হাম হাম সন্ধানে

হাম হাম সন্ধানে

ফিচার ফেব্রুয়ারি ২০১২

কামরুল আলম...

চায়ের রাজধানী খ্যাত পাহাড়ি জেলা মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার গহিন অরণ্য কুরমায় অবস্থিত মহান আল্লাহর অপূর্ব এক সৃষ্টি হাম হাম জলপ্রপাত। টলমলে স্বচ্ছ পানির ধারা গড়িয়ে পড়ছে শক্ত পাথরের মতো পাহাড়ের শরীর লেপটে। নির্জন, শান্ত পাহাড়ের প্রায় দেড় শ’ ফুট উঁচু থেকে আছড়ে পড়া স্রোতধারার কলকল শব্দ বয়ে যাচ্ছে সমতলে। নাম না জানা লতাপাতা, গুল্ম, বাঁশবন, বুনোফুল ও ফলের গাছ আগলে রেখেছে পরম মমতায় সৃষ্টির বিস্ময় এই ঝর্ণাটিকে। যে বুনো ঝর্ণার অপরূপ সৌন্দর্য থেকে চোখ ফেরানো যায় না সহজে। এমন সুন্দর দর্শনীয় স্থান আমাদের কাছে অপরিচিত ছিল এতদিন, ভাবতেই অবাক লাগে। দুর্গম পাহাড়ি এই ঝর্ণা ভ্রমণপিপাসু পর্যটকদের হাতছানি দিয়ে কাছে ডাকছে প্রতিদিন। অথচ যোগাযোগব্যবস্থা আর প্রচারণার অভাবে হাম হাম নামে এই জলপ্রপাতটি রয়ে গেছে সকলের দৃষ্টির আড়ালে।
সীমান্তবর্তী কুরমা বন বিটের দুর্গম পাহাড়ের অভ্যন্তরে নয়নাভিরাম ও রোমাঞ্চিত হাম হাম জলপ্রপাতটির ঠিক পূর্ব-দক্ষিণে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য। কমলগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার পূর্ব- দক্ষিণে রাজকান্দি রেঞ্জের কুরমা বন বিটের প্রায় ৮ কিলোমিটার অভ্যন্তরে দৃষ্টিনন্দন এই হাম হাম জলপ্রপাতে যাওয়ার জন্য সরাসরি কোনো যানবাহনের ব্যবস্থা নেই। কমলগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে কুরমা সীমান্ত পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটার রাস্তা পাকা। তারপরের অংশের প্রায় পুরো রাস্তাই কাঁচা। এ রোডে চলাচলকারী বাস, জিপ কিংবা মাইক্রোবাসযোগে কুরমা সীমান্তে যাওয়ার পর বাকি প্রায় ১০ কিলোমিটার পথই পায়ে হেঁটে যেতে হয় কলাবন নামক পাহাড়ি অধিবাসীদের এলাকায়। তারপর পাহাড়ের আঁকাবাঁকা উঁচু-নিচু পথ দিয়ে জীবন-মরণ যুদ্ধ করে প্রায় ৩ ঘণ্টা হাঁটার পর দেখা পাওয়া যায় হাম হামের।
পূর্ব নির্ধারিত তারিখে আমরা (আমি আর আমার ভাগনা তানিমুল হোসাইন হাদী) ফজরের নামাজ পড়েই মোটর বাইকযোগে সকাল সাড়ে ৭টার সময় পৌঁছে গেলাম কুলাউড়ার স্টেশন রোডে শাকিল আহমদের বাড়িতে। শাকিলের বাড়িতে চালের গুঁড়ির রুটি আর কুরবানির গরুর গোশত দিয়ে নাশতা পর্ব সেরে নিলাম। চলল আরো বহু রকমের আপ্যায়ন। বিয়ানিবাজার থেকে বড়লেখা হয়ে আসছে আমাদের টিমের বাদ বাকি সদস্যরা। বসে অপেক্ষা করছিলাম তাদের জন্য। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গাড়ি থেকে নেমে এলো ওরা ৭ জন। সৈয়দ সালেম হোসেন, মাহমুদুল হাসান সুমন, ফুয়াদুর রহমান, কামরুজ্জামান তায়েফ, সাদেকুজ্জামান পাভেল, তোফায়েল আহমদ ও জিয়া উদ্দিন।
