বড়বাড়ির জঙ্গলে

বড়বাড়ির জঙ্গলে

গল্প সেপ্টেম্বর ২০১০

শরীফ আবদুল গোফরান

অশ্বদিয়ার অমূল্য বাবু একজন দুখি মানুষ। নামটা যেমন তার অমূল্য, তেমনি দুঃখেরও শেষ ছিলো না। সে ছিলো ছোটখাটো দুর্বল, ভীতু। এই মানুষটি একসময় গাঁয়ের স্কুলে মাস্টারি করতেন। কিন্তু ছেলেরা তার কথা মোটেও শুনতো না। কাসে ভীষণ গণ্ডগোল করতো। হেডমাস্টার সামুছল হক এক সময় অমূল্য বাবুকে ডেকে বললেন, ‘এভাবে তো চলতে পারে না। আপনি বরং কাল থেকে আর কাস নেবেন না। কেরানি স্যারকে সহযোগিতা করবেন। ওটাই আপনার চাকরি।’
অমূল্য বাবু এতে খুব দুঃখ পেলেন। তিনি চাকরি ছেড়ে দিলেন। এ কথা শুনে স্ত্রীও তাকে এখন বকাঝকা দেয়। তার একমাত্র ছেলে ‘নিবারণ’ গ্রামের ডানপিটে দুষ্টু ছেলে। তার অত্যাচারে গ্রামের লোক জর্জরিত। একে মারছে, তাকে ধরছে, দূর থেকে ঢিল মেরে পালাচ্ছে। মাঝে মাঝে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ওপারেও যায়। তখনই কেবল এলাকার লোক শান্তি পায়, স্বস্তিতে থাকে। কিন্তু তাকে সামলানোর সাধ্য অমূল্য বাবুর নেই। অথচ তার জন্য লোকে এসে অমূল্য বাবুকে অপমান করে যায়। তিনি মাথা নিচু করে অপমান নীরবে হজম করেন। তাকে কেউ পাত্তা দেয় না। একা একা থাকেন তিনি। একা একা থাকতে থাকতে নিজের মনেই নানা কথা বলেন। কখনও আপন মনে হাসেন, কখনও মন খারাপ করে বেজার মনে বসে থাকেন। মাঝে মাঝে হতাশ হয়ে বলেন, ভগবান আর কতো অপমান সইবো, আমি তো আর পারছি না। রমজান মাস প্রায় শেষের দিকে। চারদিকে ঈদের আমেজ। মুসলিম পরিবারের সকল ছেলেমেয়ে নতুন জামা কাপড় কেনাকাটা নিয়ে মহাব্যস্ত। বাজার থেকে আনা নতুন জামা কাপড় বুকে জড়িয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। আনন্দের যেন আর শেষ নেই। মাত্র দু-একদিন পরইতো ঈদ। সবাই ঈদে নতুন জামাকাপড় পরবে। সেমাই খাবে, কোরমা খাবে,  পোলাউ খাবে। বন্ধুদের সাথে কোলাকুলি করবে। এ- বাড়ি ও-বাড়ি বেড়াবে। কতো যে মজা করবে।
আজ সাতাশ রমজান রাত। মন্দার বাড়ির সাবুর মা সেহরির আয়োজন করতে উঠেছে। তার ছোট ছেলে সাবু। বাবার সাথে বাজার থেকে ফিরেছে নতুন জামা কাপড় নিয়ে। তারও যেন আনন্দের শেষ নেই। মার মুখে ঈদের গল্প শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়েছে সে। মা তালপাতার পাখা দিয়ে কিছুক্ষণ বাতাস করে উঠে এলেন রান্না ঘরে। চুলায় চড়িয়ে দিলেন ভাত। পাতিলে গত