পোকামাকড়ের ঘরবসতি

পোকামাকড়ের ঘরবসতি

প্রচ্ছদ রচনা সেপ্টেম্বর ২০১৪

মৃত্যুঞ্জয় রায়

Prochchedএকবারও ভেবে দেখেছ, পোকারা কোথায় থাকে? ওদের কি বাসা আছে? নাকি কেবল গাছের ডাল-পাতায় ঘুরে ঘুরে বেড়ায় বানরদের মত? সব পোকামাকড় না হলেও, অনেক পোকারাই বিচিত্র ধরনের বাসা বানায়। সেসব বাসার মধ্যে তারা থাকে এবং জীবন কাটায়। বাসার ভেতরে কোনো কোনো পোকা ডিম পাড়ে এবং সন্তানদের লালন পালন করে বড় করে তোলে। মৌচাক দেখনি? ওটাও তো মৌমাছিদের বাসা। মৌমাছিও এক ধরনের পোকা। কী রকম ওদের ঘরবাড়ি? এক এক দেশের মানুষ যেমন এক এক রকম ঘর বানায় তেমনি এক এক পোকামাকড় এক এক ধরনের বাসা তৈরি করে। তবে ওরা যেমন বাসা বানায়, কোনো মানুষের পক্ষে তা সম্ভব নয়। ওদের শিল্পকৌশলই আলাদা। হাজার চেষ্টা করেও মানুষ একটা মৌচাক বানাতে পারে না। অথচ কয়েক হাজার মৌমাছি দুই দিনেই তা বানিয়ে ফেলে। আবার মৌমাছিরা যেমন বাসা বানায়, উই পোকারা তেমন বানায় না। পিঁপড়ারা বানায় অন্যভাবে। অথচ ওরা সামাজিক প্রাণী। দলবদ্ধভাবে বাস করে। কিন্তু একই জায়গায় তিন রকমের পোকা তিন রকম বাসা বানায়। অন্য পোকাদের বাসাগুলো আরও বিচিত্র। তেমনি বোলতার চাক, উইয়ের ঢিবি, নালসোর বাসা-একটু খেয়াল করলেই তোমরা এগুলো তোমাদের চার পাশে দেখতে পার। একটু নজর রাখলে আমাদের চার পাশে রোজই এমন কত পোকার বাসা দেখা যায়। শুধু দেখে চলে যাওয়া নয়, কিছুক্ষণ সেখানে বসে দেখলে, পোকাদের চলাচল, আচরণ, খাদ্য ইত্যাদি ভাল করে লক্ষ্য করলে অনেক মজার মজার লাইভ শো সিনেমা চোখে পড়বে। এসব দেখে তাই পোকাদের সম্পর্কে এমন কিছু কথা জানা হয়ে যাবে যা কোন বইয়ে নেই। বই নয়, আসলে প্রকৃতিই  মানুষের বড় শিক্ষক যদি ওর কাছ থেকে আমরা শিখতে চাই।

