মর্যাদা

মর্যাদা

হাদীসের আলো অক্টোবর ২০২০

দুই পাশে ফসলের সবুজ মাঠ, মাঝখানে পরিপাটি পিচঢালা পথ। শেষ বিকেলের নরম পরিবেশে এমন পথ ধরে ঘুরে বেড়াতে কার না ভালো লাগে? রাহীক এবং রাফী প্রায়ই বের হয়। কখনো সাইকেল নিয়ে গ্রামের নিরিবিলি পথ চষে বেড়ায় দুই ভাই। কখনো হাঁটতে হাঁটতে চলে যায় বহুদূর! আজ তাদের সাথে যোগ দিয়েছেন ছোট চাচ্চু।
ছোট চাচ্চু কবি মানুষ। কবিতার মতো গল্প বলেন। গল্পের মতো কবিতা! চাচ্চু সাথে থাকলে রাহীক-রাফী ইচ্ছেডানায় উড়ে বেড়ায়। হারিয়ে যায় স্বপ্নের দেশে। দারুচিনি, এলাচের দ্বীপে।
সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে। একটু পরে মাগরিবের আজান হবে। এখন ফেরার সময়। ফেরার পথে একজন পথচারী কাছে এসে সাহায্য চাইল। চাচ্চুর কাছে তখন সামান্য কিছু টাকা ছিল। যা ছিল, সবই দিয়ে দিলেন। কিন্তু লোকটি খুশি হতে পারল না। বরং রেগে গিয়ে বলল, আমি কি ভিক্ষা চেয়েছি? এত কম টাকা মানুষ ‘সাহায্য’ দেয়? এর সাথে আরও অনেক কথা বলল। যা সত্যিই অপমানের। রাহীক-রাফী রাগে ফুঁসছে। চাচ্চু বরং হাসিমুখে বলল, অন্য একদিন দেবো ইনশাআল্লাহ।
রাহীক বলল, তুমি লোকটাকে সহজেই ছেড়ে দিলে কেন? সে-কি তোমাকে এসব বলতে পারে? রাফীও বলল একই কথা! চাচ্চু আবারও হাসলেন। বললেন, শ্রেষ্ঠ মানুষেরা সবার কাছে সম্মান পায় না। কারণ, যে তোমার সমকক্ষ, কেবল সে-ই তোমার মর্যাদা বুঝতে পারবে। সবাই যদি তোমাকে সম্মান করে, তাহলে বুঝতে হবে তুমি শ্রেষ্ঠ হতে পারলে না! বরং সবাই তোমার সমকক্ষ হয়ে গেল! রাহীক-রাফীর বুঝতে একটু দেরি হলো। এরপর মাথা নেড়ে বলল, তা-ই তো!
চাচ্চু বললেন, এবার গল্প শোনো। একবার মহানবী (সা) পথ চলছিলেন। তার গায়ে ছিল মোটা পাড়ওয়ালা নাজরানি চাদর। পথে এক বেদুঈনের সাথে দেখা হলো। সে মহানবীর চাদর ধরে খুব জোরে টান দিলো। এতে মহানবীর কাঁধের একপাশে চাদরের পাড়ের দাগ পড়ে গিয়েছিল! এরপর লোকটি বলল, ‘হে মুহাম্মদ! তোমার কাছে আল্লাহর যে সম্পদ আছে, তা থেকে আমাকে দেওয়ার আদেশ করো!’ তিনি তার দিকে মুখ ফিরিয়ে হাসলেন এবং তাকে কিছু দেওয়ার নির্দেশ দিলেন! (বুখারি ও মুসলিম)।
চাচ্চু বললেন, দেখেছো! লোকটির আচরণে মহানবী (সা) একটুও কষ্ট পাননি! কারণ তিনি জানতেন, তাঁকে সম্মান দেখানোর যোগ্যতা মরুচারী বেদুঈনের নেই। রাহীক-রাফী বললো, আমরাও এমন মহান হতে চাই। ইনশাআল্লাহ।
