বিজ্ঞান এসেছে মানুষের কল্যাণের জন্য

বিজ্ঞান এসেছে মানুষের কল্যাণের জন্য

কুরআনের আলো এপ্রিল ২০১৩

বিস্মিল্লাহির রাহমানির রাহীম “মহান পরওয়ারদিগারে আলম যাকে ইচ্ছা বিজ্ঞানবিষয়ক জ্ঞান দান করেন এবং যাকে হিকমত বা বিজ্ঞান দান করা হয়েছে তাকে প্রভূত কল্যাণ দান করা হয়েছে। উপদেশ তারাই গ্রহণ করে যারা জ্ঞানবান।” (সূরা বাকারা : ২৬৯)

প্রিয় বন্ধুরা, ইসলাম জ্ঞান-বিজ্ঞান ও মানবতার কল্যাণের জন্য। মূলত স্রষ্টার সৃষ্টির রহস্য উন্মোচনের জন্য সুশৃঙ্খল পরীক্ষিত জ্ঞানই বিজ্ঞান। আল কুরআনে বিজ্ঞান কথাটির সমার্থক বলতে হিকমাহকে বোঝায়। কুরআনে কারীমে গবেষক ও বিজ্ঞানীদের জন্য অসংখ্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ইসলামে জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চার সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এ জন্য জ্ঞান চর্চা করা বা জ্ঞান অন্বেষণ করা সকল মানুষের জন্য অপরিহার্য। পৃথিবীতে যারা মহান বা সফল ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত তারা সবাই জ্ঞানের ক্ষেত্রে ছিলেন শ্রেষ্ঠ। পৃথিবীতে কেউ মায়ের পেট থেকে ভূমিষ্ঠ হয়েই বিজ্ঞানী হয়ে যাননি। বরং তারা জ্ঞান চর্চা বা সাধনা করতে করতেই একদিন এ খ্যাতি অর্জনে সক্ষম হয়েছেন। পৃথিবীতে যত আবিষ্কার রয়েছে যেমন কম্পিউটার, মোবাইল, রকেট, বিদ্যুৎ এ সবই বিজ্ঞানের অবদান। এগুলো বিজ্ঞানীদের দীর্ঘ দিনের সাধনার ফসল। বন্ধুরা, জ্ঞান-বিজ্ঞানে যে জাতি যত বেশি উন্নত তারা তত বেশি অগ্রসর। অগ্রসর মানেই কোনো না কোনো ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে অবস্থান করা। আজকের বিশ্বে শ্রেষ্ঠত্বের এই আসনগুলো দখল করে আছে উন্নত দেশগুলোই। সবচেয়ে সম্মান ও মর্যাদার পুরস্কার নোবেল প্রাইজ যখন ঘোষণা করা হয় তখন এ দেশগুলোই প্রতিবছর নোবেল প্রাইজের জন্য মনোনীত হয়ে থাকে। সুতরাং এ খ্যাতি অর্জনের জন্য আমাদেরও চেষ্টা করা দরকার। এ জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন অধ্যয়ন ও গবেষণার। যার মূল কেন্দ্রবিন্দু হবে আল কুরআন। অতএব এসো, আমরা সাধনা করি জ্ঞান নিয়ে এবং বিজ্ঞান থেকে আবিষ্কার করি মানবতার কল্যাণের জন্য নতুন নতুন বিষয়-আশয়।

আপনার মন্তাব্য লিখুন
অনলাইনে কিশোরকন্ঠ অর্ডার করুন
লেখকের আরও লেখা

সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ

আরও পড়ুন...

CART 0

আপনার প্রোডাক্ট সমূহ