সফল জীবনের জন্য

সফল জীবনের জন্য

বিশেষ রচনা ডিসেম্বর ২০১০

মুহাম্মাদ হাবীবুল্লাহ্
১.
মানবজাতির জীবন বলতেই তার একটি উদ্দেশ্য থাকা চাই।
for a successful lifeউদ্দেশ্যহীন জীবনের নেই কোনো মূল্য, নেই কোনো প্রাপ্য। জীবনের যেমন উদ্দেশ্য আছে, তেমনি উদ্দেশ্যেরও রয়েছে জীবন তথা জীবনময়তা। অর্থাৎ উদ্দেশ্যের সততা ও মহত্ত্ব। তাই উদ্দেশ্য হতে হবে সৎ ও মহৎ, যার ছত্রে-ছত্রে থাকে আদর্শের দীপ্তি। জীবনের উদ্দেশ্য ও উদ্দেশ্যের জীবন তথা আদর্শ ও উদ্দেশ্যের শুদ্ধতা ও সততাই হলো সফল জীবনের মূলমন্ত্র। উদ্দেশ্যময়তা ও অলসতা পরস্পরবিরোধী আচরণ। কখনো উভয়ের সম্মিলন হতে পারে না। যে ব্যক্তি জীবনের কোনো লক্ষ্য নির্ধারণ করে নিয়েছে, তার পূর্ণ মনোযোগ নিবদ্ধ থাকে সে লক্ষ্যের দিকে। সে এদিক-সেদিক মনোযোগ দিয়ে নিজের স্বর্ণের মতো মূল্যবান সময় নষ্ট করতে পারে না। লক্ষ্য নির্ধারণ করে যে জীবন পরিচালনা করে, সে তীব্র বেগে ছুটে ঐ মুসাফিরের মতো যে প্রতিটি মুহূর্ত নিবিষ্ট থাকে আখেরি মনজিলের দিকে অগ্রসর হতে। পৃথিবীর দৃষ্টিনন্দন দৃশ্য তাকে মুগ্ধ ও প্রলুদ্ধ করতে সামনে এসে দাঁড়ায়, কিন্তু সে দু’চোখ বন্ধ করে পথ চলতে থাকে লক্ষ্যে পৌঁছার প্রত্যাশায়। ছায়াশীতল বিশ্রামস্থান তাকে আরাম ও বিরামের জন্য উদ্বুদ্ধ করে, কিন্তু সে পথ চলতে থাকে মোহ-মুগ্ধতার স্বাদ ছেড়ে। বিচিত্র চাহিদা তার পথকে অবরোধ করে, কিন্তু সে সচল পদবিক্ষেপে এগুতে থাকে সকল বাঁধ-বাধার প্রতিরোধ করে। জীবনের বিভিন্ন উত্থান-পতন, স্খলন ও পদস্খলন তাকে ঠেকিয়ে রাখতে চায়, কিন্তু তাতেও কোনো ছেদ পড়ে না তার ইচ্ছা ও প্রতিজ্ঞায়, তার দৃপ্ত পদচারণায়। লক্ষ্য স্থিরকারী ব্যক্তি কখনো দিকভ্রান্ত হতে পারে না। কারণ, রাস্তা ও আখেরি মনজিল সম্পর্কে তার সুস্পষ্ট ধারণা থাকে। সামনে থাকে তার একটি সুনির্ধারিত লক্ষ্য। কখনো সে পথ থেকে ফসকে পড়ে না। অসঙ্গত প্রসঙ্গ নিয়ে সময় নষ্ট করে, নি®প্রাণ আনন্দে মেতে ওঠে না। সবদিক থেকে মনোযোগ হঠিয়ে শুধু একদিকেই সে মনোযোগ নিবদ্ধ করে। লক্ষ্য অর্জন হওয়া ও আখেরি মানজিলে পৌঁছা পর্যন্ত তাকে থাকতে হয় কর্মচঞ্চল ও ব্যস্তসচল। তাই জীবনকে সচল ও সফল করার জন্য প্রত্যেকেরই একটি সুচিন্তিত ও সুচিহ্নিত লক্ষ্য থাকা অনিবার্য, অপরিহার্য। লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এমন