প্রাণিজগতের ভাষা

প্রাণিজগতের ভাষা

কুরআনের আলো ফেব্রুয়ারি ২০১৯

হালকা রোদের পরশমাখা নরম বিকেল। বাবার আঙুল ধরে প্রতিদিনের মতো আজও বের হলো সাবিত। প্রতিদিন তারা এভাবেই ঘুরে বেড়ায়। কখনো নেমে যায় দিগন্তছোঁয়া মাঠে। কখনো বসে পড়ে সবুজ ঘাসের গালিচায়। দু’চোখ ভরে দেখে প্রকৃতির রূপ। বাবা সাবিতকে শোনান সৃষ্টির রহস্য। শোনান নতুন আগামীর গল্প।
চোখে মেখে দেন সবুজ সবুজ স্বপ্ন। হাঁটতে হাঁটতে আজ তারা চলে গেছে নদীর পাড়ে। ছোট নদী। এপার থেকে ওপার দেখা যায়। নদীর ওপারে ঘন বাঁশবন। বিকেল হলেই সেখানে বসে পাখির মেলা। নানা রকম পাখি। হাজার হাজার। কিচিরমিচির সুরে মুখরিত হয়ে ওঠে চারদিক। এমন
পরিবেশে এসে সাবিত ভীষণ খুশি! বাবা বললেন- জানো, একজন নবী ছিলেন, যিনি পাখির ভাষাও বুঝতেন। তিনি হলেন, হজরত সোলায়মান (আ)। চমকে উঠল সাবিত।
- কী বলো বাবা!
- হ্যাঁ, সত্যিই বলছি। এ কথা কুরআনেই আছে। হজরত সোলায়মান (আ) বলেছিলেন- “হে মানুষ! আমাকে পাখিদের ভাষাও শেখানো হয়েছে। প্রতিটি জিনিসই আমাকে দেয়া হয়েছে। এ হচ্ছে সুস্পষ্ট অনুগ্রহ।” (সূরা আন্-নামল : ১৬) বাবা বললেন, শুধু পাখি নয়, সকল প্রাণীর ভাষাই তিনি বুঝতেন। জিন। পশু। মাছ। এমনকি পিপীলিকার ভাষাও। একবার তিনি তার দলবলসহ বের হয়েছিলেন। এ দলে মানুষ ছিল। জিনরা ছিল। পাখিরা ছিল। চলতে চলতে তারা একটি উপত্যকায় এসে পৌঁছল। যেখানে বসবাস করত পিপীলিকারা। তাদের দেখে একটি পিপীলিকা বলল- হে পিপীলিকারা! তোমরা তোমাদের ঘরে চলে যাও। তা না হলে সোলায়মান ও তার বাহিনী তোমাদের পায়ে পিষে ফেলবে। অথচ তারা তা বুঝতেও পারবে না।
সোলায়মান (আ) এ কথা শুনে হেসে উঠলেন। এরপর তিনি আল্লাহর কাছে দুআ করলেন, যাতে তিনি নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করতে পারেন। (সূরা আন্-নামল : ১৭-১৯)
এমন সুন্দর গল্প! সাবিত কৌতূহলী হয়ে উঠল। বলল, ইস! আমিও যদি সবার ভাষাবুঝতাম। কী মজাই না হতো তাহলে!

বিলাল হোসাইন নূরী
                        
আপনার মন্তাব্য লিখুন
অনলাইনে কিশোরকন্ঠ অর্ডার করুন
লেখকের আরও লেখা

সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ

আরও পড়ুন...

CART 0

আপনার প্রোডাক্ট সমূহ