গত করছে ভাত। রান্না শেষ হলে সাবুকেও সেহরি খাওয়ার জন্য ঘুম থেকে জাগাবেন। বাবা বাজার থেকে আজ বোয়াল মাছ এনেছেন। মা- বোয়াল মাছ দিয়ে বেগুন তরকারি রান্না করছেন। সাবু ঘুমানোর আগে মাকে বলেছে, মা আমিও সেহরি খাবো। কাল রোজা রাখবো। মা বললেন, না বাবা তুমি ছোট মানুষ, রোজা রাখতে নেই। শরীর খারাপ করবে। সাবু বলে, না মা মক্তবের হুজুর বলেছেন রোজা না রাখলে আল্লাহ গুনাহ দেবেন। মা বলেছেন, ঠিক আছে বাবা, সেহরির সময় তোমাকে জাগাবো, হঠাৎ সাবুর বাবা ঘর থেকে বাঘ বাঘ বলে চিৎকার করে উঠলো। মা রান্না ঘর থেকে দৌড়ে গেলেন।
গ্রামের লোকজনও লাঠিসোঠা নিয়ে দৌড়ে এলো সাবুদের বাড়িতে। সাবুর মা ঘরে গিয়ে দেখে সাবু বিছানায় নেই। বাবা মাথায় হাত দিয়ে বিলাপ করছে। মাও বিলাপ করছে। আর বলছে, একটা বাঘ এসে আমার সাবুকে ধরে নিয়ে গেছে। কিন্তু কেউ তা বিশ্বাস করতে পারছে না। বাঘ কোথায় থেকে আসবে। আবার কেউ কেউ বলছে, বাঘ আসতেও পারে। কারণ বড়বাড়ির পেছনের জঙ্গলে বাঘ থাকতে পারে। বড়দের মুখে শুনেছিÑ এক সময় নাকি এই জঙ্গলে বড় বড় হিংস্র বাঘ থাকতো। বুড়ো মানুষদেরকে পর্যন্ত ধরে নিয়ে হজম করে ফেলতো। গাঁয়ের লোকেরা এক সময় গোটা জঙ্গল ঘেরাও করে অনেক বাঘ মেরে ফেলেছে। হয়তো এখনো দু-একটা বুড়ো বাঘ বেঁচে গেছে, এটা তারই কাণ্ড হতে পারে।
গোটা গ্রামের মানুষ ভীত-সম্ভ্রস্ত। ভয়ে কাঁপছে।
আবার কার ঘরে বাঘ পড়ে! কার সর্বনাশ হয়। গ্রামের মোমিন মেম্বার চিন্তায় পড়ে গেছেন। থানা সদরে খবর দেয়া হয়েছে। ওসি সাহেব আসবেন কথা দিয়েছেন। ব্যস্ত মানুষ। ওসি সাহেব আসার আগে গ্রামের সব লোক এক হয়ে বৈঠক করলেন। বৈঠকে বসেছেন গ্রামের বড় বড় মাতাব্বর। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মোমিন মেম্বার।
সাবুর বাবা হাতেম আলীকে সবাই জিজ্ঞেস করলেন, বাঘটা তুমি কেমন দেখেছ?
Ñ না, আমি দেখিন। তবে বাঘের মতো দৌড়ে যেতে দেখেছি।
মোমিন মেম্বার খিঁচিয়ে উঠলেন, তা হলে বাঘ-বাঘ করে চিল্লাচ্ছিস কেন?
সাবুর বাবা হাতেম আলী বললেন, আপনার বাড়িতে বাঘ পড়লে আপনিও চিল্লাতেন। কিন্তু কেউ তার কথা বিশ্বাস করতে পারলো না। এদিকে গ্রামের এক যুবক উল্লসিত হয়ে বললো, ‘হাতেম আলী বাঘ দেখেনি বলে গ্রামে বাঘ পড়েনি! কী বলছ তোমরা? অ্যাঁ! তা হলে হাতেম আলীর পোলাডার কী হলো! কে নিলো তার পোলাডারে!
মোমিন মেম্বর বললেন, ‘আসলে তা না। আমাদের একটু ভাবতে হবে। ব্যাপারটা আসলে কী।’