কাঁটার মতো বাসা

ব্যাগ ওয়ার্মের কথাই ধরা যাক। এ নামে এক ধরনের পোকা আছে। আমাদের দেশে থুজা, ঝাউ, আম, জাম ইত্যাদি গাছের পাতায় ওরা বাসা বানায়। বাসা দেখে কেউ কখনো কল্পনা করতে পারবে না যে ওটা কোন পোকার কাজ। বাসা দেখতে লম্বা সরু কাঁটার মত। মনে হবে পাতায় কাঁটা গজিয়েছে। কিন্তু একটু লক্ষ্য করলেই দেখা যাবে পাতার ওপর, কাণ্ডের ওপর কাঁটাগুলো নড়ছে, হাঁটছে। গাছের কাঁটা কি চলতে পারে? আসলে তো ওগুলো কাঁটা নয়- পোকার বাসা। ব্যাগ ওয়ার্ম পোকার বাচ্চারা মুখ থেকে লালা ও সুতা বের করে পাতা বা ছাল কুরে কুরে খায় ও তা দিয়ে দেহের চার পাশে কাঁটার মত খোলস তৈরি করে বাসায় পরিণত করে। যেন কখনো শত্রু টের না পায় যে ওখানে কোন পোকা আছে। পোকা মুখ দিয়ে পাতার ত্বক বা বাকল কামড়ে ধরে চলতে থাকে, সঙ্গে বাসাও। একইভাবে বাসা বানায় ঝুড়ি পোকারাও। যাযাবর মানুষের মত তারাও ঘরবাড়ি সঙ্গে নিয়ে গাছে গাছে ঘুরে বেড়ায়। এ বাসার মধ্যেই তারা পুত্তলি দশায় যায় এবং বাসা কেটে পূর্ণাঙ্গ পোকা হয়ে বেরিয়ে আসে। তবে মজার ব্যাপার হল, এসব পোকার মা বাবারা কিন্তু মোটেই বাসা বানাতে পারে না। ছোটদেরই বাসার দরকার হয়। তাই তারাই শুধু পারে এ ধরনের বাসা বানাতে। একটা বাসায় ওরা একজনই থাকে। কোন কোন সময় করমচা বা কুলগাছের চিকন চিকন ডালে দেখা যায় কালো রঙের দুলের মত ময়লা ঝুল এখানে সেখানে ঝুলছে। নলের মত ঝুলের চার পাশে খুব সরু সরু ইঞ্চি দেড়েক লম্বা ছোট বড় কাঠি জড়িয়ে আছে। এগুলোর একটা তুলে চিরে ফেললেই দেখা যাবে ঝুল নয়, ওর ভেতরে পোকা। এটি এক ধরনের মথের বাচ্চা। ওরা এভাবেই বাসা বানায়।

চোঙ্গার মতো বাসা

এবার ভ্রমরের কথা ধরা যাক। সুড়ঙ্গ বা গর্তওয়ালা কোনো পুরনো কাঠ পেলে ভ্রমরেরা সেখানে তাদের বাসা গড়ে তোলে। মা-বাবা বাচ্চা সবাই মিলে সে বাসায় থাকে। বাসার উপযুক্ত কাঠ পেলে ভ্রমরেরা সবুজ পাতার খোঁজে বেরিয়ে পড়ে। তবে বাসা তৈরির জন্য গোলাপ পাতাই ওদের বেশি পছন্দের। গোলাপ পাতা পেলে গোল গোল করে কেটে সেই টুকরোগুলো তামাক পাতার মত পর পর সাজিয়ে ছোট্ট একটা চুরুটের মতো বাসা তৈরি করে। পাতার ভাঁজে ভাঁজে ডিম পাড়ে এবং ডিম ফুটে বাচ্চা বের হলে ওরা যেন খাবার পায় সে জন্য ডিমের কাছে কিছু খাবার রেখে আসে। এক একটা সুড়ঙ্গের মধ্যে পর পর সাজিয়ে ৮-১০টি পাতার চোঙ্গা বা গুটি রেখে দেয় ওরা। প্রতিটি চোঙ্গার মধ্যেই থাকে একটি করে ডিম। গুবরে পোকারাও বাসা বানায় পাতা দিয়ে। গুবরে পোকার বাচ্চা বড় একটা কচুপাতা নিয়ে পাটিসাপটা পিঠার মত মুড়তে থাকে। লম্বা নলের মত বাসা বানিয়ে মুখ থেকে লালার মত সুতো ছেড়ে সেটিকে বেঁধে ফেলে তারপর দিব্যি তার  ভেতর বাস করতে শুরু করে। ধানের চুঙ্গি পোকার বাচ্চারাও একইভাবে ধানের পাতা কেটে চোঙ্গা তৈরি করে বাসা বানায়। ধান ক্ষেতের চুঙ্গি পোকা এক ধরনের চোঙ্গা বা নৌকার মত বাসা বানায়। চুঙ্গি পোকার মা-বাবা এক ধরনের সাদা রঙের মথ, ছোট্ট প্রজাপতির মত ঝাঁপিয়ে ঝাঁপিয়ে উড়ে বেড়ায়, পাতায় বসে জীবন পার করে দেয়। ওদের কোন বাসার দরকার হয় না। কিন্তু ওর বাচ্চাদের বাসা ছাড়া একদম চলে না। বাসা ছাড়া ওরা বাঁচবেই না। তাই বাচ্চারা ধানের পাতার চওড়া একটা জায়গা দেখে আধা থেকে এক ইঞ্চির মত সমান কেটে ফেলে। তারপর সেই কাটা টুকরোর দুই কিনারা লালার সুতো দিয়ে জুড়ে সেলাই করে দেয়। এতে চোঙ্গা তৈরি হয়। দুই মাথাও বন্ধ করে দেয়। তারপর ধানক্ষেতে পানির ওপর নৌকার মত সেসব বাসায় করে ভাসতে থাকে। সে বাসায় ওরা থাকে আর ধানক্ষেতের পানির উপরে ভেসে বেড়ায়। ভাসমান সে বাসায় চড়ে ওরা এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় যায়। থুতুর বাসা

