রহস্যভেদ

রহস্যভেদ

প্রচ্ছদ রচনা জুন ২০১২

রহস্যপ্রিয় বন্ধুরা, নতুন বছরের শুভেচ্ছা নাও। বরাবরের ন্যায় এই সংখ্যায়ও ছোট্ট একটি রহস্যগল্প থাকছে তোমাদের জন্য। মাথা খাটিয়ে রহস্যটা বের করে পাঠিয়ে দিয়ে জিতে নাও আকর্ষণীয় পুরস্কার। উত্তরপত্রে মাসের নাম ও পূর্ণ ঠিকানা থাকতে হবে। খামের ওপরে ‘রহস্যভেদ’ লিখতে ভুল করো না। -বিভাগীয় পরিচালক

বাড়িতে পা দিয়েই কিশোর গোয়েন্দা রাসেল মাহফুজ বুঝল ভেতরে ঝগড়া চলছে।
ছোট খালার বাড়িতে বিশেষ একটা কাজে এসেছে ও। সন্ধ্যার আগেই ফিরতে হবে। কিন্তু সাজু ও সালমার ঝগড়া দেখে কাজের কথাই ভুলে বসল। বরং ওদেরকে কিভাবে থামানো যায় সেদিকেই মনোযোগ দিল।
দু’ভাইবোনকে কাছে ডাকল রাসেল মাহফুজ। তারপর জিজ্ঞেস করল এভাবে ঝগড়া করার কারণ কী।
সালমা অনেকটা অনুযোগের সুরে বলল, ‘দেখ না রাসেল ভাইয়া, বড় ভাইয়া খালি খালি আমাকে বকছে। গত মাসের কারেন্ট বিল একটু বেশি হয়েছে বলে আম্মু বলে গেলেন একটু হিসেব করে ফ্যান-লাইট জ্বালাতে। বিনা কারণে যেন ওগুলোর সুইচ অন না করা হয়। বড় ভাইয়া তো বাসায় যতক্ষণ থাকে বো বো করে ফ্যান ঘুরিয়ে চলে। আমি একটু স্লো করে দিলে আমাকে বকে এবং আবারও বাড়িয়ে দেয়। এই কারণেই তো কারেন্ট বিল বেশি হয়েছে। এই মাসে আরও বেশি বিল আসবে। কারণ ওর স্কুল বন্ধ আর সারাক্ষণ রুমেই থাকে ফুল স্পিডে ফ্যান ছেড়ে দিয়ে।’
এতগুলো কথা একবারে বলে বেশ হাঁফিয়ে উঠল সালমা।
রাসেল মাহফুজ এবার সাজুর দিকে তাকিয়ে বলল, ‘সালমার কথা তো শুনলাম। এবার তোমার কথা বলো।’
‘ও যা বলেছে তা ঠিক,’ বলল সাজু। ‘কিন্তু আমি ফুল স্পিডে ফ্যান চালাই বলে কারেন্টের বিল বেশি হয়নি। বরং ওর কারণেই বিল বেশি হয়েছে। আগে একদিন পর একদিন জামা-কাপড় আয়রন করতো ও। এখন প্রতিদিনই করে।’
‘করবো নাতো কী,’ ঝাঁঝিয়ে উঠল সালমা। ‘এই গরমে এক কাপড় দুইদিন পরা যায় নাকি? ঘেমে নষ্ট হয়ে যায় না!’
‘তাছাড়া ফ্রিজটাও বেশ পুরনো হয়ে গেছে। ওটাও আগের চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ টানে।’ সালমাকে পাত্তা না দিয়ে বলল সাজু। ‘আর তাছাড়া...’
‘ঠিক আছে ঠিক আছে,’ ওদেরকে থামিয়ে দিয়ে বলল রাসেল মাহফুজ। ‘বুঝতে পেরেছি তোমাদের ঝগড়ার কারণ।’
রাসেল মাহফুজ এরপর ওদেরকে বুঝিয়ে দিল কেন কারেন্টের বিল গত মাসে বেশি হয়েছে। তবে সাজুর কারণে কিন্তু এটা হয়নি। কেন হয়নি সেটাই এবারের রহস্যভেদ। হ

এপ্রিল ২০১২ সংখ্যার উত্তর :
 কদম বর্ষাকালের ফুল। গ্রীষ্মকালে ফোটার কথা নয়।

পুরস্কার বিজয়ী :
 তাসনিম উর রহমান,
 তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা,
 ৬ষ্ঠ শ্রেণী, শাখা-খ, রোল-৮
                        
আপনার মন্তাব্য লিখুন
অনলাইনে কিশোরকন্ঠ অর্ডার করুন
লেখকের আরও লেখা

সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ

আরও পড়ুন...

CART 0

আপনার প্রোডাক্ট সমূহ