সেখানে হালকা নাশতা শেষে সবাইকে নিয়ে মাইক্রোটি রওয়ানা দিল কমলগঞ্জের উদ্দেশে। দেরি করে আসার জন্য সালেমকে অনেক কথা শুনতে হলো। অবশেষে কাক্সিক্ষত সেই কলাবনে গিয়ে পৌঁছতে পৌঁছতে ঘড়িতে সকাল ১১টা ৫০ মিনিট বেজে গেল। সাইবোর্ড ঝুলানো ছিল হাম হাম দর্শনার্থীদের জন্য। সেখানে লেখা রয়েছে দুপুর ১২টার পর প্রবেশ নিষেধ, কারণ জানতে চাইলে স্থানীয় অধিবাসীরা জানালেন এখান থেকে দ্রুত পায়ে যেতে আসতে কম করে হলেও পাঁচ ঘণ্টা সময় লাগে। সন্ধ্যার আগে আগে ফিরতে না পারলে বিপদের আশঙ্কা রয়েছে, তাই এ ব্যবস্থা।
স্থানীয়দের মধ্য থেকে দু’জন পথনির্দেশক বেছে নিলাম ৪০০ টাকার বিনিময়ে। গাইডদের দু’জনেই হাতে দা নিয়ে এগিয়ে গেল সম্মুখপানে। কিছুক্ষণ হাঁটার পর একজন গাইডকে সবার পেছনে পাঠিয়ে দিলাম। আমি একটু দ্রুত পায়ে হাঁটছিলাম আর সবাইকে তাগাদা দিচ্ছিলাম। কারণ সন্ধ্যার আগে ফিরতে হবে। গাইডেরাও তাড়া দিচ্ছিল সবাইকে।
বুনো পাহাড়ের আঁকাবাঁকা রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে আমরা যখন সবাই প্রায় ক্লান্ত হয়ে গেছি, তখন গাইডদের একজন জানালো এখনও আসল হাঁটা শুরুই হয়নি। পানিপথে হাঁটতে হবে কম করে হলেও আড়াই ঘণ্টা। ভয়ে সেখান থেকেই অনেকে ফিরে যাওয়ার কথা চিন্তা করছিলাম। আরো কিছুদূর হাঁটার পর গাইডেরা আমাদের প্রত্যেকের হাতে একটি করে বাঁশের লাঠি জোগাড় করে দিলো। লাঠি ছাড়া নাকি সামনের পথ পাড়ি দেয়া যাবে না। রোমাঞ্চের গন্ধ পেলাম তাদের কথায়। এগিয়ে যাচ্ছিলাম দ্রুতগতিতে। এক সময় নেমে যেতে হলো পাহাড়ি ঝর্ণার স্রোতধারায় তৈরি হওয়া ঝিরি পথে। চলার পথে চোখে পড়লো সারি সারি কলা বাগান, জারুল আর চিকরাশি কদমের সারিবদ্ধ বাগান। চারদিকে গাছগাছালি ও প্রাকৃতিক বাঁশবনে ভরপুর এই জঙ্গলী পথে হাঁটতে যেমন কষ্ট হচ্ছিল তেমনি মনের আনন্দে হৃদয়ের গভীর থেকে বেরিয়ে আসছিল মহান আল্লাহর প্রশংসাসূচক গান, যিনি সৃষ্টি করেছেন এই মনোমুগ্ধকর বন। পাথুরে পাহাড়ের ঝিরিপথে হেঁটে যেতে যেতে শুনতে পাচ্ছিলাম অগণিত পাখির কলরব। ডলু, মলি, মিরতিঙ্গা আর বেত বাগান ও ডুমুরগাছের শাখার ফাঁকে ফাঁকে দেখা যাচ্ছিল বেশ কয়েকটি চশমা বানর। মাঝে মধ্যে দূর থেকে ডেকে ওঠা উল্লুক আর গিবনসের ডাকও কানে আসছিল। গাইডেরা জানালো ভয়ের কিছু নেই, দিনের বেলা ওরা মানুষের সামনে আসবে না। পায়ের জুতো লাঠিতে বেঁধে নিলাম দড়ি দিয়ে। কেউ কেউ নিজের কোমরে বেঁধে নিয়েছে জুতো।
যতই সামনের দিকে যাচ্ছি মনে হচ্ছিল জঙ্গলটি যেন ক্রমশ গহিন হচ্ছে। প্রায় ৮ হাজার একর জায়গাজুড়ে এই বনটি বিস্তৃত। এখানে বানর, হরিণ, ভল্লুক এবং বন্যশূকর তো আছেই, রয়েছে ভয়ঙ্কর সব সাপের আনাগোনা। সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো জোঁক। অন্যরা মানুষের সাথে লাগতে না এলেও জোঁকেরা জেঁকে বসতে দ্বিধা করে না একটুও। আমাদের সবার সামনে একজন গাইড। দলের নেতা হিসেবে সবার সামনে ছিলাম আমি। কিন্তু পিচ্ছিল পাথর আর কাঁটাযুক্ত পানি দিয়ে মোটা শরীর নিয়ে হাঁটতে কষ্ট হচ্ছিল বিধায় ধীরে ধীরে সবার পেছনে চলে এলাম। আমি দুর্বল হয়ে গেছি বুঝতে না দিয়ে পেছন থেকে নেতৃত্ব দেয়ার গুরুত্ব  বোঝালাম সবাইকে। চলার পথে অনেকেই ক্যামেরায় ছবি উঠাচ্ছিল জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। শেষ মুহূর্তে শাকিল মুভি করা শুরু করে দিল। ব্যাপারটা ছিল খুবই কষ্টকর। তবুও এরই মাঝে সবাই আনন্দ খুঁজে নিল।