শীতকালে রাস্তার ধারে ঝোপঝাড়ে মরা ঘাসের কাঠিতে অনেক সময় সাদা ফেনা ফেনা এক ধরনের বস্তু দেখা যায়। ওগুলো দেখতে থুতুর মত। তবে থুতু নয়। ওগুলোও এক ধরনের পোকার বাসা। থুতু পোকা বা স্পিটল বাগ পোকার বাচ্চারা অদ্ভুত উপায়ে দেহ থেকে ফেনা বা বুদবুদের মত প্রচুর পরিমাণে থুতু বের করে তার ভেতর লুকিয়ে থাকে। থুতুর আবরণই ওদের বাসা।

ঠোঙ্গার মতো বাসা

আম, জাম, লিচু, জামরুলের ফল পাড়তে গিয়ে অনেকেই নালসো বা কমলা পিঁপড়ের কামড় খেয়ে যন্ত্রণায় গাছ থেকে ফল না ছিঁড়েই নেমে পড়েছে। গাছে নালসোরা ছিল কোথায়? বাসায়। ওরা ডালের পাতা পরস্পর জুড়ে ঠোঙ্গা বা বলের মতো বাসা বানিয়ে দলবদ্ধভাবে সে বাসার মধ্যে বাস করে। তবে নালসোর পূর্ণাঙ্গ পোকারা নয়, লার্ভা বা শুককীটরাই বাসা বয়নের কাজ করে। তবে পূর্ণাঙ্গ নালসোরা পাতাগুলো প্রথমে টেনে টেনে কাছাকাছি নিয়ে আসে। দলেবলে মিলে ওরা কাজ করে। তারপর শ্রমিক নালসোরা তাদের মুখে করে লার্ভাকে নিয়ে এসে যেসব পাতা জুড়তে হবে তার কিনারায় ধরে। অমনি লার্ভা বা বাচ্চারা তাদের মুখ এদিক ওদিক নেড়ে ওদের বয়নকার্য শুরু করে। ব্যাস। জোড়া লেগে যায় একটির সাথে অন্য পাতা। আরো পাতা। এরপর তারা লার্ভাকে নিয়ে গৃহে প্রবেশ করে ও ওদের ধন্যবাদ দিয়ে লালন পালন ও ডিম পাড়তে শুরু করে স্ত্রী নালসোরা। কিন্তু শ্রমিক নালসোদের তখনও বিশ্রাম নেয়ার সময় নেই। নিজেরা তো বটেই, ডিম ফুটে বাচ্চা বেরোলে ওরা খাবে কী? অতএব খাদ্যের সন্ধানে বেরিয়ে পড়ে বাসা থেকে। অন্য পোকা ধরতে। তবে উইপোকা ওদের কাছে পোলাও-কোরমার মত। অতএব সে বাসায় হানা দিয়ে ওদের ধরে আনতেও ওদের বাধে না।

