মাঠভরা ঐ ফসল সবই আল্লাহর দান

মাঠভরা ঐ ফসল সবই আল্লাহর দান

কুরআনের আলো নভেম্বর ২০১৪

“আর তিনিই আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করেছেন। তারপর তার সাহায্যে সব ধরনের উদ্ভিদ উৎপাদন করেছেন। এরপর তা থেকে সবুজ শ্যামল ক্ষেত ও বৃক্ষ সৃষ্টি করেছেন। তারপর তা থেকে ঘন সন্নিবিষ্ট শস্যদানা উৎপাদন করেছেন। আর খেজুর গাছের মাথি থেকে খেজুরের কাঁদির পর কাঁদি সৃষ্টি করেছেন, যা বোঝার ভারে নুয়ে পড়ে। আর সজ্জিত করেছেন আঙুর, জয়তুন ও ডালিমের বাগান। এসবের ফলগুলো পরস্পরের সাথে সাদৃশ্যও রাখে আবার প্রত্যেকে পৃথক  বৈশিষ্ট্যেরও অধিকারী। এ গাছ যখন ফলবান হয় তখন এর ফল ধরা ও ফল পাকার অবস্থাটি একটু গভীর দৃষ্টিতে নিরীক্ষণ করো- এসব জিনিসের মধ্যে ঈমানদারদের জন্য নিদর্শন রয়েছে।” (সূরা আনআম : ৯৯)

বন্ধুরা, আসসালামু আলাইকুম। হেমন্তের হাওয়া তোমাদের কাছে শীতের আগমনী বার্তা দিয়ে যাচ্ছে। সেই সাথে আমাদের প্রধান খাদ্যশস্য ধান ও ফলমূলের গাছগুলো মাথা নেড়ে চাষিদের স্বাগত জানাচ্ছে তাই না?  চল আজ আমরা এসবের স্রষ্টা মহান আল্লাহ এ নিয়ে কুরআনে কী বলেছেন জেনে নিই। মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে মানুষের প্রতি তাঁর অনুগ্রহরাজি ও নেয়ামতসমূহের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি উপরোল্লিখিত সূরার ৯৫ নং আয়াতে বলেছেন, আল্লাহ তাআলা বীজ ও আঁটি অঙ্কুরকারী। তিনি জীবিতকে মৃত থেকে বের করেন এবং মৃতকে জীবিত থেকে বের করেন। তিনিই আল্লাহ, অতঃপর তোমরা কোথায় বিভ্রান্ত হচ্ছ? এ আয়াতেই খোদায়ী শক্তি সামর্থ্যরে এক বিস্ময়কর ঘটনা বিধৃত হয়েছে। শুষ্ক বীজ ও শুষ্ক আঁটি ফাঁকা করে তার ভেতর থেকে শ্যামল ও সতেজ বৃক্ষ বের করে দেয়া একমাত্র জগৎস্রষ্টারই কাজ। এতে কি মানুষের কোনো কৃতিত্ব আছে? খোদায়ী শক্তির বলে বীজ ও আঁটির ভেতর থেকে যে নাজুক অঙ্কুর গজিয়ে ওঠে তার পথ থেকে সকল প্রতিবন্ধকতা দূর করে দেয়ার জন্য কৃষক চেষ্টা করে থাকে। বীজ অঙ্কুরিত না হলে কৃষকের কিছুই করার থাকে না। আল্লাহ বলেছেন, তোমরা কি ঐ বীজগুলোকে দেখ না যা তোমরা নরম মাটিতে ফেলে দাও? এগুলো তোমরা বপন ও তৈরি কর? না আমি করি? মূলত আল্লাহই এসব কিছু তৈরি করেন। অতঃপর তিনি খনন সন্নিবিষ্ট শস্যদানা উৎপাদন করেছেন। ধান, গম, কলা, আম ইত্যাদি কত কিছুই না আমাদের জন্য তিনি সৃষ্টি করেছেন? প্রতি বছর কত হাজার লক্ষ টন ধান উৎপাদন করে মানুষের জীবন নির্বাহ করেছেন, এই একটি ধানও কি মানুষ সৃষ্টি করতে পারবে আল্লাহর দান ছাড়া? তাই বন্ধুরা, এসো এখন থেকে সুস্থ থাকতে চাইলে বিজাতীয়দের আজে বাজে খাবার বাদ দিয়ে মৌসুমি ফলমূল বেশি পরিমাণে খাবার খেয়ে মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করি। আল্লাহ আমাদেরকে তারই বিশুদ্ধ নেয়ামতে সিক্ত হয়ে সুস্থ থাকার  তৌফিক দিন। আমিন। লেখক : মিজানুর রহমান

আপনার মন্তাব্য লিখুন
অনলাইনে কিশোরকন্ঠ অর্ডার করুন
লেখকের আরও লেখা

সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ

আরও পড়ুন...

CART 0

আপনার প্রোডাক্ট সমূহ