ভিন গ্রহের সোনালি বাক্স   - পারভেজ হোসেন মোল্লা

ভিন গ্রহের সোনালি বাক্স - পারভেজ হোসেন মোল্লা

উপন্যাস নভেম্বর ২০১৫

মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির একটি গ্রহ পৃথিবী। এই পৃথিবী যে সৌরজগতে অবস্থিত তার রাজা সূর্য পশ্চিম আকাশে দিগন্তের শেষ সীমানায় রক্তিম আভা ধারণ করছে। পৃথিবী তার কক্ষপথে অবিরাম ঘুরে সামনে এগোচ্ছে। পৃথিবীর এ প্রান্তে এখন শেষ বিকেলের সূর্য অস্তমিত হতে শুরু করেছে। তাই চারদিকে পাখিদের কলকাকলি; এক এক করে নীড়ে ফিরতে শুরু করেছে পাখির দল। সজীব হাঁটছে আর হাঁটছে। আজ তাদের স্কুলের সাথে অন্য একটি স্কুলের খেলা ছিলো। খেলা শেষ করে আসতে হয়েছে বলেই সজীবের এতো দেরি হয়ে গেছে। অন্ধকারাচ্ছন্ন আভা ক্রমেই বেড়ে উঠতে শুরু করেছে। ঘড়িতে সময় দেখে নিলো সজীব, আর মাত্র ৭ মিনিট আছে মাগরিবের নামাজের। তার বাড়ি এখনও ১ কিলোমিটার দূরে। তার কাছে কোনো লাইট নেই। তবে হ্যাঁ, আজকে পূর্ণিমা রাত্রি। তাই সজীবের তেমন কোনো চিন্তা নেই। সে মাগরিবের নামাজের সময় হতে দেখেই চারপাশে চোখ বুলালো। একটু দূরে সে একটা পুকুর দেখতে পেলো। সেখানে গিয়ে সে ওজু করে তার ব্যাগে থাকা পরিষ্কার গামছাটি বের করে নামাজে দাঁড়িয়ে গেলো। নামাজ শেষে আবার পথ চলতে শুরু করলো সে। তাদের বাড়িতে যেতে হলে ছোট একটা জঙ্গলের ভেতর দিয়ে যেতে হয়। সেই সূত্রে সেও জঙ্গলের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া ছোট একটি মেঠোপথ ধরে হাঁটতে লাগলো। ঠিক ৭টা ৭ মিনিটে চন্দ্রের হালকা আলোকচ্ছটায় সে তার থেকে অদূরে একটি ছোট সোনালি বাক্স পড়ে থাকতে দেখলো। সে ছোটকালে তার দাদীর কাছ থেকে শুনেছে মাঝে মাঝে নাকি ভিন গ্রহের প্রাণীরা এমন বাক্স পৃথিবীর কোথাও কোথাও রেখে দেয়। কিন্তু কেন রাখে তা তার দাদী তাকে বলেননি। এ কারণে ছোটবেলা থেকেই তার এ রকম বাক্স দেখার প্রবল আগ্রহ ছিলো। তাই সে কিছু না ভেবেই ঝট করে বাক্সটার কাছে চলে গেলো। বাক্সটার কাছে গিয়ে সে দেখতে পেলো অভূতপূর্ব বিস্ময়। বাক্স থেকে হাজারও রকমের আলোকরশ্মির বিচ্ছুরণ ঘটছে। সে আরও আশ্চর্য হয়ে দেখলো বাক্সে কোনো তালা নেই। তাই সে ভাবলো বাক্সটি খোলা যাবে, এতে অপরাধের কিছু নেই। বাক্সটি খুলে সজীব একটি ইংরেজি লেখা কার্ড দেখতে পেলো এবং কতকগুলো ক্ষুদ্র কন্ট্রোল কার্ডটিতে লেখা ছিলো, ‘ঐবষষড় ঝধলরন, বি ধিহঃ ঃড় ঃধশব ুড়ঁ রহ ড়ঁৎ ঢ়ষধহবঃ, ঙঁৎ’ং ঢ়ষধহবঃ হধসব রং ঈযবহঃধ ঃবধসঢ়ধুধৎ. ওভ ুড়ঁ রিষষ ধমৎবব, বি রিষষ ঃধশব ুড়ঁ ধভঃবৎ ধ সড়সবহঃ.’ ‘যার বাংলা অর্থ, হলো সজীব, আমরা তোমাকে আমাদের গ্রহে নিতে চাই। আমাদের গ্রহের নাম চেন্টাব্যাম্পায়ার। যদি তুমি রাজি হও তাহলে কিছুক্ষণ পরই আমরা তোমাকে নিয়ে নেবো। সজীব তো মহাখুশি। যদি সত্যি হয় তাহলে কিছুক্ষণের মধ্যে সে অ্যাস্ট্রোনাট (মহাকাশযাত্রী) হতে যাচ্ছে। বাক্সের কোনায় কন্ট্রোলের সাথে একটি মাইক্রোফোন দেখতে পেলো। সে সেটা হাতে নিয়ে সুইচ অন করে বললো, ‘হ্যাঁ, আমি যেতে ইচ্ছুক’ ওপাশ থেকে আওয়াজ এলো তাহলে বামপাশের কোনার ওপেন কন্ট্রোলটি ডান দিকে ঘুরাও এবং তার পর ডানপাশের তিন নম্বর কন্ট্রোলটি ধরে পেছনে টান দাও। এরপর স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে। সজীব তা-ই করলো। সে অবাক চোখে দেখলো বাক্স থেকে খুব দ্রুত আলোকরশ্মি বের হতে লাগলো। সব আলোকরশ্মি বিদ্যুৎ চমকানোর মতো ঝিলিক দিয়ে একত্র হতে শুরু করেছে। কিছুক্ষণ পর সে নিজেকে আবিষ্কার করলো একটি ছোট রুমে যার মেঝেতে, দেয়ালে হাজার রকমের সাজ। সে ছোট্ট একটি স্বচ্ছ কাচের জানালা খুঁজে পেলো। সে জানালা দিয়ে তাকাতেই দেখলো রুমটি ধীর ধীরে শূন্যে ভাসতে শুরু করেছে। দূরবর্তী হচ্ছে ভূ-পৃষ্ঠ। কয়েক লাখ ফুট এটা শুধু উপরেই উঠলো। চন্দ্র আর পৃথিবীকে এখন আর বোঝা যাচ্ছে না। রুমটি সোজা উত্তরে চলতে লাগলো ইতোমধ্যেই তার সাথে দেখা হয়ে গেলো হাজারও গ্রহ-নক্ষত্রের। তার দৃষ্টিসীমা যতটুকু গেলো সে ততটুকু শুধু এ অপরূপ সৃষ্টিকর্মগুলোই দেখতে পেলো। হঠাৎ তার চোখ চলে যায় একটা গ্রহের ওপর। সে অস্পষ্টভাবে লক্ষ্য করলো সেখানে কী জানি ঘটছে। তার কাছে মনে হলো সেখানে যেন বিস্ফোরণ হচ্ছে। সে মাইক্রোফোনটি হাতে নিয়ে আঙুল দিয়ে নির্দেশ করে বললো, ‘দূরের এ গ্রহটিতে যেতে চাই। এ গ্রহটিতে হয়তো কোনো বিপর্যয় শুরু হয়েছে, তাই সেখানে গিয়ে গ্রহটি বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষ করা আমার নৈতিক দায়িত্ব। ওপাশ থেকে উত্তর এলো, ‘স্যার সেখানে ল্যান্ড করা যাবে না। খুবই ভয়াবহ অবস্থা সজীব তারপরও নির্দেশ দিলো গ্রহটির কাছে কক্ষটি নিয়ে যাওয়ার জন্য। কক্ষটি তার পরে কয়েক মিনিটের মাঝেই পৌঁছে গেলো ঐ গ্রহটির কাছে। গ্রহটিতে একটু পরপরই অগ্নিস্ফুলিঙ্গ হচ্ছে। ভূ-পৃষ্ঠে দুই রকমের প্রাণী দেখা গেলো। এরা একে অপরকে লক্ষ্য করে অনেক শক্তিশালী বোমা মারছে। ছুড়ছে অগ্নি উদগিরণকারী রাইফেলের বুলেট। এক পক্ষের মুখ এবং শরীর দেখতে লোহার তৈরি মনে হয়; এবং অবয়ব মানুষের মতো আর অপর পক্ষের লোকদের চেহারা দানবীয় আকৃতির। সজীব বুঝতে পারলো এখানে একদল উক্ত গ্রহটির; এবং অন্যদল অপর গ্রহের। সে দ্রুতগতিতে তার সাথে