ভালুক ও কাঠবিড়ালি

ভালুক ও কাঠবিড়ালি

অনুবাদ গল্প অক্টোবর ২০১০

ইজায আহমদ
তরজমা : ড. আবদুল ওয়াহিদ
একটি সুন্দর ছায়াঘেরা সবুজ-শ্যামল জঙ্গল। জঙ্গলে বাস করতো একটি সুন্দর কাঠবিড়ালির বাচ্চা। বাচ্চাটি ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে। ওর আম্মু-আব্বু ওকে শেখালো, ভালোভাবে জীবন-যাপন পরিকল্পনা করার জন্য নিজেই কামাই-রোজগার করার চেষ্টা করতে হবে। তাই, ওর আম্মু-আব্বু ওকে স্কুলে ভর্তি করে দেন। যাতে ও ভালো ভালো কথা-বার্তা শিখতে পারে। ও জীবনে কাজে আসার মতো বিভিন্ন বিষয় শিখতে পারে।
ওর স্কুল ছিলো বাসা থেকে কিছুটা দূরে। সেখানে অভিজ্ঞ এক বুড়ি কাঠবিড়ালি তার ছাত্র বাচ্চাদেরকে খাবারের অনুসন্ধান, গাছে ওঠা-নামা করা, গর্ত খোদা, শত্রু থেকে নিরাপদ থাকা এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কথা-বার্তা ওদেরকে হাতে-কলমে শেখাতেন। 
কাঠবিড়ালির বাচ্চা জানতো ও এখনো ছোট। এজন্য ওর কোনো কিছুর প্রয়োজন হলে ওর আম্মু-আব্বু ব্যবস্থা করে  দেবেন। কিন্তু কাল ও বড় হলে ওর আম্মু-আব্বু বুড়ো হয়ে গেলে তো ওকে নিজের জন্যই নয়, আম্মু-আব্বুর জন্যও সবকিছু ওকেই রোজগার করে আনতে হবে। এজন্য ওকে আন্তরিকতার সাথে স্কুলের সব পাঠ শিখতে হবে। সেজন্য কাঠবিড়ালির বাচ্চা প্রতিদিন স্কুলে যেতো। কখনো সে স্কুল কামাই দিতো না। মনোযোগ দিয়ে পাঠ শিখতো। স্কুল থেকে বাসায় ফিরে এসেও ও স্কুলের লেখাপড়া শিখতো ভালোভাবে।
প্রতি সপ্তায় কাঠবিড়ালির বাচ্চার স্কুল বন্ধ থাকতো একদিন। ছুটির দিন ও আম্মু-আব্বু বা আশপাশের বন্ধুদের সাথে খেলাধুলা করে কাটাতো। ওর ইচ্ছা ছিলো ও আম্মু-আব্বুর সাথে কোনোদিন বাসা থেকে দূরে অনেক সুন্দর স্থানে ভ্রমণে যাবে। ও বেশ ক’বার আম্মু-আব্বুকে ভ্রমণে যাবার কথাও বলেছে। ওর আব্বু অঙ্গীকারও করেছেন।
শীতে এক মনোরম রোদের দিন কাঠবিড়ালির বাচ্চা ওর আম্মু-আব্বুর সাথে বাসা থেকে চলে গেলো একটু দূরে। তারা খাওয়া-দাওয়া সাথে নিয়ে গেল। তারা পৌঁছুলো সুন্দর এক স্থানে। বনের মধ্যেই ছিলো জায়গাটি। পুরো জঙ্গলই ছিলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। হাওর-বাঁওড়ে ছিলো পানিভর্তি। সবুজ শ্যামল ঘাস, থোকায় থোকায় ফুল, বড় বড় গাছ, উঁচু উঁচু পাহাড়-টিলা এবং পাখির কিচির-মিচিরে মুখরিত ছিলো। কিন্তু যেখানে তারা গেছে, সে জায়গা বনের সবচেয়ে সুন্দর স্থান। কাঠবিড়ালির বাচ্চা সেখানে গিয়ে খুবই আনন্দিত। ও আম্মু-আব্বুর সাথে বিভিন্ন ধরনের খেলায় মেতে ওঠে। তারা কিছু সময় সেখানে কাটায়। কিছুটা সময় কেটে গেলো। হঠাৎ দেখলো, বনের অন্ধকার একটা অংশ থেকে কালো ময়লা গায়ে একটি ভালুক ওদের দিকে আসছে।
