মানুষের স্বাধীনতা বাংলাদেশের স্বাধীনতা

মানুষের স্বাধীনতা বাংলাদেশের স্বাধীনতা

প্রচ্ছদ রচনা মামুন মাহফুজ জানুয়ারি ২০২৩

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ঘোষণাপত্রের প্রথম ধারায় বলা হয়েছে, “প্রতিটি মানুষ জন্মগ্রহণ করে স্বাধীন অবস্থায়। মর্যাদা ও অধিকারের ক্ষেত্রে সবাই সমান। সবার আছে একটি বিবেক ও একটি হৃদয়। তাদের উচিত একে অপরের সাথে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ হৃদ্যতার আচরণ করা।”
কিন্তু যুগ যুগ ধরে আমরা দেখে আসছি মানুষ মানুষকে নিজের অধীনে রাখতে চায়, মানুষ মানুষকে দাস বানাতে চায়, মানুষ মানুষের স্বাধীনতা কেড়ে নেয়।
এই যে বাংলাদেশ। এই যে আমরা বাংলাদেশের মানুষ, এই যে আমাদের নিজস্ব একটি পতাকা, পঞ্চাশ বছর আগে ঠিক এমনটা কিন্তু ছিল না। এই বাংলাদেশ, বাংলাদেশের মানুষ অন্য একটি রাষ্ট্রের অধীনে ছিল। বহু দূরের একটি দেশের অধীনে ছিল। বাংলাদেশের মানুষ মুসলিম, আর সেই সুবাদে একটি মুসলিম রাষ্ট্রের অধীনে ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ধর্ম সকলকে ভাইয়ের মর্যাদা দিলেও ক্ষমতাসীনরা সেই মনোভাব ধরে রাখতে পারেনি। তারা একই ধর্মের ভাই হয়েও ভৌগোলিকভাবে ভিন্ন একটি জনপদের মানুষের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ করে, বৈষম্য চাপিয়ে দেয়। আর এটি ছিল ক্ষমতাসীনদের আচরণ। যার ফলে একদিন ভিন্ন মনে করা জনপদটি সত্যি সত্যিই ভিন্ন হয়ে গেল।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস কিন্তু অল্পদিনের নয়। ১৭৫৭ সালে পলাশীর আম্রকাননে বাংলার স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতনের মধ্য দিয়ে যে স্বাধীনতার সূর্যটি অস্তমিত হয়েছিল সেই স্বাধীন সূর্য ফিরে পেতে বাংলার মানুষের সময় লেগেছে দু’শ বছরেরও বেশি। এই দু’শ বছরের ইতিহাস কি কম? মোটেও তা নয়। এই দু’শ বছরে কত যে ঘটনা ঘটেছে তার ফিরিস্তি দিয়ে শেষ করা যাবে না। ইংরেজ শাসকরা স্বাধীন শাসক নবাব সিরজউদ্দৌলাকে পরাজিত করে একে একে গোটা ভারতবর্ষকেই দখল করে নেয়। বাণিজ্যের ছদ্মবেশে আসা সেই বণিক শ্রেণি হয়ে ওঠে বাংলাসহ গোটা উপমহাদেশের শাসকশ্রেণি। তারপর পুরো একশ’ বছর যাবৎ বলা চলে কোনও বাদ প্রতিবাদ ছাড়াই তারা শাসন ও শোষণ করে এতদঞ্চলের মানুষকে। একশ’ বছর পর এখানকার মানুষ প্রথম কোনও প্রতিবাদের ভাষা উচ্চারণের সুযোগ পায়। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয় না। ইংরেজ শাসকদের অত্যাচারের কাছে স্তব্ধ হয়ে যায় সেই মহাবিদ্রোহ। ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহ মূলত ব্রিটিশ বাহিনীতে থাকা এ দেশীয় সিপাহিদের অসন্তোষ থেকে উদ্ভূত হয়। কিন্তু বিদ্রোহের মূল কারণ ছিল কোম্পানির শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে জনসাধারণের পুঞ্জীভূত অসন্তোষ এবং বিদেশি শাসনের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ। প্রায় এক শতাব্দীকাল ধরে কোম্পানি ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল দখল করে নিজেদের আধিপত্য ও কৃতিত্ব প্রতিষ্ঠা করে। এর ফলে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের মধ্যে অসন্তোষ ও বিক্ষোভ দানা বাঁধতে থাকে। এই অসন্তোষেরই বহিঃপ্রকাশ ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহ।