বাক্সটি খুলে একটি কন্ট্রোল ডানে টান দিলো। আর সে সাথে সাথে সে রুমের ভেতর আরেকটি রুম দেখতে পেলো। রুমটিতে প্রবেশের জন্য একটি ছোট দরজাও আছে। দরজায় লেখা ভয়েস ইন্টারকম রুম। সে ভেতরে প্রবেশ করে কম্পিউটার অন করে নিচের গ্রহটি সম্পর্কে তথ্য নিলো, গ্রহের নাম আ¤্রায়ালস। মানুষের অবয়বের প্রাণীরা উক্ত গ্রহের। সে খুব দ্রুত মাইক্রোফোনটি হাতে নিয়ে সামনের দিকে ঝুঁকে কয়েকটি কন্ট্রোল ঘুরিয়ে রুমটিকে আরেকটু নিচে নামালো। তারপর কম্পিউটারে কয়েকটা কি চাপলো তারপর তার মাইক্রোফোন থেকে একটা চিকন আলোকরশ্মির মতো তরঙ্গ গ্রহের সাউন্ড সাপ্লাই সোর্সের বোর্ডের ওপর গিয়ে পড়লো। পুরো গ্রহের ভেতর ছড়িয়ে পড়ে আলোকরশ্মি। সে অ্যানাউন্স দিলো আপনারা আপনাদের গ্রহ বাঁচাতে চাইলে এবং যারা অন্য গ্রহ থেকে এসেছেন তারা বাঁচতে চাইলে হাত ওপরে তুলুন। তার অ্যানাউন্সমেন্ট মাইক্রোফোনের আলোকতরঙ্গ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে সব আলোকরশ্মির ভেতর সঞ্চালিত হলো এবং সাউন্ড সাপ্লাই বোর্ড তৈরির আওয়াজ প্রতিধ্বনিত হয়ে চার দিকের আলোকরশ্মিগুলোতে ছড়িয়ে দিলো। কিন্তু কেউই নামলো না। সজীব বুঝতে পারে এভাবে সংঘর্ষ মানা যাবে না। সে কন্ট্রোল চেপে সুপার গ্যালাক্সিটিকে ক্যালোসিকাল নামক রাসায়নিক যৌগের একটি ট্রাঙ্কের মুখ খুললো। তখন বিপ করে কম্পিউটারে স্ক্রিনে লেখা উঠলো ঢ়ষবধংব পষড়ংব ঃযব ঃৎধহশ. সজীব ট্রাঙ্কের মুখ বন্ধ করে দিলো এবং কম্পিউটারকে নির্দেশ করলো রাসায়নিক যৌগটি যেন সীমিত পরিমাণে সবার ওপরে ছাড়ে। যেই কমান্ড সেই কাজ। ট্র্রাঙ্কটির নিচের মেঝে সামান্য ফাঁকা হয়ে ট্রাঙ্ক থেকে কতকগুলো পাইপ বের হলে যৌগটি সবার ওপর সামান্য ফেললো। ফলে সবাইকে প্রায় ১০ মিনিট স্থির রাখে কিন্তু সবকিছু দেখবে ও শুনবে। তারপর সে তার রুমটিকে অ্যাম্ব্রায়ালস গ্রহে ল্যান্ড করালো। তারপর সে বললো, আপনারা চলার শক্তি ফিরে পেলে দাঁড়িয়ে থাকবেন, না হয় বিষাক্ত পদার্থ ছুড়ে সবাইকে মেরে ফেলবো। যখন তারা চলার শক্তি পেলো তখন কেউই নিজের জায়গা থেকে নড়লো না। সে অ্যাম্ব্রায়ালস গ্রহের একজনকে কথা বলার সুযোগ দিলে সে বলে ‘ওরা সিক্সপ্লানটন গ্রহের প্রাণী। তারা এখানে এসে দাবি করছে আমরা নাকি মানুষ। আমরা নাকি পৃথিবী নামক গ্রহে থাকি। তারা আরও বলছে তারা ট্রান্সমিশন লেসার ক্রিস্টাল আনস্টেবল পাওয়ার ব্যবহার করে আমাদেরকে নাকি পৃথিবী থেকে এনেছে। এখন বলছে তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করার জন্য এবং এরই মধ্যে আমাদের অনেক স্বজাতিকে তারা বন্দী করেছে।’
