ফেসবুকসহ অন্যান্য আইডির নিরাপত্তা

ফেসবুকসহ অন্যান্য আইডির নিরাপত্তা

বিজ্ঞান ডিসেম্বর ২০১২

নাজমুল হাসান

কোন দুষ্টু লোক যদি তোমার ইমেইল থেকে তোমার অগোচরে কাউকে হত্যার হুমকি দেয় তাহলে পরে পুলিশের হাতে ধরা পড়ার সম্ভাবনা আছে। আর এতে কিন্তু দোষী কিন্তু তোমাকেই হতে হবে। দায়টা বর্তাবে তোমারই উপর।  আর যারা ফেসবুক ব্যবহার করো, তারা তো জানোই- তোমার পাসওয়ার্ড কেউ জেনে ফেললে কত ক্ষতি করতে পারে তোমার। তাই সাবধান, তোমার ইমেইল আর ফেসবুক আইডির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে সর্বাগ্রে। যে কোনো রকমের আইডির নিরাপত্তা সংক্রান্ত কিছু টিপস আজ তোমাদের দেব। প্রথমেই ফেসবুক নিয়ে। ফেসবুকে নিরাপত্তা একটু টেকি কথা বলি। আমরা যখন কোনো ওয়েবসাইট ব্যবহার করি তখন সাধারণত ঐঞঞচ প্রোটকলের মাধ্যমে হয়ে থাকে অর্থাৎ সকল তথ্য সাধারণ টেক্সট-এর মতো করে আদান-প্রদান করা হয়। আমরা যদি কোনোভাবে আমাদের তথ্যগুলো এনক্রিপ্ট করে পাঠাতে পারি, তাহলে চাইলেই কেউ আমাদের পাঠানো তথ্যগুলো জেনে নিতে পারবে না। ওয়েবের তথ্যকে এনক্রিপ্টেড করে পাঠাতে ঐঞঞচঝ প্রোটকল ব্যবহার করা হয়। নরমাল ঐঞঞচ প্রোটোকল ব্যবহার করলে বিভিন্ন হ্যাকিং টুল এবং নেটওয়ার্ক মনিটরিং টুলের মাধ্যমে কেউ আমাদের ইউজারনেম পাসওয়ার্ড জেনে নিতে পারে। তাই এদিকে আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। ফেসবুকের ঐঞঞচঝ ব্রাউজিং চালু করতে হলে প্রথমে অ্যাকাউন্টস সেটিংস-এ গিয়ে সিকিউরিটি অপশনে ক্লিক করতে হবে। তারপর “ইৎড়ংিব ঋধপবনড়ড়শ ড়হ ধ ংবপঁৎব পড়হহবপঃরড়হ (যঃঃঢ়ং) যিবহ ঢ়ড়ংংরনষব”-এ ক্লিক করে সেভ করে ফেলতে হবে। এখন থেকে তোমার ফেসবুকের সকল ডাটা এনক্রিপ্টেড অবস্থায় চলাচল করবে। মোবাইল সিকিউরিটি কোডও ব্যবহার করতে পারো। মানে হলো, তুমি যখনই নতুন কোনো কম্পিউটার থেকে ফেসবুকে ঢুকতে চেষ্টা করবে, তখনই ফেসবুকের পক্ষ থেকে তোমার মোবাইলে একটি সিকিউরিটি কোড মেসেজ করে পাঠাবে। সেই কোডটা ইনপুট দিলে তবেই তোমার ফেসবুকে ঢুকতে পারবে। এতে সুবিধা হলো, তুমি ছাড়া আর কেউ যদি চেষ্টা করে তোমার ফেসবুক আইডি ব্যবহার করার, তবে তুমি মোবাইলে মেসেজ পাওয়ার মাধ্যমে ঠিক টের পেয়ে যাবে। এটা চালু করার জন্য আগের মতই অ্যাকাউন্ট সেটিংসে গিয়ে সিকিউরিটি অপশনে যেতে হবে। তারপর লগইন অ্যাপরুভালস-এ ক্লিক করে সেটাপ-এ ক্লিক করতে হবে। মোবাইল নাম্বার দিলে তোমার মোবাইলে একটা কোড পাঠাবে। ওই কোডটা পুনরায় প্রবেশ করিয়ে নাম্বারটা নিশ্চিত করতে হবে। এরপর থেকে তোমার নিজের কম্পিউটার ছাড়া অন্য কোনো কম্পিউটার থেকে ব্যবহার করতে গেলেই তোমার নাম্বারে একটি মেসেজে সিকিউরিটি কোড পাঠাবে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ, সেই কোড ব্যবহার করে অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে হবে। ইয়াহু, জিমেইল, হটমেইল যেখানেই তোমার অ্যাকাউন্ট থাকুক না কেন, প্রায় একই রকম সিকিউরিটি ব্যবস্থা সেখানেও গ্রহণ করা সম্ভব। সাধারণত সিকিউরিটি সেটিংস-এ এইসব বিষয় থাকে। তাই একটু নজর রেখে যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারো। যে কোনো আইডির জন্য কিছু সাধারণ টিপস মনে রাখতে হবে : কিছুদিন পর পর পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করা উচিত। মোবাইল নাম্বার, জন্মতারিখ, ক্লাস রোল নাম্বার ইত্যাদি পাসওয়ার্ড হিসেবে খুব বেশি ব্যবহৃত হয়। এ ধরনের সাধারণ পাসওয়ার্ড কখনোই ব্যবহার করা উচিত হবে না। শক্তিশালী পাসওয়ার্ডে ছোট-বড় অক্ষর (ধ/অ), অঙ্ক (১,২,৩) এবং বিভিন্ন চিহ্ন (!/#/%) ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। তোমার পাসওয়ার্ডেও এসব মেনে চলার চেষ্টা করতে পারো। কোথাও পাসওয়ার্ড লিখে রাখা ঠিক হবে না, সকল আইডির একই পাসওয়ার্ডও দেয়া ঠিক হবে না। যে কোনো কিছু ডাউনলোড করার আগে এবং যে কোনো লিংকে ক্লিক করার আগে নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে ওটা তোমার প্রয়োজনীয় কি না। এ ধরনের উপায়ে ইউজার আইডি, পাসওয়ার্ড চুরি হতে পারে। ফেসবুক আর ইমেইল আইডিÑ কাজে লাগানোর চেষ্টা করা উচিত। তোমাদের ইমেইল আইডিগুলো সচল আছে কি না কিংবা তুমি সত্যিই ইমেইল করতে পারো কি নাÑ তার প্রমাণ দিতে পারো কিশোরকণ্ঠকে ইমেইল করে। নিরাপদ রেখো তোমাদের আইডিগুলো, আর কিশোরকণ্ঠকে ইমেইল করতে ভুলো না কিন্তু।

আপনার মন্তাব্য লিখুন
অনলাইনে কিশোরকন্ঠ অর্ডার করুন
লেখকের আরও লেখা

সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ

আরও পড়ুন...

CART 0

আপনার প্রোডাক্ট সমূহ