ব্রিটিশ শাসনের পূর্বে এ দেশ ছিল কৃষি ও শিল্পে সমৃদ্ধ। কিন্তু ইংরেজ শাসন প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এদেশে শুরু হয় লাগামহীন শোষণের পালা। এর ফলে জনজীবনে চরম দারিদ্র্য নেমে আসে। কোম্পানির ভূমি রাজস্ব নীতির ফলে এদেশের একদা সমৃদ্ধ কৃষককুল বণিক ও মহারাজাদের কাছে ঋণগ্রস্ত হয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়ে এবং ভূমিহীন কৃষকে পরিণত হয়। চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রসূত ভূমি বিক্রয় আইন তথা সূর্যাস্ত আইন অনুশীলনে অনেক বনেদি জমিদার সামাজিক ও অর্থনৈতিক দুর্দশার শিকার হন।
স্বাধীনতার সংক্ষিপ্ত পটভূমি
১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে জনগণের রায় পেলেও পূর্ববাংলার তথা বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবকে মেনে নিতে অস্বীকার করে পাকিস্তানি সামরিক শাসক। তারা নানান রকম টালবাহানা করে শাসনভার অগণতান্ত্রিকভাবে নিজেদের কুক্ষিগত রাখতে চায়। এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ওঠে বাংলার মানুষ। ৭ই মার্চ ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লক্ষ লক্ষ মানুষ উপস্থিত হয়। সেই সমাবেশে শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষণা দেন ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’
এরপর পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী আলোচনার নামে নতুন কূটচাল তৈরি করতে থাকে। আর সেই কূটচালের বহিঃপ্রকাশ ঘটে ২৫ মার্চ রাতে। সেই রাতে পাক হানাদার বাহিনী ঘুমন্ত বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে নির্বিচারে। লাশের নগরী হয়ে ওঠে ঢাকা শহর। চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে ভেসে আসে সুস্পষ্ট স্বাধীনতার ঘোষণা। ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে ঘটে যাওয়া সেই ঘটনা এবং ২৬শে মার্চের সেই ঘোষণার পর প্রতিরোধ যুদ্ধ ও সশস্ত্র যুদ্ধ শুরু হয় পূর্ব বাংলার মানুষের। আর সেই দিনটিই বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস। পরাধীনতার বিরুদ্ধে প্রথম আনুষ্ঠানিক ঘোষণার দিন।
দীর্ঘ নয়টি মাস যুদ্ধের পরে অবশেষে স্বাধীন হলো বাংলাদেশ। এই যুদ্ধে দিতে হলো লক্ষ লক্ষ প্রাণ। দিতে হলো ত্যাগ ও কুরবানির চরম মূল্য।
স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশ
দীর্ঘ সংগ্রাম ও লক্ষ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে যে স্বাধীনতার সুখটুকু পেয়েছিল এদেশের মানুষ সেই সুখটুকুও স্থায়ী হলো না। স্বাধীনতাযুদ্ধের পর পরই চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষে লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারায়। মুক্তিযুদ্ধ যেমন মার্চ মাসে শুরু হয়ে ডিসেম্বরে শেষ হয় তেমনি দুর্ভিক্ষও ১৯৭৪ সালের মার্চে শুরু হয়ে সেই বছরেরই ডিসেম্বরের দিকে গিয়ে শেষ হয়। এই দুর্ভিক্ষে অসংখ্য মানুষ অনাহারে মারা গিয়েছিল। সরকারি হিসাব অনুসারে ২৭,০০০ মানুষ অনাহারে মৃত্যুবরণ করে। বেসরকারি হিসাবে অনুমানিক ১,০০,০০০ থেকে ৪,৫০,০০০ জন প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে মৃত্যুবরণ করে। এই দুর্ভিক্ষকে স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক হিসেবে গণ্য করা হয়।