ওই কালো ময়লাযুক্ত ভালুকের পুরো জঙ্গলে অবস্থান ছিলো খারাপ। বনের ছোট ছোট দুর্বল জন্তুদের  সে বিনা কারণেই ভয় দেখাতো এবং ধমক লাগাতো। ও কাউকেই সুখী দেখতে পারতো না। ও সবাইকে কষ্ট দিয়েই আনন্দ পেতো। বনের ছোট জন্তুরা ওর এমন নিষ্ঠুর আচরণে রেগে ছিলো। মনে মনে ওকে গাল মন্দ করতো। কিন্তু ওরা দুর্বল থাকায় ভালুককে তার খারাপ অভ্যাস ত্যাগ করার কথা বলার সাহসও কারো ছিল না।
বনের সব ছোট প্রাণী ওই ময়লা ভালুকের সামনে পড়তে ঘৃণা করতো। ভয় তো ছিলোই। ও কোথাও এসে ধমকাতে থাকলে ছোট এবং দুর্বল প্রাণীদের সেখান থেকে পালাতে হতো। কেউ পালিয়ে না গেলে ভালুক তাকে মারতেও কুণ্ঠাবোধ করতো না।
ভালুককে সেখানে দেখে কাঠবিড়ালি এবং ওর আম্মু-আব্বুর মুখ মন খারাপ হয়ে গেল। ওরা ভয় পেয়ে যায়। ওরা বুঝে গেলো, ওদের এবার সব কিছু ছেড়ে পালানো উচিত। ওরা খাবারের সবকিছু সেখানেই ফেলে বাচ্চাকে পালানোর ইঙ্গিত করলো। নিজেরাও দৌড়ে পালাতে লাগলো। ময়লা কালো ভালুক কাঠবিড়ালিকে পালাতে দেখে খুব খুশি হলো। ভালুক মনে মনে ভাবলো, ও খুব শক্তিশালী। সব প্রাণীই ওকে ভয় পায়। ও জোরে জোরে হাসতে থাকে। তার অট্টহাসিতে মনে হলো ও বড় কোন দায়িত্ব পালন করে এবার মুক্ত হয়েছে।
কাঠবিড়ালির আম্মু-আব্বু পালিয়েছেন। কিন্তু ও ময়লা কালো ভালুক থেকে একটু দূরে গিয়ে ফিরে দাঁড়ায়। ওর ভ্রমণটি ভণ্ডুল হয়ে যাওয়ায় ও খুব দুঃখ পেলো।  কালো ভালুকের এমন অত্যাচারে ক্ষিপ্ত হলো।  ভাবলো, এভাবে পালালে কী ফল হবে? ওর মাথায় এলো কালো ভালুকের সাথে বোঝাপড়া করা উচিত।  ওর সাথে মারামারি করতে না পারলেও অন্তত এ বিষয়টির তো প্রতিবাদ হওয়া দরকার। সবাই বুঝুক ও নোংরা ভালুকের অত্যাচারী স্বভাবকে মোটেও পছন্দ করে না এবং তাকে ঘৃণা করে।
নোংরা কালো ভালুক দেখলো, কাঠবিড়ালির বাচ্চার আম্মু-আব্বু পালিয়েছে। কিন্তু  ও এখনো সেখানে দাঁড়িয়ে আছে। ও খুব আশ্চর্য হলো। আজ পর্যন্ত কোনো প্রাণী ওকে দেখে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকার সাহস করেনি। এই ছোট্ট প্রাণী এ সাহস করছে কিভাবে? নোংরা ভালুক ভাবলো, ওর এ ছোট প্রাণীকে কঠিন শাস্তি দেয়া উচিত। এতে অন্য প্রাণীদেরও শিক্ষা হবে। এটা তাদের জন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে।
‘পালাও, বোকা কাঠবিড়ালির বাচ্চা’! নোংরা কালো ভালুক রাগে ক্ষোভে মাটিতে পায়ের আঘাত করতে করতে বললো। কিন্তু কাঠবিড়ালির বাচ্চা চুপ করে নিজের জায়গাতেই দাঁড়িয়ে থাকলো। মনে হলো ভালুকের ধমকে ও একটুও ভয় পায়নি।