যুবকটি বললো ‘অত ভাবাভাবির কী আছে! বাঘটাকে মেরে ফেললেই হয়। ল্যাটা চুকে যাবে।’
মোমিন মেম্বার গম্ভীর স্বরে বললেন, আরে বাবা তুমি বললেই কি হলো!’ বন্যপ্রাণী মারা আইন অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ। এ জন্য তোমাদের তো কিছু হবে না। আমাকে তো এর জবাব দিতে হবে। যুবকটি উত্তেজিত হয়ে বললো, ‘মানে খুনি, চোর ডাকাত, হিংস্র জীব জন্তুÑ সবার সাথেই আমাদের একসঙ্গে থাকতে হবে? গ্রামের এ নীতি এভাবে পালটে দিতে চান আপনি?
মোমিন মেম্বার বললেন, আরে বাবা এতো উত্তেজিত হয়ো না। আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছি। ওসি সাহেবকে খবর দেয়া হয়েছে, যে কোন সময় তিনি এসে পড়বেন। যুবকটি অধৈর্য বিরক্ত! তার সাথে একমত হলো আরো কিছু যুবক। তারা বললো, ওসি সাহেব আসতে আসতে যদি আরো কোন ঘটনা ঘটে যায় তাহলে তখন কী করবেন?
মোমিন মেম্বার বললেন, ঠিক আছে তোমাদের যার ঘরে যা আছে, লাঠি, বল্লম, সড়কি টর্চ, কাছি তা দিয়ে রাতে পাহারার ব্যবস্থা কর। তোমরা যুবকরাই এ কাজে সহযোগিতা করবে। তবে হ্যাঁ, দ্যাখো বাঘ যেন মারা না পড়ে। আমাদের বদনাম হয়ে যাবে তা হলে।
এক যুবক উত্তেজিত হয়ে বললো, ‘বাঘ ধরতে গিয়ে মানুষ মারা গেলে বোধ হয় তত বদনাম হবে না। তাই না মেম্বার সাব?’
মেম্বর সাব বললেন, আরে বাবা বুঝতে চাও না কেন? বাঘ আন্তর্জাতিক প্রাণী। আমাদের এই অশ্বদিয়ার মানুষতো তা নয়। বাঘ মরলে সারা দেশে খবর হয়ে যাবে। পত্রিকায় ছাপা হবে। মামলা হবে। মকদ্দমা হবে। গ্রামের মুখে চুনকালি পড়বে। ব্যাপারটা একটু বোঝার চেষ্টা কর বাবু। তোমরা যুবক, রক্ত গরম। এসব বুঝতে তোমাদের সময় লাগবে।
রাতে গ্রামের যুবকরা পাহারা দিতে বের হয়েছে। তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে মোমিন মেম্বার। আকাশে আজ চাঁদের আলো নেই। সন্ধ্যা রাতে থেকেই অন্ধকার। বাঘ আসে ভোর রাতে সেহরির সময়। টর্চ বা হারিকেন এই একটাই তাদের ভরসা। দশ বছর আগে গ্রামে বিদ্যুতের খুঁটি পোঁতা হয়েছিল। তা থেকে একমাত্র আইউব আলী বিদ্যুৎ নিয়েছে। তাদের রাইস মিল আছে। কিন্তু গোটা অশ্বদিয়া গ্রামের আর কোথাও আলো নেই। হারিকেনের আলোয় যুবকরা বসে। মোমিন মেম্বার তিনটি দলে যুবকদের ভাগ করে দিলেন। প্রত্যেক দলে লাঠি, সড়কি, কাছি ও একটি করে টর্চ এবং বাঁশি দেয়া হলো। তিনি বললেন, বেশি সাহস দেখাবার দরকার নেই। বাঘের গন্ধ পেলে বাঁশি বাজালেই চলবে। বাঁশির আওয়াজ শুনলেই বাঘ হটে যাবে। খুব সাবধান। সবসময় মনে রাখবে বাঘ আমাদের চেয়ে বেশি বুদ্ধিমান।
