রহস্যভেদ নেভম্বর ২০১৩

রহস্যভেদ নেভম্বর ২০১৩

প্রচ্ছদ রচনা নভেম্বর ২০১৩

রহস্যপ্রিয় বন্ধুরা, আস্সালামু আলাইকুম। বরাবরের ন্যায় এই সংখ্যায়ও ছোট্ট একটি রহস্যগল্প থাকছে তোমাদের জন্য। মাথা খাটিয়ে রহস্যটা বের করে পাঠিয়ে দিয়ে জিতে নাও আকর্ষণীয় পুরস্কার। উত্তরপত্রে মাসের নাম ও পূর্ণ ঠিকানা থাকতে হবে। খামের ওপরে ‘রহস্যভেদ’ লিখতে ভুল করো না। -বিভাগীয় পরিচালক

অনেকেই এখন রাসেল মাহফুজের মতো গোয়েন্দা হতে চায়। চাইবেও বা না কেন, ও যখন যেখানেই যায় কোনো না কোনো রহস্য তাকে ঘিরে ধরেই। কোনো না কোনো ব্যাপারে সে ভুল ধরেই। সে কারণে চারদিকে ওর এতো এতো নাম। সবার মুখে খালি ওর প্রশংসা শুনে শুনে ছেলেমেয়েরা ওকে হিংসা করতেই শুরু করে দিয়েছে। কেউ হয়তো পরীক্ষায় খারাপ ফল করল, কিংবা আব্বু একটা কাজ দিলেন সেটা করতে পারল না, অথবা ছোটবোনের পেন্সিলটা খুঁজে দিতে পারল না- অমনি রাসেল মাহফুজের উদাহরণ টেনে বলা হবে, ওর মতো হলে এমনটি হতো না। ছেলে একটা রাসেল মাহফুজ! একটা সত্যিকারের হীরে সে। এই যখন অবস্থা, তখন পাড়ার ছেলেমেয়েরা একদিন প্ল্যান করে রাসেল মাহফুজকে ঘিরে ধরল। ওদের আবদার, সবাইকে ওর মতো বানিয়ে দিতে হবে। রাসেল মাহফুজ অনেক বোঝাল। কিন্তু কোনো কাজ হলো না। শেষে সবার চাপাচাপিতে ও একটা পরীক্ষা নিতে চাইল সবার। রাজিও হয়ে গেল ওরা একবাক্যে। তখনই রাসেল মাহফুজ একটা গল্প বলল এবং এর উত্তর খুঁজে বের করতে বলল। বন্ধুরা, তোমরাও মনোযোগ দিয়ে গল্পটা শোনো আর রহস্যের সমাধান করে পুরস্কার জিতে নাও। “চারদিকে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা। তাপমাত্রা -৩০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তো হবেই। এরই মাঝে বাইরে বের হতে মনস্থির করল মিনার। টেবিলে একটা বইয়ের ২৩ ও ২৪ নম্বর পৃষ্ঠা খোলা ছিল। সেটা বন্ধ করে রাখল। তারপর দরোজার দিকে এগিয়ে গেল। দরোজার পাশের আলনা থেকে কানটুপিটা নিয়ে কান-মাথা ঢেকে নিল। সঙ্গে সঙ্গে ওর শরীরের স্নায়ুকোষের নেফ্রনগুলো অতিদ্রুত একটা উষ্ণতার ছোঁয়া মস্তিষ্কে পৌঁছে দিল। ঠাণ্ডা অনেক কম লাগছে এখন। এরপর বেশ স্বাচ্ছন্দেই বাইরের কাজটা সেরে তাড়াতাড়িই আবার ঘরে ফিরে এলো মিনার। আবারও বই নিয়ে পড়তে বসল। পদার্থ বিজ্ঞানের আলোর অংশটা পড়া শুরু করল। আগামী কাল স্কুলে টিউটোরিয়াল পরীক্ষা হবে এর ওপর। কিছু অঙ্কের নমুনা দেয়া আছে অধ্যায়টিতে। হঠাৎ মনে পড়ল, আজও বিদ্যুৎ বিলটা জমা দেয়া হয়নি। কালই দিতে হবে। নইলে আবার জরিমানা গুনতে হবে। কী মনে হতে তখনই ড্রয়ার টেনে বিদ্যুৎ বিলের কাগজটা বের করল। বইয়ের অঙ্কের সাথে মিলিয়ে দেখতে চায় ওয়াট প্রতি কত টাকা ধরেছে বিদ্যুৎ অফিস। একটু পর খাবার গ্রহণের জন্য মায়ের ডাক পড়ল। পড়া বন্ধ করে খেতে গেল মিনার। খেয়ে দেয়ে এসে বাকি পড়াটুকু শেষ করে ঘুমাতে গেল।” গল্প শেষ করে সবার মুখের দিকে পালা করে একবার তাকিয়ে নিল রাসেল মাহফুজ। সবার মুখই থমথমে। রাসেল ঠোঁটে হাসি টেনে বলল, ‘গল্পটিতে আমি অনেক ভুল কথা বলেছি। তোমাদেরকে এখন বলতে হবে ভুলগুলো কী কী?’ সেপ্টেম্বর ২০১৩ সংখ্যার সমাধান : ঘড়ির ওপরে লেখা ২১ JEWEL নয়, ২১ JEWELS হবে। পুরস্কার বিজয়ী : এ সংখ্যায় কেউ সঠিক উত্তর দিতে পারেনি। তাই পুরস্কারও কেউ পেল না।

আপনার মন্তাব্য লিখুন
অনলাইনে কিশোরকন্ঠ অর্ডার করুন
লেখকের আরও লেখা

সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ

আরও পড়ুন...

CART 0

আপনার প্রোডাক্ট সমূহ