এটা ভালুকের জন্য কোন অত্যাশ্চর্যের চেয়ে কম ছিলো না। ভয় দেখানো এবং ধমক দেয়ার পরও কাঠবিড়ালির বাচ্চা স্বস্থানে দাঁড়িয়ে আছে! ও রাগে ক্ষোভে অধৈর্য হয়ে কাঠবিড়ালির বাচ্চার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লো। এক আঘাতেই কাঠবিড়ালির বাচ্চাকে দলে-মুচড়ে ওর হাড্ডি-মাংস এক সাথে করে দিতে। কিন্তু কাঠবিড়ালির বাচ্চা লাফিয়ে তার জায়গা থেকে সরে যায়। ওদিকে ভালুক জোরে সাথে ধাক্কা খেলো। ভালুক ধীরে ধীরে উঠে দাঁড়ালো। দেখলো তার এবং কাঠবিড়ালির বাচ্চার মধ্যে ব্যবধান অনেক। এখন কাঠবিড়ালির বাচ্চা তার নাগালের বাইরে। অনেক দূরে চলে গেছে পিচ্চিটা।
নিজের এ চালাকিতে কাঠবিড়ালির বাচ্চা বুঝলো সামনে এগোনো যায়। ও ব্যাটাকে শায়েস্তা করা কোনো ব্যাপার নয়। আর একটু চালাকি খাটালেই বেটাকে কুপোকাত করা যাবে। এটা এমন অস্ত্র যা ও ভালুকের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে পারে। ও ভাবলো, যদি একটি ছোট কাঠবিড়ালির বাচ্চা অত্যাচারী ভালুকের সামনে ফিরে দাঁড়াতে পারে, তা হলে অন্য প্রাণীরাও তো ফিরে দাঁড়াতে পারে। ওরা তো ভালুকের অত্যাচারের কোনো প্রতিবাদ করেনি কখনো। এবার ওদের মনেও সাহস এলো। ওরা এতদিন ফন্দি আঁটছিলো। ওরা ভালুকের আচরণ তীক্ষè দৃষ্টিতে দেখে আসছে এতদিন। ওরা ভাবলো, ভালুক অত্যাচারী ঠিকই, কিন্তু আমাদেরও কিছু না কিছু ভুল আছে। এবার সব ভুল ভাঙার সময় এসেছে। ভালুক ওকে ধরার জন্য আবার লাফ দিল। কিন্তু লাফ দিয়ে আবার সরে গেলো। ভালুকের এ আঘাতও ব্যর্থ হলো। এভাবে ভালুক আঘাত করতে থাকলো বারবার। কাঠবিড়ালির বাচ্চা লাফিয়ে লাফিয়ে আঘাত থেকে বাঁচতে থাকলো। এভাবে অনেক সময় শেষ হয়ে যায়। ভালুক হাঁফাতে থাকে। এবার কাঠবিড়ালির বাচ্চার সাহস আরো বেড়ে গেলো।
‘নোংরা ভালুক, নোংরা ভালুক, কালো ভালুক, কালো ভালুক’! কাঠবিড়ালির বাচ্চা এবার ভালুকের দিকে তাকিয়ে ওকে রাগাতে থাকে এসব কথা বলে। এতে ভালুকের রাগের আগুন আরো বাড়তে থাকে। সে আগের চেয়েও দ্রুতবেগে কাঠবিড়ালির বাচ্চার পিছু নিতে থাকে। কাঠবিড়ালির বাচ্চা দৌড়ে গিয়ে কাছের একটি গাছে উঠলো। এবারও জোরে জোরে বলতে লাগলো : ‘নোংরা ভালুক, নোংরা ভালুক, কালো ভালুক, কালো ভালুক’। ভালুকও কাঠবিড়ালির বাচ্চার পেছনে পেছনে গাছে উঠতে থাকে। কাঠবিড়ালির বাচ্চা দেখলো ভালুকও কাছাকাছি এসে গেছে, ও আরামের সাথে লাফ দিয়ে উঁচু ডালে পৌঁছে যায়। আবার ও বলতে লাগলো : ‘নোংরা ভালুক, নোংরা ভালুক, কালো ভালুক, কালো ভালুক’!