যুবকরা অবাক হয়ে গেল। তারা বলল, ‘তা কী করে হয় মেম্বার সাব’?
মোমিন মেম্বার বললেন, ‘হয় হয়, সবই হয়। এই পৃথিবীর কতটুক জানিস, কতটুক দেখেছিস, কতটুক পড়েছিস, অ্যাঁ?
এক যুবক হঠাৎ বলে উঠলো, ‘শুনেছি, গায়ে শক্তি যাদের বেশি থাকে তাদের নাকি বুদ্ধি কম থাকে।’
মেম্বার বললেন, ‘ঘোড়ার ডিম। তোদের দোষ কী জানিস, তোরা সব আধা আধা শুনতে পাস। পুরোটা জানার চেষ্টা কর।
জিম করবেট পড়েছিস?
এক যুবক জিজ্ঞেস করল, সেটা আবার কী?
মেম্বার বললেন ‘অ্যাঁ, তাইতো বলছি। শোন, জিম করবেট হলেন একজন বাঘ বিশেষজ্ঞ। বাঘ যে বুদ্ধিমান এ রায় তারই। তারপর যুবকরা চুপ হয়ে গেলো।
মোমিন মেম্বার বললেন, তোদের অতো ভাবতে হবে না। এবার তোরা বেরিয়ে পড়।
বড়বাড়ির পেছনে জঙ্গল। এই জঙ্গলেই নাকি বাঘের বসবাস। ওদিক থেকেই বাঘের আগমন ঘটতে পারে। অতএব ভারী দলটা ওদিকেই গেলো।
মাঝারি দলটা গেলো উত্তরে ধোপা বাড়ির পেছনে। মোমিন মেম্বার তিনজনকে নিয়ে রইলেন, বড় রাস্তার মাথায়।
গভীর রাত। বসে থাকতে থাকতে মোমিন মেম্বারের ঝিমুনি এসে গেলো। হঠাৎ কচিগলার কান্নার শব্দে ধড়মড় করে উঠে বসলেন তিনি। হাতঘড়িতে দেখলেন ২টা বাজে। তার সাথের তিন যুবক রাস্তার মোড়ের বড় আমগাছটার তলায় শুয়ে নাক ডেকে ঘুম। লাঠি দিয়ে খোঁচা মেরে ওদের তুললেন মোমিন মেম্বার। বললেন, শুনতে পাচ্ছিস কচিগলার কান্নার শব্দ?
ঘুমের ঘোর তখনও ওদের কাটেনি। কিছু বোঝার আগেই ঘোরের মধ্যেই তিনজন বলে উঠলো, হ্যাঁ, হ্যাঁ কান্নার শব্দ শুনতে পাচ্ছি।
মোমিন মেম্বার ওদের ঘুমের বহর দেখে রেগে গেলেন, বললেন, গাধারা বসে আছিস এখনও? বাঁশি বাজা।
ঢুলতে ঢুলতে তিনজন বাঁশি বাজাতে লাগলো। মোমিন মেম্বারও বাঁশি ফুঁ দিলেন। আর অমনিই সদর রাস্তার পশ্চিম পাশে ঈদগা মাঠের বড় বটগাছটার নিচে দেখা গেলো ইয়া বড় এক বাঘ। কিন্তু তার মুখে কোন শিকার নেই। শিকারটা হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে রেখেছে। মোমিন মেম্বর লাফিয়ে উঠলেন। টর্চের আলো ফেলেন বাঘের গায়ে। বাঘ ফিরে তাকাল তারপর হঠাৎই মুখের শিকার ফেলে দিয়ে গড়গড় করে আওয়াজ করে দে ছুট। তারা চারজন বাঘের পিছু পিছু খানিকটা গেলেন। কিন্তু বারবার টর্চের আলো ফেলে দেখেন, বাঘের নিচের অংশ অনেকটা মানুষের মতো। কিন্তু মুখটা বাঘের মুখ। তখন তাদের সন্দেহ হলো তবে বাঘটা দ্রুত ছুটে অন্ধকারে বড়বাড়ির পেছনের জঙ্গলে গা ঢাকা দিল। বাঘের ছোটা এবং শিকার ফেলে ছুট দেয়া দেখে তাদের বুঝতে বাকি নেই এ বাঘ নয়। একজন মানুষরূপী বাঘ।