ঢিবির মতো বাসা

কিন্তু নালসোরা চাইলেই কি তা সহজে পারে? উইপোকা বাসা বানায় অনেক মজবুত আর সুরক্ষিত করে। বৃষ্টি বাদলেও বাসার দেয়াল ধসে পড়ে না। শ্রমিক উইয়েরা মুখের লালা আর মাটি মিশিয়ে উইসুড়ঙ্গ রেখে মস্ত মস্ত উইঢিবি তৈরি করে ফেলে। কোনো উইঢিবি চল্লিশ ফুট পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। পাঁচ দশ ফুট উঁচু উইঢিবি দেখতে হলে যেতে হবে ঠাকুরগাঁয়ের সিংড়া শালবনে। ঢিবি তৈরির এ কাজটিও করে থাকে শ্রমিক উইয়েরা। নালসোর চাই উই। তাই মাঝে মধ্যে ওরা উই ঢিবিতে হানা দিয়ে ওদের ধরে আনতে যায়। ঢিবির এক জায়গায় অতি কষ্টে ছোট্ট একটা ছিদ্র করে তার পাশে চুপচাপ বসে থাকে নালসো। বাসায় ফুটো দেখে উইপোকা ভাবে, ব্যাপার কী? বাসাটা ফুটো হল কিভাবে। এ কথা ভেবে যেই ওই ফুটো দিয়ে উই উঁকি দেয়, মাথাটা বের করে দেখতে চেষ্টা করে সেই নালসো তাকে আক্রমণ করে ধরে নিয়ে দৌড় মারে। তবে লাল রঙের বিষপিঁপড়েরা কিন্তু গাছে বাসা বানায় না। ওরা মাটির নিচে গর্ত করে বাসা বানায়। বাসার উপরে গুঁড়োগুঁড়ো মাটি তোলে, ভেতরে গর্তে বাস করে।

কলসির মতো বাসা

মৌমাছি বা বোলতার চাক অনেক জায়গাতেই দেখা যায়। ভিমরুলও এক ধরনের বোলতা। এক ধরনের বোলতা আছে যারা গাছের পুরনো কোটরে বা গর্তে বলের মতো গোলাকার বা কলসির মতো বাসা বানায়। অন্ধকার জায়গাতে এরা বাসা বানাতে বেশি পছন্দ করে। গর্তবাসী বোলতারা প্রথমে চ্যাপ্টা থালার মতো চাক তৈরি করে তার ভেতরে বসবাস করতে শুরু করে। চাকের মধ্যে থাকে কুঠুরি। প্রতিটি কুঠুরি বা ঘরে রানী বোলতা একটি একটি করে ডিম পাড়ে কিন্তু ডিম পাড়ার পর শ্রমিক বোলতারা চাকের এ অবস্থাকে যথেষ্ট সুরক্ষিত মনে করে না। তাই তারা তিন-চার স্তরবিশিষ্ট চ্যাপ্টা থালার বাসাটির চারদিকে লালা ও শুকনো কাঠ আঁচড়ে তা দিয়ে গোলাকার আর একটি শক্ত আবরণ তৈরি করে দেয়। একদিকে খোলা দরজা বা মুখ রাখে বাইরে আসা-যাওয়ার জন্য।