ভালুকের রাগের আর সীমা থাকলো না। কিন্তু সে কাঠবিড়ালির বাচ্চার কিছুই করতে পারছে না। কারণ, কাঠবিড়ালির বাচ্চা তার নাগাল থেকে অনেক দূরে। কাঠবিড়ালির বাচ্চা এভাবেই ভালুককে ক্ষেপানোর জন্য কথা বলতে থাকে। আর ভালুক হাঁফাতে হাঁফাতে গাছের মাথায় উঠে যায়। সেখান থেকে আবার অন্য গাছের লাগানো ডাল বেয়ে অন্য গাছে চলে যায়। এত হালকা ডালে ওঠার সাধ্য ভালুকের ছিলো না।
অন্য গাছের ডালে বসে কাঠবিড়ালির বাচ্চা নোংরা কালো ভালুককে উত্তেজিত করতে থাকে। নোংরা, কালো বলে বলে ভালুকের প্রতি ওর ঘৃণার কথা জানাতে থাকে।
ভালুক ধীরে ধীরে গাছ থেকে নেমে আসে। অন্য গাছের ওপর উঠে কাঠবিড়ালির বাচ্চার কাছে যেতে চেষ্টা করে। কাঠবিড়ালির বাচ্চা বুঝলো, ভালুক ওর কাছাকাছি এসে যাচ্ছে। আর কী! ও দিলো আর এক লাফ। লাফিয়ে উঠে গেলো গাছের মাথার ওপর। গাছের মধ্যে একটি গর্তে চলে গেলো সে। সেখানে  আরামের সাথে শুয়ে থাকলো। ভালুক গর্ত পর্যন্ত পৌঁছে দেখলো, গর্তের মুখ এত ছোট, ও না তার হাত তার মধ্যে প্রবেশ করাতে পারছে, আর না তার থুতনি দিয়ে ওকে ধরতে পারছে। এবার তার অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকলো না। ও ভাবলো, কখনো তো কাঠবিড়ালির বাচ্চাকে গর্ত থেকে বের হতেই হবে। ও গর্ত থেকে বেরুলেই ওর ঘাড় মটকে ধরে ফেলবে। কিন্তু কাঠবিড়ালির বাচ্চা তো গর্তের মধ্যে আরামে ঘুমুতে থাকে। এদিকে ভালুক ডালে বসে বসে ক্লান্ত হতে লাগলো। কিছুক্ষণ পর ভালুকের শক্তি শেষ হয়ে গেল। সে ধীরে ধীরে গাছ থেকে নিচে নামতে থাকলো। কাঠবিড়ালির বাচ্চা দেখলো ভালুক ক্লান্ত হয়ে ফিরে যাচ্ছে। ও গর্ত থেকে বেরিয়ে এলো। একটি ডালে বসে ও আবার ভালুককে রাগাতে থাকলো।
ভালুক এতো বেশি ক্লান্ত হয়ে পড়লো যে, তার পক্ষে আর কাঠবিড়ালির পিছু নেয়া কঠিন। কিন্তু ও কোনোভাবেই পরাজয় মানতে রাজি নয়। ও আবার ফিরে গেলো। ওর পাঞ্জা সেখানে মারলো যেখানে কাঠবিড়ালির বাচ্চা বসে ছিলো। ততক্ষণে কাঠবিড়ালির বাচ্চাও অন্য ডালে চলে গেলো লাফিয়ে। কিন্তু ভালুকের পাঞ্জা গিয়ে পড়লো গাছের