সজীব এদিকে খুবই ক্রোধান্বিত হয়ে উঠল এবং মনে মনে ভাবলো, কত্ত বড় সাহস সিক্সপ্লানটন গ্রহের প্রাণীদের! তারা মানুষকে এখানে এনে বন্দী করে। তাই সে সিক্সপ্লানটন গ্রহের নেতাকে প্রশ্ন করলো, ‘আপনারা আমাদের মানুষদেরকে ধরে এনেছেন কেন?’ সিক্সপ্লানটনের নেতা গিনিয়াপোলার্ডন বললেন, ‘মানুষের রক্ত খেয়েই আমাদেরকে বাঁচতে হয়। তাই আমরা তোমাদের গ্রহ থেকে যুগ যুগ ধরে মানুষ নিয়ে আসছি।’ সজীব তাদেরকে বললো, ‘আমি আপনাদেরকে এমন একটা জিনিস দেবো যার ফলে আপনাদেরকে আর মানুষের রক্ত খেতে হবে না। আর এরা (আম্ব্রায়ালস গ্রহের প্রাণীরা) মানুষ নয়। চলেন, আমরা আপনাদের গ্রহে যাবো। তারপর সজীব এবং আম্ব্রায়ালস গ্রহের কয়েকজন সিক্সপ্লান্টনে গেলেন। আম্ব্রায়ালসিরা ছাড়া পেয়ে ভোলো। এ গ্রহে পৃথিবীর হাজারও মানুষ; সবাই বন্দী। সে সবাইকে মুক্ত করে আরেকটি নতুন কক্ষ তৈরি করে কক্ষটিতে যেতে বলে। তারপর সে সোনালি বাক্সের কন্ট্রোল চেপে ভয়েস ইন্টারকম রুমে ঢুকলো এবং একটি রোবট দেখতে পেলো। সে রোবটকে বললো, ‘তোমরা ডিভাইস পাওয়ার দিয়ে সিক্সপ্লানটন গ্রহের সমুদয় মিশিয়ে দাও। এতে রক্তের উপাদান আছে। আর স্যাবোটাজক্সও মিশিয়ে দাও। ফলে মহাবিশ্ব ধ্বংসের আগে সমুদ্রের পানি শেষ হবে না। অর্থাৎ কৃত্রিম রক্তগুলো শেষ হবে না। রোবটটি তার ডিভাইস দিয়ে ট্রান্সমিশন করলো সবকিছু এবং বাধ্যগতের মতো কাজ শেষ করলো। তারা আসল যাত্রা চেন্টাব্যাম্পায়ার। তাই সে মুক্ত করা মানুষসহ তার রুমটি শূন্যে ভাসতে শুরু করলো। অবিশ্বাস্য রকমের দ্রুতগতিতে রুমটি চলতে লাগলো। সে মানুষগুলোকে মুক্ত করেছে তার মাঝে মালয়েশিয়ার হারানো বিমানের মানুষগুলোও আছে।
চেন্টাব্যাম্পায়ার গ্রহের স্পেস স্টেশনে তীক্ষè আলো। সজীব ঐ গ্রহে যাওয়ার জন্য শরীরের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো পরতে লাগলো একটি লেসার ক্রিস্টাল আনস্টেবল ট্রান্সফারমেশিন দিয়ে অপর কক্ষে থাকা মানুষদের জন্য ও ঐ গ্রহে নামতে যা যা লাগবে তা তা দিয়ে দিলো। সজীব এখন বুঝতে পারলো সে যে রুমটিতে আছে এটা আসলে একটা বৃহদাকার স্পেসশিপ। সে স্পেসশিপটি নামিয়ে আনলো স্পেস স্টেশনে। স্পেস স্টেশন কর্তৃপক্ষ থেকে অনুরোধ করা হলো সকলকে ধীরে ধীরে স্পেসশিপ থেকে নামার জন্য। তারপর তাদের সবাইকে সেখান থেকে বিমানে করে রাজপ্রাসাদের সামনে নিয়ে যাওয়া হলো। রাজপ্রাসাদে প্রবেশের পর যার সাথে দেখা হয় সবাই তাদেরকে সালাম দেয়। সজীব ভেবেছে হয়তো তাদের কাছেও ইসলাম ধর্মের আলো আছে।