হওয়া চাই, যার সততা ও সত্যতার ওপর অন্তর পূর্ণ আস্থা রাখে, হৃদয় যাকে পরিপূর্ণভাবে সমর্থন করে এবং যা রক্তের মতো প্রতিটি রন্ধ্রে বিচরণ করে। এই লক্ষ্য নির্ধারণই মানুষকে অন্যান্য জীব থেকে বিশিষ্টতা দান করে। মনুষ্যত্ব ও পশুত্বের মাঝে বৈচিত্র্য ও বৈপরীত্যের দেয়াল তোলে। উদ্দেশ্যের সঙ্গে আদর্শের এবং চিন্তার সঙ্গে কর্মের সংযোগ ঘটাতে হবে। চিন্তা হতে হবে আদর্শিক, বাস্তবভিত্তিক ও কর্মমুখী। আর কাজ হতে হবে চিন্তানির্ভর, ফলপ্রসূ ও বাস্তবমুখী। চিন্তাহীন কর্ম ও কর্মহীন চিন্তা দুটোই অúূর্ণ ও অকার্যকর। যে ব্যক্তির জীবনে লক্ষ্যের প্রতি একাগ্রতা ও একাত্মতা সৃষ্টি হবে, তার জীবন অবশ্যি অন্য এক জীবন হয়ে উঠবে, জীবন-সূর্য তার হৃদয়-আকাশে আলোর উদ্ভাস ঘটাবে।
২.
মানুষের জীবন সে তো বিচিত্র অভিজ্ঞতার সমাহার । তিক্ত ও মিষ্ট অভিজ্ঞতা দিয়েই স্থাপিত হয়েছে মানুষের সঙ্গে তার জীবন ও জগতের সেতু-বন্ধন। বেদনার উত্তাল নদীতে তরী ভাসিয়ে, রক্তের অথৈ সমুদ্র পার হয়ে মানুষকে যেতে হয় জীবনের ওপারেÑ যে জীবন হবে পুষ্পিত, প্রাণিত। জীবন-যাত্রার পথ সে তো বড় দুর্গম, যার বাঁকে বাঁকে রয়েছে শত ভীতি-ভয়, সতত শঙ্কা-সংশয়। পথ-যাত্রায় মুহূর্তের অসতর্কতা ডেকে আনতে পারে অপূরণীয় ক্ষয় ও মহা বিপর্যয়। পথচলা ও পদচালনার অনভিজ্ঞতার কারণে মাশুল দিতে হয় পদে পদে, পথের প্রতিটি মোড়ে।
জীবন-পথের অকুতোভয় অভিযাত্রী যারা, তাদের যাত্রা-পথ হতে পারে না মসৃণ ও কুসুমাস্তীর্ণ। তাদের পথ হবে অমসৃণ ও কণ্টকাকীর্ণ। তাদের পায়ে কাঁটা বিঁধে। ফোঁটা ফোঁটা রক্ত ঝরে। তবুও লক্ষ্য-অভিমুখে তাদের ক্লান্তিহীন পথ-চলা, বিরামহীন সংগ্রাম-সাধনা থামে না, থামতে পারে না। তাদের ভাগ্য-অভিধানে  ‘আরামের’ কোনো শব্দ নেই। ‘বিরামের’ কোনো ছন্দ নেই। নেই তাদের কোনো ছুটি। তাদের নেই কোনো বিরতি। তারা তো শৃঙ্খলমুক্ত বন্দী।
বিপর্যয় এলে কিংবা পরাজয় ঘটলে মানুষ চিন্তার অতলে হারিয়ে যায়, বেদনার বালুচরে তলিয়ে যায়। কিন্তু জীবন ও জগতের স্বভাব তো তা নয়। জীবনের অঙ্গনে এগুতে হবে সকল ভয়কে জয় করে। এই পৃথিবী তো সর্বাঙ্গ ভঙ্গুর। এখানে ভাঙ্গবে। পৃথিবীতে সংরক্ষণের অর্থ এই নয় যে, আমরা কোনো জিনিসকে কখনো ভাঙ্গতে দেব না। বরং সংরক্ষণের উদার অর্থ হলো, শত ভাঙ্গনের পরও সংরক্ষণের সুকৌশল জেনে নিতে হবে আমাদের। তাই নিরাশা ও হতাশার সকল বাঁধ-বাধা পেরিয়ে আমাদেরকে বাঁচতে হবে শেষ ও চূড়ান্ত হতাশা থেকেÑজীবন-ব্যর্থতার মরণ-থাবা থেকে।