একটি মধুর চাকে। আর কি, বোঝ এবার মজা! মৌমাছিরা ভালুকের এ আচরণে ক্ষেপে গেলো। তাদের চাক নষ্ট হয়ে গেছে। ওদের কয়েক মাসের জমানো সম্পদ ওর এক পাঞ্জায় শেষ হয়ে গেছে। মৌমাছির সংখ্যা ছিলো হাজার হাজার। ওরা সবাই মিলে ঝাঁপিয়ে পড়লো ভালুকের সারা শরীরে। ওর পশমের গোড়ায় গোড়ায় প্রবেশ করে হুল দিয়ে শরীরে দংশন করতে থাকে। ততক্ষণে ওরা তার কান, চোখ এবং নাকের মধ্যে চলে গেছে। শত শত, হাজার হাজার বিষাক্ত হুল ওরা ভালুকের শরীরে প্রবেশ করিয়ে দিল।
ব্যথার চোটে ভালুক চিৎকার করতে থাকে। এরই মধ্যে গাছের ডাল থেকে ফসকে পড়লো।  মুহূর্তেই সে ধপাস করে নিচে পড়ে গেলো। গাছের নিচে ছিলো মস্ত বড় একটি পাথর। ভালুকের মাথা গিয়ে পড়লো পাথরের ওপর। তার মাথা গেলো ফেটে। মাথা থেকে ফিনকি দিয়ে রক্ত বেরুতে থাকে। অন্য দিকে মৌমাছিগুলো ওকে দংশন করেই যাচ্ছিলো। ভালুক মাটিতে পড়ে গড়াগড়ি খেতে লাগলো। ওর খুব কষ্ট হচ্ছিলো। সে সময়ই ওর মনে হলো, ও ছোট ছোট প্রাণীদের মারার সময়ও ওদের এমনই কষ্ট হতো। ও মনে মনে শপথ করলো, আর কখনো কোনো প্রাণীকে জ্বালাতন করবে না। ব্যথায় ভালুক বেহুঁশ হয়ে গেল। অনেকক্ষণ পর ওর জ্ঞান ফিরলো। মাথার রক্তগুলো এতক্ষণে জমাট বেঁধে গেছে। মৌমাছিগুলোও তাদের রাগ ঝেড়ে তাকে ছেড়ে চলে গেছে। ভালুক আস্তে আস্তে হেঁটে তার গুহার দিকে চলে গেলো।
কিছুদিনের মধ্যে ভালুকটি সুস্থ হয়ে উঠলো। সুস্থ হওয়ার পর সে আর কখনো ছোট দুর্বল প্রাণীদের জ্বালাতন করেনি। এবার তাকে বনের সবাই ভালো ভালুক বলতে থাকলো। সব প্রাণীই ওকে ভালোবাসতে থাকলো। ওকে সম্মানও করে। ভালুক ওদের সাথে খেলাধুলা করতে থাকে। ওদেরকে সাহায্য করে আনন্দিত হতে থাকে। কাঠবিড়ালি এবং ভালুকের যুদ্ধের কথা পুরো বনে ছড়িয়ে পড়ে। সব বাচ্চাই কাঠবিড়ালির বাচ্চার বুদ্ধির প্রশংসা করতে থাকে।
                        
আপনার মন্তাব্য লিখুন
অনলাইনে কিশোরকন্ঠ অর্ডার করুন
লেখকের আরও লেখা

সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ

আরও পড়ুন...

CART 0

আপনার প্রোডাক্ট সমূহ