১৯৭১ এর ছাব্বিশে মার্চ যে স্বাধীনতা ঘোষিত হয়েছিল, পঞ্চাশ- একান্ন বছর পেরিয়ে এখনও সেই স্বাধীনতার সুখ খুঁজে ক্লান্ত বাংলাদেশের মানুষ।
বাংলাদেশের মানুষের কাছে স্বাধীনতা শব্দটি যে মাধুর্য নিয়ে উপস্থিত হয় তা কি আদৌ পেয়েছে এদেশের মানুষ? এটি আজ বিশ্লেষণের বিষয়।
স্বাধীনতার পূর্ববর্তী অবস্থায় পূর্ব বাংলার মানুষ অর্থনৈতিকভাবে বৈষম্যের শিকার ছিল। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে সেই বৈষম্য কিছুটা ঘুচে যায়। কিন্তু তাতেও দুর্ভিক্ষ এড়ানো যায়নি। আবার সময়ের ব্যবধানে দুর্ভিক্ষ কাটিয়ে ওঠার পর শুরু হয় নতুন রাজনৈতিক সংকট। অর্থাৎ হয় রাজনৈতিক সংকট না হয় অর্থনৈতিক সংকট যেন পিছু ছাড়ছে না ছোট্ট এই স্বাধীন দেশটার।
স্বাধীনতার অর্ধশত বছর পর বাংলাদেশ
স্বাধীনতার অর্ধশত বছর পর বাংলাদেশ আজ কোথায় এসে পৌঁছেছে সেটি মূল্যায়ন করতে গেলে কিছু প্রাপ্তির আনন্দ যেমন আছে তেমনি আছে উদ্বেগজনক অপ্রাপ্তি। প্রাপ্তিগুলো হচ্ছে অবকাঠামোগত উন্নয়ন; বিশেষ করে যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নতি, শিক্ষাব্যবস্থায় অবকাঠামো নির্মাণ, নিজস্ব শিক্ষাপদ্ধতি, বিজ্ঞান ও মেডিক্যালসহ সাধারণ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গঠন, শিক্ষার হার বৃদ্ধি, মাতৃ মৃত্যুর হার কমানোসহ আরও কিছু অগ্রগতি লক্ষণীয়। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন, আয় বৃদ্ধি, জীবন যাত্রার মান বৃদ্ধিও উল্লেখ করার মতো। কিন্তু একই সাথে বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া, মুদ্রাস্ফীতি, করের হার বৃদ্ধি, জীবন যাপনের ব্যয় বৃদ্ধি মানুষের জীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। স্বাধীন বাংলাদেশে অর্থনৈতিক বৈষম্য কমলেও দুর্নীতি বেড়েছে উদ্বেগজনক হারে। আর দুর্নীতির ফলে সামাজিক স্তর বিন্যাসে ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি হয়েছে। শ্রেণিবৈষম্য বেড়েছে, বেড়েছে কোটিপতির সংখ্যা, বেড়েছে দারিদ্র্যের হার। সবমিলে ভালো নেই স্বাধীন মাতৃভূমি বাংলাদেশ। ভালো নেই স্বাধীন বাংলাদেশের আপামর জনগণ।
স্বাধীনতার সত্যিকারের সুফল পেতে করণীয়
স্বাধীনতার সত্যিকারের সুফল পেতে হলে সর্ব প্রথম যেটা করণীয় সেটা হলো শাসকচরিত্রের পরিবর্তন। পাকিস্তানের শাসকেরা যে চরিত্র পূর্ব বাংলার জনগণের প্রতি দেখিয়েছেন স্বাধীন বাংলাদেশের কোনও শাসক যেন ঠিক সেই কাজটি না করেন। শাসকশ্রেণির আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে থেকে একটি বিশেষ শ্রেণি যদি এই স্বাধীন ভূখণ্ডেও গড়ে ওঠে তাহলে বাংলাদেশের জনগণ বিভাজিতই থাকবে চিরকাল। জাতির ঐক্যের জন্য এই বিশেষ শ্রেণি গড়ে ওঠা থামাতে হবে। দ্বিতীয় করণীয় হচ্ছে, জাতীয় ঐক্যের ভিত্তি তৈরি করা। যে সব ইস্যুতে জাতি সব ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হবে সেসব ইস্যু বা জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। যেসব ইস্যুতে জাতিবিভেদ বাড়ে সেসব ইস্যু এড়িয়ে যেতে হবে। টেকসই উন্নয়নের জন্য এবং ভবিষ্যৎ জাতিগঠনের জন্য শিশুদের উপযোগী পরিবেশ গঠন করতে হবে। শিশুপাঠ্যে নৈতিক শিক্ষার পাঠ বাড়াতে হবে, শুধু পাঠের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে বাস্তবপ্রয়োগে সচেষ্ট কারিকুলাম থাকতে হবে। অর্থাৎ জাতিগঠনে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে শিশুদের প্রতি, শিশুদের বেড়ে ওঠার পরিবেশের প্রতি। কিন্তু যেখানে শিশুদের নিরাপত্তাই এখনও নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি সেখানে বাকি পরিবেশ সৃষ্টি যেন আকাশকুসুম কল্পনা।