মৌচাক

মৌমাছিদের বাসাকে মৌচাক বলে। শ্রমিক মৌমাছির অক্লান্ত পরিশ্রম করে সুন্দর একটি চাক তৈরি করে। ওরা সাধারণত কোনো গাছের ডালে, বিল্ডিংয়ের ছাদে বা কার্নিশে, মৌবাক্সে বাসা তৈরি করে। মৌমাছিদের বাসা খুবই চমৎকার। মৌমাছিরা খুব ভালো জ্যামিতি জানে। সে জন্য বাসার প্রতিটি খোপ বা রুম হুবহু একই মাপে ষড়ভুজাকারে তৈরি করে। এসব খোপে সাধারণত ওরা মধুও জমা করে। কোনো কোনো কুঠুরিতে বাচ্চাদের রাখে। কুঠুরি মধুতে পূর্ণ হলে মোম দিয়ে তার মুখ বন্ধ করে দেয়। নিজেরা গাদাগাদি করে বাসার উপরে অবস্থান করে ও যে যার দায়িত্ব পালন করে। একটি মৌচাকে সাধারণত একটি রানী মৌমাছি থাকে, কিন্তু শত শত পুরুষ ও হাজার হাজার শ্রমিক মৌমাছি থাকে। রানী মৌচাকে মৌমাছির সংখ্যা কেবল বাড়িয়ে চলে আর বাসাও বড় হতে থাকে।

মাকড়সাদের বাসা

কিছু পোকার বাসা সম্পর্কে তো জানা হলো, এবার না হয় দেখতে যাওয়া যাক মাকড়সাদের বাসাগুলো কেমন? পোকা আর মাকড়সা কিন্তু এক নয়। আমরা একসাথে বলি পোকামাকড়। আসলে দু’টি ভিন্ন প্রকৃতির জীব। পোকাদের থাকে ছ’টি পা আর মাকড়সার থাকে আট পা। শরীরটাই আলাদা। তাই কাজ ও বাসা তৈরি কৌশলও আলাদা হবে না কেন? থলে বা স্যাক মাকড়সাদের কথাই ধরা যাক। এদের একটা অদ্ভুত স্বভাব হল ধানগাছের পাতা দিয়ে বিচিত্র বাসা বানানো। একটি থলে মাকড়সা ধানের একটি পাতাকে উপরের দিক থেকে এমনভাবে ভাঁজ করে ফেলে যে ভাঁজের ফলে সেখানে তিন দেয়ালের এক কুঠুরি তৈরি হয়। প্রথমে পাতার আগাকে নিচের দিকে নুইয়ে এক ভাঁজ দেয়, পরে আবার সেই আগাকে আগের মতই উপরে তুলে ফেলে। মাত্র দুবার ভাঁজ করে সে। মাত্র একটি রেশমি সুতো দিয়ে বেঁধে ফেলে ভাঁজ দুটো। এতেই কুঠুরি তৈরি হয়ে যায়। এর  ভেতরেই একটি থলে মাকড়সা লুকিয়ে থাকে। অবশ্য এ কুঠুরি বা বাসার মধ্যে রেশমি জাল বুনে তাকে সে আরো বেশি সুরক্ষিত ও আরামদায়ক করে ফেলে। এখানেই তারা আশ্রয় নেয় ও ডিম পাড়ে। ঝড় বাদলে সহজে সে বাসার কোন ক্ষতি হয় না।

অর্ব মাকড়সার নামটা চাকতি মাকড়সা বললেই ভাল মানায়। কেননা, ওরা বাসা বানায় ঠিক চাকতির মত করে। সব মাকড়সা তো আর জাল বুনতে জানে না। আর যারা জাল বোনে, তাদের মধ্যে অর্ব মাকড়সার জালকে বলা যায় একেবারে খাঁটি মাকড়সার জাল। গোলাকার চাকতির মত। অর্ব মানে বৃত্ত বা গোলক। আর ওর নামটাও এ থেকে। শুধু জালটাই কি সুন্দর? এরা সাধারণত ধানগাছের পাতার আগার দিকে জাল বোনে। জালের এক কিনারে ঘাপটি মেরে বসে থাকে শিকারের আশায়। বিভিন্ন পোকা যখন উড়তে উড়তে জালে আটকে যায় তখন সেগুলোকে শিকার করে খায়।

আপনার মন্তাব্য লিখুন
অনলাইনে কিশোরকন্ঠ অর্ডার করুন
লেখকের আরও লেখা

সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ

আরও পড়ুন...

CART 0

আপনার প্রোডাক্ট সমূহ