পথ ছিল পাথরে ভরা। ঝিরির পানি ঘোলা। এর মধ্যে কোথাও কোথাও চোরাবালি তো রয়েছেই। হাতের লাঠিগুলো তখন কাজে লাগছিল খুবই। আমাদের বলা হয়েছিল প্রায় ৩ ঘণ্টা হাঁটতে হবে। কিন্তু আমরা প্রায় ৪ ঘণ্টা হেঁটেছি। এরই মধ্যে পেছন থেকে একটি টিম আমাদেরকে পেছনে ফেলে দ্রুত পায়ে সামনে চলে গেছে। আর অসংখ্য টিম ফিরে যাচ্ছে হাম হাম দেখে। ঝিরিপথে মাঝে মধ্যেই অনেক বেশি কাঁটাযুক্ত পানি থাকায় কিংবা বাঁশবন মাথা নুইয়ে রাস্তা ব্লক করায় পাহাড়ের পাশ বেয়ে পার হতে হচ্ছিল। পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি ৯৯% হলেও সবাই এগিয়ে যাচ্ছিলাম সম্মুখপানে। এরই মধ্যে এরকম এক জায়গায় গিয়ে আমি আর পা উপরে উঠাতে পারছিলাম না। পেছন থেকে গাইড বেচারাও যে আমাকে সাহায্য করবে তারও উপায় নেই। সে বলল লাঠি দিয়ে নিচে ভর দিতে । লাঠি গেল হাত থেকে ফসকে। দু’চোখে অন্ধকার দেখলাম। এবার নিচে পড়ে যাওয়ার ভয়ই শুধু জাগলো না, জেগে উঠলো মৃত্যুভয়। মনে মনে আল্লাহকে স্মরণ করলাম। চোখ বন্ধ করে সামনের দিকে হাত বাড়ালাম। এক খণ্ড বনলতায় হাত পড়তেই তা আঁকড়ে ধরে ঝুলে পড়লাম নিচে। লতা ধরেছি না সাপ ধরেছি তা টের পাওয়ার আগেই আল্লাহর ইচ্ছায় পার হয়ে গেলাম ভয়ানক জায়গাটি।
ভাবছিলাম এই বুঝি শেষ হয়ে যাবে পথ। কিন্তু না আরো কিছু দূর হাঁটার পর সামনে পেলাম একটি উঁচু টিলা। টিমের অনেকেই রসিকতা করে বলল, এই তো এভারেস্ট। কামরুজ্জামান তায়েফ তো ঘোষণা দিয়েই দিল যে মুসা ইব্রাহিম যদি এভারেস্ট জয় করতে পারে তাহলে সে তুলনায় তো এটা কিছুই নয়। মনের মধ্যে অ্যাডভেঞ্চার দানা বাঁধতে লাগলো আবারো। শক্ত হাতে লাঠিতে ভর দিয়ে সবাই উপরের দিকে উঠতে লাগলাম। অনেক কষ্টে উঁচু টিলায় ওঠার সময় ভেবেছিলাম এখানে উঠলেই বুঝি হাম হাম দেখা যাবে। কিন্তু সেখান থেকে আরো কিছু দূর হাঁটার পর বিপরীত দিক থেকে আসা এক টিমের সাথে কথা বলে বুঝতে পারলাম এখনও দেড় ঘণ্টা পথ বাকি। তারা আমাদের আরো দ্রুত হাঁটার পরামর্শ দিল। বলল, সন্ধ্যা হয়ে গেলে ফিরতে পারবেন না। কেউ কেউ বলল, টর্চ লাইট সঙ্গে না থাকলে সামনে বাড়ানো ঠিক হবে না। কারণ আপনাদের ফিরতে রাত হবেই। বড় দেরি করে এসেছেন। মনের মধ্যে অজানা আশঙ্কা জেগে উঠলেও কেউ পিছপা হলাম না। এবার নামতে হলো নিচের দিকে যেভাবে উপরে উঠেছিলাম। আবারও দুই পাহাড়ের মাঝখানের ঝিরি পথ দিয়ে হাঁটছিলাম। এখানকার পানি অনেক ঠাণ্ডা মনে হলো। সূর্যের উত্তাপ আর হাঁটার চাপে ইতঃপূর্বেকার প্রচণ্ড গরমের বিপরীতে ঠাণ্ডা পানির ছোঁয়ায় বেশ আরাম বোধ করছিলাম। কিছু দূর হাঁটার পর আবারও একটি উঁচু টিলায় উঠতে হলো। এবারেরটা