রাতে সবাই টেবিলে বসে খায়। খাওয়ার সময় সে যে কত রকমের প্রযুক্তি দেখে তা বলে শেষ করা যাবে না। খাওয়ার পর সবাই একটু বিশ্রাম নেয়। তারপর রাজা তাদের ডেকে বলেন, আমরা প্রতি ১০০ বছরে ১ জন করে সৎ মেধাবী ছেলে এখানে আনি। এখানে কাউকে আনার মূল উদ্দেশ্য হলো কিছু আশ্চর্যজনক জিনিস দেখানো। চলো এখন তোমাদের সবাইকে দেখবো।
এই বলে রাজা মহাশয় তার হাতে এটাকে সামনে মেলে ধরে অপর হাত দিয়ে এ হাতের ওপর স্পর্শ করলেন। কিছুক্ষণ তাদের সামনে একটি বন্ধ দরজার অভ্যুদয় ঘটে। রাজা তার হাত দিয়ে তালাটিকে ধরা মাত্রই তালা উধাও হয়ে যায় এবং দরজা খুলে যায়। তারপর তারা সবাই সে দরজা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে। সজীব এতকিছু দেখে হতবাক। কাবা শরীফের একটি প্রতিকৃতিও সে সেখানে দেখতে পেলো। তাতে কালেমা খোদাই করা আছে। এবং তা সবার ওপরে শূন্যে ভেসে আছে। সজীবের অলক্ষেই তার চোখ চলে যায় একটি লিখিত মডেলের ওপর। মডেলটা হচ্ছে কিভাবে একটা গ্রহকে সকল প্রকার অন্যায় অত্যাচার দুর্নীতি, হত্যা, গুম থেকে বিরত রেখে সুন্দর করে তৈরি করা যায়। কিভাবে গ্রহে শান্তি সৃষ্টি করা যায়। হঠাৎ তার খেয়াল হয় সে সকল কিছু ইতঃপূর্বে কুরআনুল কারিমের মাঝে পড়ছে। সজীব বুঝে ফেললো আসলে কী জন্য তাকে এখানে আনা হয়েছে। চেন্টাব্যাম্পায়ার গ্রহের প্রাণীরা চেয়েছে তাকে (সজীব) প্রত্যক্ষভাবে দেখিয়ে দিতে আসলে মডেলটার উপযোগিতা কতটুকু। সে মনে মনে প্রতিজ্ঞা করে পৃথিবীতে ফিরে গিয়ে সেও মানুষকে এটা বুঝাতে চেষ্টা করবে। বিশ্বে আবার শান্তি ফিরিয়ে আনবে যেমন শান্তি ছিলো খোলাফায়ে রাশেদীনদের যুগে। তারপর সে ও তার সঙ্গীরা রাজার কাছ থেকে বিদায় নেয়। সবাইকে একটা করে স্পেশশিপ দেওয়া হয় এবং স্পেসশিপগুলোতে সেট করে দেওয়া হয় তাকে কোথায় নামাতে হবে। সজীব ফেরার পথে মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে থাকে মহাবিশ্বের দিকে। এক সময় সেন্সর বেজে ওঠে। সজীব বাস্তবতায় ফিরে আসে। স্পেসশিপটা তাদের উঠানে ল্যান্ড করে। সে স্পেশশিপ থেকে নেমে যায়। কিছুক্ষণ পরই স্পেসশিপটা ওপরে উঠে অদৃশ্য হয়ে যায়। তার চারপাশে তাকে ঘিরে ধরেছে কয়েক শত মানুষ। সবাই তাকে জিজ্ঞেস করতে লাগলো কী ঘটেছে। সে এক এক করে সবকিছু খুলে বলতে লাগলো। তাদের গ্রামে তখন রাত্র অনেক গভীর হয়েছে। ধীরে ধীরে রাত্রিকাল আরও গভীরে ঢুকছে।
                        
আপনার মন্তাব্য লিখুন
অনলাইনে কিশোরকন্ঠ অর্ডার করুন
লেখকের আরও লেখা

সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ

আরও পড়ুন...

CART 0

আপনার প্রোডাক্ট সমূহ