স্বাধীনতা-পরবর্তী এই পঞ্চাশ বছরে শিশুরা সবচেয়ে বেশি নিগ্রহের শিকার হয়েছে। দারিদ্র্যের কারণে শিশুশ্রম যেমন বেড়েছে তেমনি শিশুরা কর্মস্থল এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও ব্যাপক হারে নিগ্রহের শিকার হয়েছে। হয়তো এরই ফলশ্রুতি আজকের কিশোর গ্যাং। অলিতে গলিতে, পাড়ায় মহল্লায় গড়ে ওঠা কিশোর গ্যাং এখন নতুন এক আতঙ্কের নাম। দুর্বল আইনি ব্যবস্থাপনা এবং শিশুদের উপযোগী কর্মসূচির অভাবে শিশু-কিশোররা আজ বিপথগামী হচ্ছে ব্যাপক হারে। এটা রোধ করা না গেলে স্বাধীনতার ৫০ বছর কেন, শত বছর পার হলেও সুফল মিলবে না।
এরপর গুরুত্ব দিতে হবে বাংলাদেশের কৃষিভিত্তিক সমাজের প্রতি। শিক্ষিতের হার বাড়ার সাথে সাথে কমে গেছে কৃষিসংশ্লিষ্ট মানুষের সংখ্যা, কমে যাচ্ছে উৎপাদন। যার ফলে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েও খাদ্যে স্বনির্ভর হতে পারছে না। বিভিন্ন জরিপে দেখা যায় বাংলাদেশে যে পরিমাণ কৃষিকাজ হয়, যে পরিমাণ খাদ্য উৎপাদন হয় তাতে সর্বোচ্চ ৬০ ভাগ মানুষের খাদ্য জোগান দেওয়া সম্ভব। আর বাকি ৪০ ভাগ খাদ্যপণ্য আমদানি করতে হয়। একটি স্বাধীন দেশের ৪০ ভাগ খাদ্য যদি পরনির্ভরশীল হয় তাহলে সে দেশ ভৌগোলিকভাবে বা রাজনৈতিকভাবে স্বাধীন হলেও তার সুফল মিলবে না। কারণ সে দেশ স্বাধীন হলেও পরনির্ভরশীল। ২০০ বছরের স্বাধীনতা চেতনার মূল অভীষ্ট ছিল কৃষকের প্রতি ন্যায়বিচার, কৃষকের অধিকার, কৃষিজমির সংরক্ষণ। যার ফলে ইতিহাসের সকল আন্দোলনই ছিল কৃষিকেন্দ্রিক। ফরায়েজি আন্দোলন থেকে শুরু করে এ কে ফজলুল হকের কৃষকপ্রজা পার্টি গঠন, স্বল্পমূল্যে, বিনামূল্যে সার বিতরণ, কৃষিপণ্য উৎপাদনে সহায়তা ইত্যাদি ছিল স্বাধীনতা-পূর্ব এই জনপদের প্রধান কর্মসূচি। কিন্তু দিনে দিনে কৃষির প্রতি, কৃষকের প্রতি অবহেলা অযত্ন বেড়ে যাওয়ায় পরনির্ভরশীলতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। যদিও সরকারিভাবে নানান উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে কিন্তু সামগ্রিক পরিস্থিতিতে তার তেমন কোনও প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।
সবশেষে একটি কথা জোরালোভাবেই বলতে পারি সেটি হচ্ছে স্বাধীনতার সুফল পেতে হলে নতুন প্রজন্মকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত এবং স্বশিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে। তার চেয়েও বড় কথা হচ্ছে শিক্ষাব্যবস্থা হতে হবে কৃষিবান্ধব; যাতে শিক্ষিত হয়ে কেউ কৃষিকাজে লজ্জা না পায়, বরং বাড়ির আঙিনায়, পতিত জমিতে চাষবাস করে স্বাবলম্বী হওয়ার উৎসাহ পায়। তবেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা হবে মানুষের স্বাধীনতা। নতুবা স্বাধীনতা থাকবে কেবল আক্ষরিকভাবে, ভৌগোলিকভাবে, রাজনৈতিক স্বাধীনতা।
অর্থবহ ও প্রকৃত স্বাধীনতার প্রত্যাশায় স্বাগত জানাই এবারের স্বাধীনতা দিবসকে।

আপনার মন্তাব্য লিখুন
অনলাইনে কিশোরকন্ঠ অর্ডার করুন
লেখকের আরও লেখা

সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ

আরও পড়ুন...

CART 0

আপনার প্রোডাক্ট সমূহ