হাসির বাকসো
হাসির বাকসো জানুয়ারি ২০১৬
স্বামী-স্ত্রীর কথোপকথনÑ স্ত্রী : তুমি পাগল হয়ে যাচ্ছ, প্রতিজ্ঞা করো এখন থেকে আর ফেসবুক রিলেটিভ কোনো শব্দ উচ্চারণ করবে না। স্বামী : ঠিক আছে। তোমার কমেন্ট আমি লাইক করলাম। আজ বিকেলে ডাক্তারের সাথে চ্যাট করার সময় বিষয়টা শেয়ার করব! সংগ্রহ : আব্দুল্লাহ আল মামুন সোনাপুর, নোয়াখালী এক মাতাল ব্রিজের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় নিচে পানিতে চাঁদের প্রতিবিম্ব দেখে থমকে দাঁড়ায়- মাতাল : এই যে ভাই! নিচে ওটা কী? পথচারী : চাঁদ। মাতাল : কী! আমি এতো উপরে উঠলাম কী করে? সংগ্রহে : শাহজালাল ইবনে জিহাদী তেঁতুলিয়া, পঞ্চগড় দুই বন্ধুর মধ্যে কথোপকথন- প্রথম বন্ধু : দোস্ত তোর পকেটের কলমটা দে তো আমারটার কালি শেষ। দ্বিতীয় বন্ধু : আরে দোস্ত আমারটার কালিও শেষ। প্রথম বন্ধু : তাহলে পকেটে রাখলি কেন? ফেলে দে। দ্বিতীয় বন্ধু : আরে তুই কি কস? পড়স নাই? নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো। সংগ্রহে : মো: মনোয়ার হোসাইন পশ্চিম নলডগি চৌরাস্তা, লক্ষ্মীপুর ডাক্তার আর রোগীর মধ্যে কথোপকথন- ডাক্তার : বলুন, আপনার সমস্যা কী? রোগী : ডাক্তার সাহেব স্বপ্নে দেখি আমি বিশাল একটা শসা খাচ্ছি। ডাক্তার : তো কী হয়েছে? রোগী : সমস্যা হলো সকালে উঠে দেখি আমার কোলবালিশটার অর্ধেক নেই। সংগ্রহে : মো: জুয়েল সরদার উজিরপুর, বরিশাল বাড়িতে মেহমান এসেছেন। মেহমান দেখেই বাড়ির মালিক বললেন- কেমন আছেন, অনেক দিন পর এলেন, আজকে তো থাকবেন না, আবার কবে আসবেন? মেহমান বললেন : অনেক দিন পর এলাম, যেতে তো আর দেবেন না, লুঙ্গিটা দিন, গোসলটা সেরেই আসি । সংগ্রহে : আব্দুল আলিম চাঁপাইনবাবগঞ্জ শিক্ষক : বলতো শামসু, বরিশাল কোথায়? ছাত্র : আমাদের খাটের নিচে স্যার। শিক্ষক : তোমাকে কে বললো? ছাত্র : কেন? বাড়িওয়ালা ভাড়া চাইতে এলে আম্মুই তো বললেন আব্বু বরিশাল গেছেন, কিন্তু আব্বু তো তখন আমাদের খাটের নিচে ছিলেন। সংগ্রহে : সৈয়দ মোস্তাকিম তাঈন বরিশাল স্কুলে পরীক্ষার সময় সবাই গণহারে দেখাদেখি করে লিখছে। সামনের বেঞ্চের একজন ছাত্র লিখলো, ‘সম্রারাট শাহজাহান দুঃসময়ে ভাঙিয়া পড়িতেন না।’ পেছনের বেঞ্চের এক ছাত্র এটা দেখে লিখতে গিয়ে লিখলো, ‘শাহজাহান দুঃসময়ে জাঙ্গিয়া পরিতেন না।’ শিক্ষক রেগে গিয়ে এক ছাত্রকে বললেন- শিক্ষক : তুমি তিন বছর ধরে একই ক্লাসে পড়ে আছো, তোমার লজ্জা হওয়া উচিত। তোমার বয়সে আমি প্রতি বছর প্রথম হতাম। ছাত্র : আপনাকে নিশ্চয়ই ভালো শিক্ষক পড়াতেন। সংগ্রহে : ইসরাফিল হক চাঁপাইনবাবগঞ্জ এক পথিক ও রিকশাওয়ালার কথাবার্তা- পথিক : এই রিকশা, যাবে? রিকশাওয়ালা : হ্যাঁ যাবো, কোথায় যাবেন? পথিক : (আঙুল দিয়ে) এই সামনের বাজারটায়। রিকশাওয়ালা : ২০ টাকা দিবেন, ওঠেন। পথিক : কী বলো ২০ টাকা! বাজারটাতো দেখাই যাচ্ছে। ১০ টাকায় যাবে? রিকশাওয়ালা : এখান থেকে আকাশের চাঁদও দেখা যায়, যান সেখানে ১০ টাকা দিয়ে। গ্রামীণ মহাজন একজন কৃষককে ৫ হাজার টাকা ধার দিলেন, যা ৬ মাস পরে ফেরত দেবে- কৃষক : কী বলে ধন্যবাদ দেবো হুজুর। আপনার এই ঋণ আমি কখনো শোধ করতে পারবো না। মহাজন : ঠিক আছে যাও (৬ মাস পর)- মহাজন : ৬ মাস হয়ে গেল। আমার টাকা দাও। কৃষক : তখনই তো বললাম। আপনার এই ঋণ কোনো দিন শোধ করতে পারবো না। সংগ্রহে : নজরুল ইসলাম রানা নোয়াখালী এক ভিক্ষুক গেছে এক লোকের বাড়িতে ভিক্ষে করতে। তারপরÑ ভিক্ষুক : বাড়িতে কে আছেন, ভিক্ষা দিন। ভেতর থেকে লোকটি : বউ বাড়িতে নাই। ভিক্ষুক : বউ চাই না। ভিক্ষে চাই। সংগ্রহে : সুজন মাহমুদ নূর রাজিবপুর, কুড়িগ্রাম দুই বন্ধুর মধ্যে কথা হচ্ছে- ১ম বন্ধু : দোস্ত স্বপ্ন আর বাস্তবতার মধ্যে পার্থক্য কী? ২য় বন্ধু : কেন, ঘুম। ১ম বন্ধু : কিভাবে? ২য় বন্ধু : কারণ মানুষ ঘুমালে স্বপ্ন দেখে আর না ঘুমালে বাস্তবতা দেখে। সংগ্রহে : নাহিম হোসেন রাহিম চৌপল্লী, লক্ষ্মীপুর স্যার : এই যে পিন্টু কয়দিন ধরে স্কুলে যাচ্ছো না কেন? কী হয়েছে তোমার? পিন্টু : আমার মা-বাবা বাড়িতে নেই স্যার। স্যার : কোথায় গেছেন তারা? পিন্টু : বাবা জেলে আর মা হাসপাতালে। স্যার : আহ খুব দুঃখের ব্যাপার! কী হয়েছে তাদের? পিন্টু : কিছু না স্যার, আসলে আমার বাবা পুলিশ আর মা ডাক্তার তো, তাই। সংগ্রহে : মো: আমীর আলী বালাগঞ্জ, সিলেট দুই বন্ধুর মধ্যে কথোপকথন- রাজু : বলো তো, কাক কেন কা কা করে? মিঠু : কাকের কাকা নেই বলে। সংগ্রহে : হালিমা সাদিয়া সুমাইয়া লাকসাম, কুমিল্লা
আরও পড়ুন...