উঠতে গিয়ে মনে হলো এভারেস্টও বোধ হয় এত উঁচু নয়। শেষ মুহূর্তে আমার পা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। টিলার ওপর কোনো মতে উঠেই মাটিতে বসে পড়লাম। সবার পেছনে ছিলাম তবুও সবাই ফলো করছিল আমাকে। আমার দেখাদেখি সবাই মাটিতে বসে পড়লো। সালেম অনুমতি চাইল নাশতা বিতরণের। কিছু শুকনো খাবার আর ফল নিয়েছিলাম সাথে। এ ছাড়া প্রত্যেকে ব্যক্তিগতভাবে কিছু খাবার নিয়েছিল। বললাম এখানে না, আরো সামনে গিয়ে খাবে। তবে এখানে একটু পানি পান করা যেতে পারে। বলা মাত্রই প্রত্যেকের পানির বোতলে ওরস্যালাইন ঢালা হলো। এটা পূর্বপরিকল্পিতই ছিল। ওরস্যালাইনযুক্ত পানি পানের পর সবাই শরীরে আবার তেজ ফিরে পেলাম। শুরু হলো আবারও হাঁটা। হাঁটতে হাঁটতে এক সময় মনে হলো আসলে বোধ হয় হাম হাম টাম টাম নামে কোনো ঝর্ণাধারা নেই এ জঙ্গলে। সম্ভবত এটা কোনো গুজব! এত কষ্ট করে দেখতে এলাম। কিন্তু কোথায় সে হাম হাম?
এরই মধ্যে আরেকটি পাহাড় বেয়ে উপরে উঠতে হলো। তার কিছুক্ষণ পর আমরা একটা ছোট্ট গিরিপথের মধ্যে গিয়ে পড়লাম। পথের সামনে পেছনে খোলা। ওপর দিকে গহিন বনের বিচিত্র গাছগাছালির আচ্ছাদন। দুই পাশের পাথর হয়ে যাওয়া পাহাড়। এগুলো মাটি না পাথর নাকি গাছের শিকড় বুঝবার কোনো উপায় নেই। অসাধারণ অনন্য মহান আল্লাহর এই সৃষ্টি দেখে ‘সুবহানাল্লাহ’ না বলে থাকতে পারলাম না। বিপরীত দিক থেকে আসা দু-একজন ভাই আপনা আপনি বললেন, যান ভাই দেখে প্রাণ জুড়ান গিয়ে। আর মাত্র কয়েক মিনিটের পথ! এতক্ষণে মনে নতুন করে আশার আলো জাগ্রত হলো। ভুলে গেলাম পেছনের কষ্ট। মিনিট বিশেক হাঁটলাম নতুন করে সঞ্চারিত এই স্বপ্নে বিভোর হয়ে। এ স্বপ্ন হাম হাম জলপ্রপাতের, এ স্বপ্ন অজানাকে জানার, এ স্বপ্ন বুনো ঝর্ণাকে খুঁজে পাওয়ার। এই তো সেই ঝর্ণা যাকে দেখতে এতটা পথ হেঁটে এসেছি। সত্যি সত্যি মন প্রাণ জুড়িয়ে গেল। সকলেই ব্যস্ত হয়ে পড়লো ছবি তোলা আর ঝর্ণার স্বচ্ছ পানিতে গোসল করায়। অবশেষে সবাইকে ডেকে নিলাম। হালকা নাশতা করতে বসলাম সবাইকে নিয়ে। সৈয়দ সালেম টিফিন বক্স খুলে আমন্ত্রণ জানালো সবাইকে। এক বাটি রুটি আর এক বাটি গোশত। সবাই এক পিস রুটি ও এক পিস গোশত খেয়ে নিলাম। সাথে নিয়ে যাওয়া কেক, বিস্কুট, আপেল ইত্যাদিও খেলাম।
তারপর দেরি না করে ফিরতি পথে হাঁটা শুরু। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার পূর্বেই ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পেরিয়ে যেতে হবে। কোনো মতে পার হলাম কঠিন দুর্গম ঝিরিপথ। তারপরই আঁধার ঘনিয়ে এল। টর্চ লাইটের আলোর পাশাপাশি আকাশের চাঁদের আলোতে হেঁটে আসতে খুব একটা অসুবিধা হয়নি। অবশেষে রাত ৮টার সময় বের হলাম গহিন অরণ্য থেকে।
                        
আপনার মন্তাব্য লিখুন
অনলাইনে কিশোরকন্ঠ অর্ডার করুন
লেখকের আরও লেখা

সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ

আরও পড়ুন...

CART 0

আপনার প্রোডাক্ট সমূহ