- বিলাল হোসাইন নূরীদুই পাশে ফসলের সবুজ মাঠ, মাঝখানে পরিপাটি পিচঢালা পথ। শেষ বিকেলের নরম পরিবেশে এমন পথ ধরে ঘুরে বেড়াতে কার না ভালো লাগে? রাহীক এবং রাফী প্রায়ই বের হয়। কখনো সাইকেল নিয়ে গ্রামের নিরিবিলি পথ চষে বেড়ায় দুই ভাই। কখনো হাঁটতে হাঁটতে চলে যায় বহুদূর! আজ তাদের সাথে যোগ দিয়েছেন ছোট চাচ্চু।
ছোট চাচ্চু কবি মানুষ। কবিতার মতো গল্প বলেন। গল্পের মতো কবিতা! চাচ্চু সাথে থাকলে রাহীক-রাফী ইচ্ছেডানায় উড়ে বেড়ায়। হারিয়ে যায় স্বপ্নের দেশে। দারুচিনি, এলাচের দ্বীপে।
সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে। একটু পরে মাগরিবের আজান হবে। এখন ফেরার সময়। ফেরার পথে একজন পথচারী কাছে এসে সাহায্য চাইল। চাচ্চুর কাছে তখন সামান্য কিছু টাকা ছিল। যা ছিল, সবই দিয়ে দিলেন। কিন্তু লোকটি খুশি হতে পারল না। বরং রেগে গিয়ে বলল, আমি কি ভিক্ষা চেয়েছি? এত কম টাকা মানুষ ‘সাহায্য’ দেয়? এর সাথে আরও অনেক কথা বলল। যা সত্যিই অপমানের। রাহীক-রাফী রাগে ফুঁসছে। চাচ্চু বরং হাসিমুখে বলল, অন্য একদিন দেবো ইনশাআল্লাহ।
রাহীক বলল, তুমি লোকটাকে সহজেই ছেড়ে দিলে কেন? সে-কি তোমাকে এসব বলতে পারে? রাফীও বলল একই কথা! চাচ্চু আবারও হাসলেন। বললেন, শ্রেষ্ঠ মানুষেরা সবার কাছে সম্মান পায় না। কারণ, যে তোমার সমকক্ষ, কেবল সে-ই তোমার মর্যাদা বুঝতে পারবে। সবাই যদি তোমাকে সম্মান করে, তাহলে বুঝতে হবে তুমি শ্রেষ্ঠ হতে পারলে না! বরং সবাই তোমার সমকক্ষ হয়ে গেল! রাহীক-রাফীর বুঝতে একটু দেরি হলো। এরপর মাথা নেড়ে বলল, তা-ই তো!
চাচ্চু বললেন, এবার গল্প শোনো। একবার মহানবী (সা) পথ চলছিলেন। তার গায়ে ছিল মোটা পাড়ওয়ালা নাজরানি চাদর। পথে এক বেদুঈনের সাথে দেখা হলো। সে মহানবীর চাদর ধরে খুব জোরে টান দিলো। এতে মহানবীর কাঁধের একপাশে চাদরের পাড়ের দাগ পড়ে গিয়েছিল! এরপর লোকটি বলল, ‘হে মুহাম্মদ! তোমার কাছে আল্লাহর যে সম্পদ আছে, তা থেকে আমাকে দেওয়ার আদেশ করো!’ তিনি তার দিকে মুখ ফিরিয়ে হাসলেন এবং তাকে কিছু দেওয়ার নির্দেশ দিলেন! (বুখারি ও মুসলিম)।
চাচ্চু বললেন, দেখেছো! লোকটির আচরণে মহানবী (সা) একটুও কষ্ট পাননি! কারণ তিনি জানতেন, তাঁকে সম্মান দেখানোর যোগ্যতা মরুচারী বেদুঈনের নেই। রাহীক-রাফী বললো, আমরাও এমন মহান হতে চাই। ইনশাআল্লাহ।
- বিলাল হোসাইন নূরী
                        
আপনার মন্তাব্য লিখুন
অনলাইনে কিশোরকন্ঠ অর্ডার করুন
লেখকের আরও লেখা

সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ

আরও পড়ুন...

CART 0

আপনার প্রোডাক্ট সমূহ