রহস্যভেদ

রহস্যভেদ

প্রচ্ছদ রচনা জুন ২০১৩

রহস্যপ্রিয় বন্ধুরা, আস্সালামু আলাইকুম। বরাবরের ন্যায় এই সংখ্যায়ও ছোট্ট একটি রহস্যগল্প থাকছে তোমাদের জন্য। মাথা খাটিয়ে রহস্যটা বের করে পাঠিয়ে দিয়ে জিতে নাও আকর্ষণীয় পুরস্কার। উত্তরপত্রে মাসের নাম ও পূর্ণ ঠিকানা থাকতে হবে। খামের ওপরে ‘রহস্যভেদ’ লিখতে ভুল করো না। Ñবিভাগীয় পরিচালক

ইদানীং বাংলা ব্যাকরণের ওপর ভীষণ ঝোঁক তৈরি হয়েছে রাহাতের। স্কুলে যা শিখে আসছে, বাড়িতে এসে সেটাই বিভিন্নভাবে প্রয়োগ করে চলেছে। ও স্কুল ছুটির পর বাড়ি এলে তাই বাড়ির লোকজন একপ্রকার তটস্থ হয়েই থাকে। শঙ্কায় থাকেÑ না জানি ব্যাকরণের কোন্ প্যাঁচে আটকে ফেলে পিচ্চিটা। জবাব দিতে না পারলে ইজ্জতই বুঝি চলে যাবে, এমনই অবস্থা দাঁড়িয়েছে।
রাহাত এমনিতেই ছাত্র বেশ ভালো। ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার কিছু একটা হবেই বড় হয়েÑ এই রকমই ধারণা সবার। বাবা বলেন ছেলেকে তার মতো ইঞ্জিনিয়ার বানাবেন। মা তাতে বাঁধ সেধে বলেন, না, রাহাতকে ডাক্তার বানানো হবে। বুড়ো বয়সে মানুষ অসুখ-বিসুকে পড়ে। অন্তত ওর বদৌলতে আমাদের ডাক্তার খরচাটা তো বেঁচে যাবে। আর নিজের ছেলের হাতের চিকিৎসাপত্রে রোগ-বালাই সারবেই।
পরিবারের অন্যরা হয়তো ওকে অন্য কিছু হওয়া নিয়ে স্বপ্ন দেখে থাকলেও থাকতে পারে।
তিন-চারদিন ধরে বাংলা যুক্ত অক্ষর নিয়ে চর্চা করছে রাহাত। বাড়িতে কম্পিউটার থাকায় যুক্ত অক্ষরগুলো ওর এক প্রকার মুখস্থই হয়ে গেছে বলা চলে। কিন্তু ও বার বারই অবাক ও বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যাচ্ছে, বাংলা দ্বিতীয় পত্রের ম্যাডাম একটা শব্দ প্রতিবারই কেটে দিচ্ছেন আর ভালো করে বাসা থেকে শিখে আসতে বলছেন। অথচ ও শিওর, ও কোনো রকম ভুল করছে না। আবার ম্যাডাম যে ভুল করছেন, সেটাও জোর দিয়ে বলতে পারছে না। তাহলে সমস্যাটা কোথায়? এ নিয়ে সারাক্ষণ মন মরা হয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে ওকে।
কিশোর গোয়েন্দা রাসেল মাহফুজ সম্পর্কে ওর ফুফাত ভাই। গরমের ছুটিতে আজই এসেছে ওদের বাড়িতে বেড়াতে। ব্যস, মুশকিলে যেন আহসান পেয়ে গেল রাহাত। রাসেল মাগফুজকে ওরা সবাই এভাবেই জেনে ও ভেবে আসছে। হোমওয়ার্কের খাতাটা নিয়ে এলো রাসেলের কাছে। গত কয়েকদিনের যুক্ত অক্ষর যেটা ম্যাডাম প্রতিবারই কেটে দিয়েছেন, সেটা দেখাল। সব দেখে রাসেল মাহফুজও কেমন ভুরু কুঁচকে রইল। বাংলা যুক্ত অক্ষর ওর কাছে ডাল-ভাতের মতো। রাহাত তো ঠিকই লিখেছে, তাহলে ম্যাডাম কেন কেটে দিয়েছেন তা বুঝতে পারে না। খাতাটা নিয়ে পাতা উল্টায় আর গভীর ধ্যানে মগ্ন হয়ে যায়। এক সময় হাসি মুখে রাহাতকে বুঝিয়ে বলে। আসলে হয়েছে কি, দোষটা রাহাতের না, বরং ম্যাডামই লিখতে একটু ভুল করেছেন।
বন্ধুরা, রাহাতকে যেসব যুক্ত অক্ষরযুক্ত শব্দকে ভেঙে লিখতে বলা হয়েছিলÑ তার কয়েকটি এখানে তুলে ধরা হলো। এখন বলতে হবে, ম্যাডাম কোন্ কোন্ শব্দটি ভুল লিখেছিলেন এবং তার বিন্যাসই বা কী হবে।
মুক্তি = ম+উ+ক+ত+ই, ব্রক্ষাণ্ড = ব+র+ক+ষ+আ+ণ+ড, তৃষ্ণা = ত+ঋ+ষ+ণ+আ, ব্রক্ষপুত্র = ব+র+ক+ষ+ত+র, জ্ঞান = জ+ঞ+আ+ন, গঞ্জ = গ+ঞ+জ, ব্রাক্ষণ = ব+র+আ+ক+ষ+ণ, পঞ্চ = প+ঞ+চ ইত্যাদি।
এপ্রিল ২০১৩ সংখ্যার উত্তর : বইয়ের র‌্যাকের নিচের তাক থেকে। ইঁদুর রেখেছিল।
পুরস্কার বিজয়ী : সাঈদা সিদ্দিকা সাদিয়া, খানজাহান আলী, বাগেরহাট
                        
আপনার মন্তাব্য লিখুন
অনলাইনে কিশোরকন্ঠ অর্ডার করুন
লেখকের আরও লেখা

সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ

আরও পড়ুন...

CART 0

আপনার প্রোডাক্ট সমূহ