দুঃখ-বেদনার ঝড়োহাওয়ার মধ্যেও আনন্দের মৃদু হাওয়ার আশা আমাদের রাখতে হবে। অসফলতার হাতছানি উপেক্ষা করে সফলতার পথ আমাদের খুঁজতে হবে, অভিনব পন্থা আবিষ্কার করতে হবে। ব্যর্থতার উত্তাল দরিয়া পাড়ি দিতে হবে। তবুও আমাদের পৌঁছতে হবে সফলতার সবুজ পাড়ে, শিশিরস্নাত প্রান্তরে। লাভ-লোকসানের অঙ্ক আগেই কষে নিয়ে পৃথিবীতে ব্যবসা (তথা উদ্দেশ্য) প্রতিষ্ঠা করা যায় না। ক্ষয়-শঙ্কার দুর্ভেদ্য প্রাচীর ভেদ করে তীর-তীব্র বেগে চলতে হবে লাভ অর্জনের লক্ষ্যেÑসফলতা অর্জনের জাঁকালো অঙ্গনে। জীবনের ময়দানে উন্নতি-অগ্রগতির আশা তাকেই সাজে যে পশ্চাদগামিতার ঝড়-ঝাপটা উপেক্ষা করে অগ্রযাত্রাকে টিকিয়ে রাখতে পারে অটল পদক্ষেপে, অবিচল পদবিক্ষেপে। প্রথমে হারাতে হবে। হার মানতে হবে। হারানোর পর সত্যিই আমরা পাব, কিন্তু প্রাপ্তি-অপেক্ষার প্রহর গুনতে হবে। এখানে ঐক্য আছে। আছে সর্বনাশা অনৈক্যও। অনৈক্য, মতানৈক্য আমাদের তাড়িত করে, অন্তর-জ্বালায় তাপিত করে। সেই অনৈক্যের যাঁতাকল থেকে আমাদেরকে মুক্তি পেতে হবে। কিন্তু কিভাবে? জীবন-গ্রন্থ থেকে ‘অনৈক্য’র পাঠ মুছে দিয়ে?  না, বরং শত অনৈক্যের মাঝেও আমাদেরকে রচনা করতে হবে ঐক্যের নতুন অধ্যায়। সমাজের চিত্ত-পটে আঁকতে হবে একতার যুৎসই চিত্র। অর্জন করতে হবে অনৈক্যের মাঝেও ঐক্য গড়ে তোলার সুদক্ষতা ও শিল্প-কুশলতা।
পৃথিবীতে গ্রীষ্মের কাঠফাটা রোদ যেমন আছে, আছে তারুণ্য-ভরা বসন্তও। এখানে ঋতু আছে। আছে ঋতুর রূপবদল। ইতিহাস আছে, আছে ইতিহাসের পালাবদল। অমাবস্যা-রাতের ঘোর আঁধারি কাটিয়ে প্রভাত-মণি উদিত হয় নীলিম আকাশের পূর্ব দিগন্তে। ফুলের রাজা গোলাপ। রঙে ও রূপে অনন্য, যার গুণ-প্রশংসায়, যার রূপ-বর্ণনায় রঙিন হয়েছে কবি-সাহিত্যিকদের তুলি-কলম, সুশোভিত হয়েছে তাদের মন-মনন। শিল্পীগণ যার চিত্র এঁকেছেন মনের মাধুরী মিশিয়ে। শিল্প-চাতুর্যকে নানাভাবে খেলিয়ে। কিন্তু যে গাছে, গাছের যে ডালে এই সুকোমল ফুলটি ফুটে আছে, তারই সঙ্গে লেগে আছে অনেক বিষধর কাঁটা। ফুলকে কাঁটা থেকে বিচ্ছিন্ন করা, কাঁটা ছাড়া ফুল নেয়া আমাদের জন্য