এরই মধ্যে তাদের চিৎকার শুনে গ্রামের সব মানুষ লাঠি, বল্লম সড়কি নিয়ে বড়বাড়ির জঙ্গল ঘেরাও করলো। মোমিন মেম্বার গ্রামের লোকদের বললেন, সকাল পর্যন্ত জঙ্গলটা ঘেরাও করে রাখুন। দিনের আলোতেই তাকে ধরতে হবে।
একজনকে সাইকেল নিয়ে থানায় পাঠানো হলো। ওসি সাহেবকে খবর পৌঁছাতে হবে। বলতে হবে, মেম্বার সাহেব পাঠিয়েছেন। বাঘ ধরা পড়েছে।
আজ শেষ রোজা। আজকে চাঁদ দেখা গেলে কাল ঈদ। কিন্তু ঈদের কথা যেনো কারো মনে নেই। পুরো গ্রামে বাঘভীতি। ছোটরাও এ থেকে পিছিয়ে নেই। তারাও বাঘ দেখবে। এ যেন কেমন বাঘ। দু’দুটি শিশুকে এই বাঘ হজম করেছে। তার আর রক্ষা নেই।
ভোর হয়েছে। পাখিরা কিচিরমিচির শব্দ। বড়বাড়ির জঙ্গল চারদিকে ঘেরাও করে আছে শত শত লোক। সবাই লাঠি, সড়কি, কোঁচ, টেঁটা, বল্লম তাক করে আছে। ইতোমধ্যে থানার ওসি ফোর্স নিয়ে হাজির। তিনি বললেন, খবরদার কেউ বাঘটাকে মারবে না। আমরা তাকে অক্ষত ধরতে চাই।
ওসি সাহেব ফাঁকা গুলি ছুড়লেন। অমনি একটি মুখোশপরা যুবক দু’হাত ওপরে তুলে জঙ্গল থেকে বের হয়ে এলো। সকল পুলিশ বন্ধুক তাক করে রাখলো তার দিকে। সে আস্তে আস্তে কাছে এলো, অমনি সবাই জড়িয়ে ধরলো তাকে।
থানার ওসি ও মোমিন মেম্বার কাছে এলেন। টান দিয়ে তার মুখোশটা খুলে ফেললেন। একি! এতো বাঘ নয়। এ হলো ধুপি বাড়ির অমূল্য বাবুর ছেলে নিবারণ। ওসি সাহেব দু’ঘা বসাতেই সে সব খুলে বলতে লাগলোÑ তার সাথে একটি ছেলেধরা দল কাজ করে। সে গভীর রাতে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের চুরি করে বড় বাড়ির জঙ্গলে নিয়ে এলে রাতের মধ্যেই তার সহযোগীরা অতি সন্তর্পণে এসব ছেলেমেয়েকে সীমান্তের ওপারে নিয়ে যায়। গ্রামের মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এলো নিবারণকে বেধম মারপিট করে পুলিশের হাতের তুলে দিয়ে মানুষ যে যার ঘরে ফিরে গেলো।
                        
আপনার মন্তাব্য লিখুন
অনলাইনে কিশোরকন্ঠ অর্ডার করুন
লেখকের আরও লেখা

সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ

আরও পড়ুন...

CART 0

আপনার প্রোডাক্ট সমূহ