হায় হায় এ কী শুনালি! সৌরভ : আমি বাইরে যাচ্ছি। ফিরতে দেরি হবে। (সৌরভের প্রস্থান) তাইতো বলি- প্রতিদিন সিগারেট কোথায় যায়। (দৃশ্যান্তর) দৃশ্য-৩০/ ইনডোরÑ স্থান : বেড রুম চরিত্র : সৈকত, শিরিন ও দিলদার (কলিং বেল বাজে। দরোজা খোলে শিরিন। প্রবেশ করে সৈকত) সৈকত : শিরিন, ক্লু পেয়ে গেছি। সৌরভ কই? এই বয়সে সিগারেট ধরেছে। দেখ এসএসসিতে কী রেজাল্ট করে। শিরিন : বাইরে থেকে এলে। এখন হাত মুখ ধুয়ে একটু ফ্রেশ হও। তারপর কে কী করলো দেখা যাবে। সৈকত : না, না, ওকে আমি মেরে ফেলবো। দিলদার, সৌরভকে ডেকে দে। শিরিন : আহ হা, তুমি প্রেসারের রোগী। ডাক্তার উত্তেজিত হতে নিষেধ করেছেন। বসো এখানে। মাথা ঠান্ডা কর। (সৈকতকে বসিয়ে পানি এনে দেয় শিরিন। পাখা দিয়ে বাতাস করে। কিছুক্ষণ পর বাইরে যায় এবং একগাদা বোতল এনে রাখে।) শিরিন : হইচই করে সমস্যার সমাধান হবে না। দেখতো এগুলো কী? সৈকত : আরে এতো ফেনসিডিলের বোতল। এতো বোতল কোথায় পেলে? শিরিন : ড্রেনের ভেতর। ক’দিন ড্রেন দিয়ে পানি সরছিল না। দিলদার পরিষ্কার করতে গিয়ে পেয়েছে। সৈকত : তাহলে কি ও সিগারেট ছেড়ে ফেনসিডিল ধরেছে। শিরিন : আমার মনে হয় এগুলো ছাদের ওপর থেকে ড্রেনে ফেলা হয়েছে। সৌরভ প্রায়ই কারেন্ট চলে গেলে ছাদে যায়। সৈকত : এত কিছু জানো- অথচ একদিনও আমাকে বলোনি। শিরিন : আরে বাবা, ও যে ছাদে গিয়ে ফেনসিডিল খায় তা কী করে বুঝবো। সৈকত : এ জন্য ওর চেহারা বদলে গেছে। চোখে মুখে কেমন যেন হতাশার ছাপ। শিরিন : আমিতো স্বপ্নেও ভাবিনি, আমার ঘরে ফেনসিডিল ঢুকবে। সৈকত : না, না, আমার গবেষণা শেষ। লাইব্রেরি বই দেশী-বিদেশী জার্নাল সব জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দেবো। (দ্রুত বেরিয়ে যায়) শিরিন : দিলদার- (দিলদারের প্রবেশ) শিগগির সাহেবের সাথে যা। একটুও পিছু ছাড়বিনে। (দৃশ্যান্তর) দৃশ্য-৩১/ ইনডোরÑ স্থান : লাইব্রেরি চরিত্র : সৈকত, জিসান, শৈবাল ও দিলদার (লাইব্রেরি থেকে বই পেপার ফাইলপত্র ছুড়ে ফেলে সৈকত। পাশে দাঁড়িয়ে দিলদার। প্রবেশ করে জিসান ও শৈবাল) জিসান : স্যার একি করছেন! দু®প্রাপ্য বই, দামি দামি জার্নাল, রেফারেন্সপত্র সব ফেলে দিচ্ছেন কেন? শৈবাল : এগুলো বিদেশ থেকে বহু কষ্টে সংগ্রহ করা। জিসান : প্লিজ স্যার, এভাবে নষ্ট করবেন না। সৈকত : সব মিথ্যে ভুয়া। দিলদার, পেট্রোল নিয়ে আয়। আগুন ধরিয়ে দেবো। জিসান : একি বলছেন স্যার! ২০ বছরের গবেষণা আগুন দিয়ে নিঃশেষ করে দেবেন? সৈকত : নিষ্ফল গবেষণা। ২০ বছর গবেষণা করে মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার যেসব থিউরি পেয়েছি