সম্ভব নয়। ফুল নিতে হলে কাঁটার  ভেতর দিয়েই নিতে হবে। এটাই বিধাতার অমোঘ বিধান। জীবনের কাঁটাবনে প্রবেশ ছাড়া জীবনের পুষ্পায়ণ ও রূপায়ন সম্ভব হয় না, হতে পারে না। ফুল ও কাঁটার সহাবস্থান যেমনি শাশ্বত সত্য, মানব জীবনে আনন্দ-বেদনার আলিঙ্গনও তেমনি স্বীকার্য-চিরায়ত। এই চির স্বীকৃত বাস্তবতায় রয়েছে মানব জীবনের জন্য চিরন্তন শিক্ষা। সে শিক্ষা কিতাব-খাতা থেকে নয়, নিতে হবে ইতিহাসের পাতা থেকে। জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে, ইতিহাসের স্মৃতি থেকে, দুনিয়ার প্রকৃতি থেকে এ-শিক্ষা আমাদের নিতে হবে ভাব ও ভাবনার নীরব ভাষায়, অনুভবের নিভৃত ধারায়। গ্রীষ্ম-বসন্তের সংঘর্ষ, আলো-আঁধারির সংঘাত এরই মধ্য দিয়ে আলোকিত করতে হবে আমাদের জীবন-যৌবন। গড়তে হবে স্বপ্নালু ভবিষ্যৎ। জীবনোদ্যানকে ফুটিয়ে তুলতে হবে ফুলে ও ফলে, ফসলে ও পাতাবাহারে।
সত্যের পথের মুসাফির যারা, সফল জীবনের আলোর সন্ধানে তাদেরকে দুঃখ-দুর্দশা পোহাতে হবে পদে পদে। সময়-স্রোতের উজান পাড়ি দিতে হবে জীবনের পথে পথে। ...
৩.
আল্লাহর দেয়া আমাদের এই পৃথিবী সম্ভাবনার আধার। পৃথিবীতে এক যায়, এক আসে। সুখে-সঙ্কটে কেটে যায় মানুষের দিন-রাত। কালোর ওপর ভালোর এবং অসত্যের ওপর সত্যের জয় পূর্বেও যেমন ছিল, এখনো আছে; থাকবে চিরদিন। পৃথিবীতে দিন যায়, রাত আসে। সূর্যের আলো গিয়ে স্নিগ্ধ জোছনা আসে। রাতের ঘনঘোর অন্ধকার কাটিয়ে প্রভাত নেমে আসে। গ্রীষ্মের শুষ্কতা ফুরিয়ে বসন্তের সজীবতা ফুঠে ওঠে। রাতের শেষে মৃদু আলো নিভে গিয়ে, পৃথিবী যখন অন্ধকারে হারিয়ে যায়, তখনো পৃথিবীকে আলোকিত রাখে এক রহস্যময় আলোÑ জোনাকির আলো। পথে পথে, পথের দ্বারে; সবুজ প্রান্তরে অসংখ্য জোনাকি। এই নেভে, ওই জ্বলে। ইতিহাসের পাতায়, স্মৃতির আয়নায় এখনো যাঁরা উজ্জ্বল হয়ে আছেন, প্রতিদিনের সূর্যোদয়ে তাঁরা নতুন দিনের সন্ধান পেয়েছেন। যে দিনের সূর্যাস্ত চিরদিনের জন্য থেমে যাবে, হয়ত সে দিনই সুযোগ-সম্ভাবনার ইতি হবে। কিন্তু পৃথিবীর বুকে যতদিন সূর্যের উদয় হবে, ততদিন মানবজীবনে সম্ভাবনার জয় হবে। যে দিন পর্যন্ত সূর্য আপন আলোয় উদ্ভাসিত থাকবে, বুঝে নিতে হবে, এখনো সুযোগ আছে কিছু করার, এখনো সময় আছে পায়ে পায়ে এগিয়ে যাওয়ার।
যে কোনো জাতি ও জনগোষ্ঠীর উন্নতি-অগ্রগতির সম্ভাবনা কখনো সমূলে শেষ হয়ে যায় না। প্রত্যেক মানুষ ও প্রতিটি জনপদের ভাগ্যে রয়েছে উন্নতির তারাভরা আকাশ, পূর্ণিমায় ভরা উদ্ভাস। যুগের দুর্যোগের কারণে যদি কারো সাময়িক পতন ঘটে, তা হলে চরমভাবে হতাশ হয়ে যাওয়ার এবং নিজেকে হারিয়ে ফেলার কোনো কারণ নেই। স্রষ্টা এই পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন অভূতপূর্ব ও অভাবিতপূর্ব সম্ভাবনা দিয়ে। জমিনের বিশালতায়, আকাশের উঁচুতায়, পাহাড়ের দৃঢ়তায় ও সাগরের গভীরতায় মানুষের জন্য রয়েছে অসংখ্য সম্ভাবনা। প্রয়োজন শুধু বিবেক-বুদ্ধিকে কাজে লাগাবার, আবেগ-উদ্বেগকে সংযত করার এবং চিন্তা-চেষ্টাকে প্রাণিত করার। উন্নতির জন্য আজ মানুষ বিকিয়ে দিচ্ছে অমূল্য জীবন-যৌবন, বিলিয়ে দিচ্ছে সমুদয় অর্জন-উপার্জন। মনে রাখতে হবে, উন্নতি এত দুরূহ নয়, তবে শ্রমসাধ্য বটে। সময়-সুযোগের যথাযথ, সংযত, যুগোচিত ও বাস্তবোচিত ব্যবহারই হলো কালজয়ী উন্নতির উৎসমূল।
উন্নতির স্বর্ণশিখরে পৌঁছুতে হলে শিক্ষা নিতে হবে অতীত থেকে, কাজে লাগাতে হবে বর্তমানকে, প্রাপ্তির আশা রাখতে হবে ভবিষ্যৎ থেকে। যে ব্যক্তি অতীত ভুলে যায়, বর্তমানকে হারায় অলসতায় এবং ভবিষ্যৎ সম্পর্কে নিজেকে মনে করে অসহায়, তার সফল হওয়ার কী আছে কোনো উপায়? তাই দ্বিধা-বাধার ঘোর কাটতে হবে। অলসতার জটাজাল ছিন্ন করতে হবে। আশা-আশঙ্কার সংঘাতে যদি নিজেকে হারিয়ে ফেলে, নিষ্পেষিত হয় যদি হীন যাঁতাকলে, তা হলে সে নিশ্চয় হারায়, বঞ্চিত হয়। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি পথের ঝুঁকি ও মনের উঁকি-ঝুঁকি উপেক্ষা করে, বিশ্বাস ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে চলে সে সফল হয়, সে সুফল হয়।
সত্যের পথের মুসাফির যারা, আল্লাহর সব সৃষ্টি তাদের জন্য, তারা আল্লাহর জন্য। এ-সত্যকেই পাথেয় বানাতে হবে পদে পদে, জীবনের পথে পথে। ...
সকলপ্রকার বাধা-বিপত্তি দূর করে আমাদের ক্রমাগত সামনে এগিয়ে যেতে হবে। কবির ভাষায় :
‘‘ছিঁড়ে যাক পাল, ভেঙে যাক হাল
আসুক তমসা ঘোর,
সপ্তসিন্ধু পাড়ি দিয়ে তবু
আনতেই হবে নতুন ভোর।”
আপনার মন্তাব্য লিখুন
অনলাইনে কিশোরকন্ঠ অর্ডার করুন
লেখকের আরও লেখা

সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ

আরও পড়ুন...

CART 0

আপনার প্রোডাক্ট সমূহ