সব মিথ্যা। শৈবাল : স্যার সর্বশেষ গবেষণা- সৈকত : সামাজিক আন্দোলন? সেটাও মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। জিসান : এসব কী বলছেন স্যার! সৈকত : কিছু বুঝতে পারছো না তাই না! আমার গুণধর সন্তান সৌরভ এখন মাদকাসক্ত, ফেনসিডিলখোর। নিজের ঘরে ফেনসিডিল ঢুকিয়ে বাংলাদেশকে মাদকমুক্ত করার আন্দোলন (হা: হা: হা:) এর চেয়ে ব্যর্থ গবেষক আর কে হতে পারে। দিলদার, সব আগুন ধরিয়ে নিশ্চিহ্ন করে দে। (দৃশ্যান্তর) দৃশ্য-৩২/ইনডোর- স্থান : থানা চরিত্র : ওসি, সৌরভ, পুলিশ-১, পুলিশ-২ (ওসি সাহেবের কক্ষ। হাতকড়া পরা সৌরভ ও দুই কনস্টেবল ওসির সামনে দাঁড়িয়ে) ওসি : (সৌরভকে) অহনো মুখ টিপলে দুধ বের হয়। হের মধ্যে নেশায় ধরছে। মা-বাবাও খোঁজ রাহে না! হেই পুলা, লেহাপড়া করোস? সৌরভ : এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছি। ওসি : অহনো কলেজে পা দাও নাই। বাবায় কী করে? (সৌরভ মাথা নিচু করে দাঁড়ায়) পুলিশ-১ : স্যার, হের বাবা খুউব নাম করা লোক-ড. সৈকত। ওসি : সৈকত! হেই মাদকবিরোধী আন্দোলনের নেতা! বাবায় দেশটারে মাদকমুক্ত করবার চায়। আর তুই করছিস আমদানি! এই ফোন নম্বর দে। সৌরভ : স্যার, আমাকে যা ইচ্ছে তাই করেন। আব্বুকে বলবেন না। প্লিজ। ওসি : একদম ফুডা কইরা ফ্যালামু। পুলিশের প্যাদানি খাইলে শয়তানও ফেরেশতা অইয়া যায়। পুলিশ-২ : (রাইফেল দিয়ে গুতো মেরে) ভালোয় ভালোয় ফোন নাম্বারটা দিয়া দে। স্যার কইতাছি-৬৫*** (ওসি ফোন করেন। দৃশ্যান্তর) দৃশ্য-৩৩/ইনডোর- স্থান : বেড রুম চরিত্র : শিরিন, সৈকত, গৌরব ও দিলদার (বেড রুমে শিরিন। উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় বার বার এদিক ওদিক পায়চারি করে। মাঝে মাঝে রিসিভার তুলে ফোন করে। উত্তেজিত চেহারায় প্রবেশ করে সৈকত) সৈকত : সব ফাইনাল করে এলাম। আজ থেকে আমার রিসার্চ বন্ধ। শিরিন : এসব কী বলছো! সৈকত : মিথ্যা মরীচিকার জঞ্জাল দিয়ে লাইব্রেরি সাজিয়েছিলাম। আজ সব সাফ করে এলাম। শিরিন : তোমার অ্যাওয়ার্ড? সৈকত : আর কষ্ট দিয়ো না শিরিন। তোমার কথাই সঠিক ছিল- নিজে সিগারেট খেয়ে বাংলাদেশকে মাদকমুক্ত করা যায় না। সৌরভ কই? শিরিন : এখনো ফেরেনি। সৈকত : ওর মতো ছেলেকে আমি আর এ বাড়ি দেখতে চাইনে। শিরিন : মাথা ঠান্ডা করো। সৈকত : না, না, ওকে আমি মেরে ফেলবো। (ফোন বাজে) দেখতো, অসময়ে কে ফোন করলো। (শিরিন রিসিভার তুলে কানে ধরে। তারপর সৈকতকে দেয়) সৈকত : থানা থেকে? বলুন? কণ্ঠ : ড. সৈকত বলছেন? সৈকত : জি। কণ্ঠ : সৌরভ কি আপনার ছেলে? সৈকত : কেন, কী হয়েছে? কণ্ঠ : স্যরি স্যার, সৌরভ রেল কলোনি থেকে ফেনসিডিলসহ আটক হয়েছে। সৈকত : অ্যা! (হাত থেকে রিসিভার পড়ে যায় এবং শিরিন বলে চিৎকার করে নিজেও পড়ে যায়) শিরিন : দিলদার- (দিলদারের প্রবেশ) দু’জনে ধরাধরি করে খাটের ওপর শুইয়ে দেয়। শিরিন হাত পা ম্যাসেজ করে) দিলদার : তত্ত্বকথার ফল। কিছু হইলেই চেইতা উঠবো। (গৌরবের প্রবেশ) গৌরব : কি হলো আম্মু? শিরিন : তোর ভাইয়া- না, না, শিগগির হাসপাতালে ফোন কর। (গৌরব রিসিভার তুলে ফোন করে। দৃশ্যান্তর) দৃশ্য-৩৪Ñ স্থান : বাড়ির গেট চরিত্র : গৌরব, দিলদার, অন্যান্যরা (বাড়ির গেটে একটা অ্যাম্বুলেন্স এসে দাঁড়ায়। গৌরব, দিলদার ও অন্যান্যরা ধরাধরি করে সৈকতকে গাড়িতে তুলে দেয়) দৃশ্য-৩৫/ইনডোর- স্থান : হাসপাতাল চরিত্র : ডাক্তার, নার্স, জিসান, শৈবাল ও গৌরব (হাসপাতালের বেডে সৈকত। এক পাশে ডাক্তার-নার্স। অন্য পাশে জিসান, শৈবাল ও গৌরব) জিসান : কেমন দেখলেন ডাক্তার সাহেব? ডাক্তার : আপাতত শঙ্কামুক্ত। তবে এ যাত্রা প্রাণে রক্ষা পেলেও বড় ধরনের একটা ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। জিসান : কী ক্ষতি সেটা? ডাক্তার : পড়ে গিয়ে মেরুদন্ডে প্রচন্ড আঘাত পেয়েছেন। কখনো সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারবেন না। সবসময় টেনশন এড়িয়ে হাসি খুশির মধ্যে রাখলে কিছুটা উন্নতি হতে পারে। জিসান : স্যার, হাসপাতালে কত দিন থাকতে হবে? ডাক্তার : নতুন কোনো সমস্যা না হলে দু-একদিনের মধ্যেই রিলিজ দেবো। (দৃশ্যান্তর) দৃশ্য-৩৬/আউটডোর- স্থান : স্কুল মাঠ চরিত্র : জুয়েল, পলাশ, শোভন (রেজাল্ট নিতে স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের ভিড়। মাঠের একপাশে দাঁড়িয়ে জুয়েল ও পলাশ) জুয়েল : সব সময় এক সাথে থাকি। আজ রেজাল্টের দিন সৌরভ নেই। খুব খারাপ লাগছে পলাশ। পলাশ : ও যে এভাবে ধরা খাবে তা আমি বুঝতেই পারিনি। (রেজাল্ট শিট নিয়ে শোভনের প্রবেশ) জুয়েল : দেখি দেখি। (রেজাল্ট শিট নিয়ে দেখে) ... না, আমার রোল নেই। পলাশ : দেখি আমারটা ... পেলাম না। জুয়েল, সৌরভের নাম্বার কতরে? জুয়েল : ০০৯৮৩। পলাশ : না ওরটা নেই। জুয়েল : তার মানে আমরা ফেল করেছি। গৌরব? শোভন : গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছে। জুয়েল : না, না, আমার বিশ্বাস হয় না। নিশ্চয়ই কোথাও ভুল হয়েছে। পলাশ : আমরা ফেল করলেও সৌরভ ফেল করতে পারে না। ওর বাবা ডক্টর। কড়া শাসনে দুই ভাই একঘরে থেকে লেখাপড়া করেছে। অথচ একজন করলো ফেল, আরেকজন পেল গোল্ডেন এ প্লাস। না, না, তা হতে পারে না। (দৃশ্যান্তর) [আগামী সংখ্যায় সমাপ্য]
আরও পড়ুন...